তবে ভোক্তা পর্যায়ে বাজারে 'মাগনা' কিংবা 'পানির দরে' টমেটো পাওয়া যাচ্ছেনা। গত সপ্তাহেও তা ১২ টাকা/কেজি দরে এ ব্লগার কিনেছে। সমীকরনও পরিস্কার। ০ + ট্রাক ভাড়া + লোড-আনলোড + আড়তদারের মার্জিন + খুচরা বিক্রেতার মার্জিন = ১২ টাকা/কেজি। আবার অ-মৌসুমে টমেটোর কেজি ৩৫/৪০থেকে ১০০ টাকা অবধি বিকোচ্ছে।
আলুর ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঠিক ১২ টাকা কেজি দরেই আজকে সকালে 'তরকারিওয়ালা লেভেলে' আলু পাওয়া গেছে। সমীকরনের পেছনে গেলে তার কেজিও যে 'প্রায় মাগনা' পর্যায়ে আছে তা বোধগম্য। অথচ অফ সিজনে এ ব্লগারই ৬০/কেজি দরে এবার আলু কিনেছে। সুতরাং, ভোক্তা পর্যায়ে কিছু দিন ন্যায্য ও বছরব্যাপী চড়া দামে আলু ও টমেটো খেতে হলেও কৃষক পর্যায়ে 'টমেটো ও আলু' চাষ চরম মুর্খতা হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। নিরক্ষর কৃষক কিছুটা লাভের আশা, কিছুটা বাপ-দাদার পেশা হিসেবে ফসল দুটির চাষ করলেও এবারের 'শিক্ষা' থেকে সামনের মৌসুমে আর ওমুখো হবেনা। খেসারত হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে আলু টমেটোর দাম ২০০ টাকাও হতে পারে! আবার কৃষক আশান্বিত হয়ে দল বেঁধে টমেটো চাষ করবে। আবার ক্ষেতের টমেটো ক্ষেতে পঁচবে!!
সময় ও স্থান এ ২টি বিষয়ের কারনেই এমনটি ঘটছে। অর্থাৎ, উৎপন্ন আলু ও টমেটো বাজারে আসে ফেব্রুয়ারী-মার্চে। সংগত কারনে, একসাথে এত পণ্য কেনার লোক নেই। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক বেড়ে যায়। আবার, দেশের কিছু স্থানে এ দুটি পণ্য বেশী হয়। অপর কোথাও তা হয়ত হয়না। ফলে স্থান বিশেষে এর চাহিদা/যোগানে ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। সুতরাং, আলু-টমেটোর যোগান ও চাহিদাকে সকল সময়ে সকল স্থানে মোটামুটি ছড়িয়ে দিতে পারলেই সমাধান হয়ে যায়। সরকার, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি পর্যায়ে তা এভাবে হতে পারে-
১। সিজনে কিছু বেশী আলু কিনে রাখা (আলু এমনিতেই ৩/৪ মাস থাকে)। আলু টমেটোর নানান পদের রেসিপি করা। নিজে খাওয়া ও দাওয়াত করা।
২। এ দুটিকে কাঁচামাল গন্য করে নানান খাবার (যেমন, ফ্ল্যাকস, সস) বানানো।
৩। আমাদের যখন শীতকাল, দক্ষিন গোলার্ধে তখন গ্রীষ্মকাল, অর্থাথ- আলুর অফ সিজন। সুতরাং, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দক্ষিন ভাগে সে সময় তা রপ্তানী করা যায় কিনা তার চেস্টা।
৪। বিদেশী চিপস বা সস বর্জন করে দেশী পণ্য কেনা।
-আরো কোনো আইডিয়া থাকলে ব্লগাররা দিতে পারেন। কৃষি বিপনন বিভাগে পাঠিয়ে দেব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩