somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার খেলা আর শখ B-) :-B আর আম্মুর জন্য যন্ত্রনা /:)

১৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমার খেলা আর শখ আর আম্মুর জন্য যন্ত্রনা

আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে কোন খেলাটায় আমি সব থেকে মজা পেতাম বা আমার সব থেকে আনন্দের খেলা বা শখ টা কি ছিল তাহলে আমি বলব কাটাকুটি B-) খেলা। আর আমার কাটাকুটি খেলা মানে হল কাগজ কাটা কুটি করা :P আমি যে কি মজা পেতাম কাগজ কেটে, বলে বুঝাতে পারব না! এমনি এমনি কাটা কুটি করা বা মজার সব কারুকাজ করা কত কি যে করতাম! কাটতে কাটতে কাঁচির ধার চলে যেত তারপর আম্মুর ঝাড়ি খেয়ে :(( কিছু দিন কাটা কুটি বন্ধ রাখতে হত আবার কাঁচি ধার করা হলেই কাটাকুটি শুরু! আর মাঝে মাঝে আম্মু ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে কাঁচি লুকিয়ে রাখত :P

:-* এই কাটা কুটি নিয়ে কিছু অদ্ভুত কুসংস্কার ও ছিল। যেমন কাগজ কাটলে মৃত্যু এগিয়ে আসে! এমন। কিন্তু আমার আনন্দের কাছে এই ভয় কিছুই মনে হত না! লুকিয়ে লুকিয়ে আমার কাটাকুটি খেলা ঠিকই চলত!



আমার এই কাটাকুটি খেলাটা শখ হয়ে উঠল অন্যভাবে। পিচ্চি থেকেই আমার আরেকটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল খুব ভোর বেলা ঘুম ভেঙ্গেই পত্রিকা পড়া! আর এমন হত যে বাসায় আমি সবার আগে পত্রিকা নিয়ে পড়তাম! আব্বুরও আগে! পত্রিকার মজার মজার সব খবর, আশ্চর্য জনক কোন খবর, বিচিত্র সব ছবি , গল্প, ইতিহাস, মজার সব কার্টুন, ধাঁধাঁ, কৌতুক, ছড়া, গল্প, নতুন কোন যন্ত্র তার বিবরণ ছবি সহ, অদ্ভুতুরে গল্প, এ সব পরতে ভীষন ভালো লাগত। এক সময় এসব কেটে কেটে রেখে দিতে শুরু করলাম ফাইলে গুছিয়ে। মাঝে মাঝে বের করে পরতাম। সবাইকে পরতে দিতাম। আরও নিতাম সুন্দর কোন দৃশ্যের ছবি। কি যে আনন্দ পেতাম এসব জমাতে!

কাগজ অনেক অনেক জমে গেল যখন, দাদা তার ট্রাংক আমাকে দিয়ে দিল। তারপর ফাইল থেকে বের করে সব কাগজ সাজিয়ে রেখে দিলাম সেখানে। :D

আমার কাগজ কাটার এই পাগলামি এতই বেড়ে গিয়েছিল যে আমার টেবিল, আমার বই খাতার নীচে, আমার টেবিলের ড্রয়ার, আলমারির উপর সব জায়গা ভর্তি হয়ে যেত। এমন অবস্থা যে পেপার কাটাই দেখা যেত সব জায়গায়! :P

আমার এই শখ আম্মুর জন্য ছিল যন্ত্রণা! আম্মু দেখল এভাবে হলে আর বাসায় কাউকে থাকতে হবে না কিছুদিন পর শুধু পেপার কাটাই রাখতে হবে! :P তাই আম্মু আমাকে না জানিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে আমার ট্রাংক এর নিচের কাগজ একটু একটু করে নিয়ে /:) ফেলে দিত।
আর আমি নতুন কাগজ কেটে কেটে উপরে রাখতাম। নিচের কাগজ গুলোর খোঁজ নেয়া হত না সব সময় কাগজ জমানোর আনন্দে। হঠাৎ হঠাৎ খেয়াল হত আর ভাবতাম এত কাগজ কাটি :-* তাও ট্রাংক ভরে শেষ হয় না কেন!

আবার মাঝে মাঝে কাগজের মাঝে প্রয়োজনিয় কোন একটা খুজতে বসে পেতাম না হয়ত।অবাক হয়ে যেতাম কিন্তু তাও বুঝতে পারতাম না কাগজ গুলো যে নাই বা গেল কোথায়! অনেক পরে আমি জানতে পেরেছিলাম যে আম্মু এই কাজ করত লুকিয়ে! :((

আমার এই কাগজ কাটার মাঝে আরেকটা প্রিয় ছিল রান্নার রেসিপি নেয়া, বাসার ডেকোরেশন এর ছবি নেয়া। আমার এত কাটা কুটির জমানো কোন কিছুই নেই এখন আর। কিন্তু কিছু রেসিপি আর ইন্টোরিয়র ডিজাইনের অনেক ছবি আছে এখনও। রেখে দিয়েছি। জানি না কত দিন রাখতে পারব!

;) আমার কাগজ কাটা কুটির অভ্যাস টা এখন পরিবর্তন হয়ে হয়েছে কোন সাইটের স্ক্রিনসট নেয়া বা লেখা কপি করে রাখা! :P মজার সব গল্প, দরকারি টিপস, ছবি, ইতিহাস, কার্টুন, রেসিপি, তথ্য, টিউটোরিয়াল আরও যে কত কিছু রাখি! B-)

সব অবশ্য হযবরল ভাবে জমে গেছে! সব সাজাতে হবে! নাহলে নিজেই খুজতে বসে বিপদে পরব! আমার পিসিতে অনেক জায়গা আছে। আশা করি আমার এই পাগলামির যন্ত্রণায় সব জায়গা শেষ হয়ে যাবে না!


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
৬৮টি মন্তব্য ৬৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×