এক টুইটের জন্য মানহানির মামলায় হেরে জরিমানা গুনতে রাজি হয়েছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউয়ের স্ত্রী স্যালি বারকাউ। এজন্য প্রকাশ্য আদালতে তাকে ক্ষমাও চাইতে হবে।
Published : 24 May 2013, 05:05 PM
ওই অনুষ্ঠানে এ ঘটনার জন্য সরাসরি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়নি। তবে ওই রাজনীতিকের পরিচয় নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার মধ্যে দুই দিনের মাথায় স্যালি বারকাউ এক টুইটে লেখেন, “লর্ড ম্যাকআলপাইনের এই প্রবণতা কেন? *নিষ্পাপ মুখ*।”
এই টুইটের পর স্যালির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী থ্যাচারের পরামর্শক ম্যাকআলপাইন, যিনি কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করে এসেছেন।
ছয় মাস শুনানির পর শুক্রবার এই মামলার রায় দেয় হাই কোর্ট, যাতে ওই মন্তব্যের জন্য স্যালিকে মানহানির জন্য দোষী সাব্যাস্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি টাগেনঢাট রায়ে বলেন, স্যালির ওই টুইটে অর্থ দাঁড়ায় ‘অভিযুক্ত একজন শিশু যৌন নিপীড়নকারী যিনি পরিচর্যা কেন্দ্রের শিশুদের নিরর্যাতন করেন।”
আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় স্যালি বলেন, “আমি এ রায় মেনে নিচ্ছি। আমার মন্তব্যের জন্য লর্ড ম্যাকআলপাইনকে যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখিত। এজন্য আমি আবারো ক্ষমা চাইছি।”
ক্ষতিপূরণে সম্মতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি মীমাংসার জন্য তার আইনজীবীরা আগে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমি তাতে রাজি হয়েছি।”
তবে কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এ সমঝোতা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের ওই অর্থ ম্যাকআলপাইনের পছন্দমতো মানবকল্যাণমূলক কোনো কাজে ব্যয় করা হবে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রায় নিয়ে স্যালি বারকাউ বলেন, “ আজকের এই রায় সব সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। সোস্যাল মিডিয়ার কোনো বক্তব্য অন্যের জন্য গুরুতর মানহানিকর বলে বিবেচিত হতে পারে, এমনকি আপনার সে ধরনের কোনো অভিপ্রায় না থাকলেও তা হয়ে উঠতে পারে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এ বিষয়ে আমার শিক্ষা হলো।”