somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এশিয়ার প্রভাবশালী ডন

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দাউদ ইব্রাহিম কাসকার। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মাদক চোরাচালানি রিং পরিচালনাকারী হিসেবে কথিত ‘ডি কোম্পানি’ বস দাউদ ইব্রাহিমের আস্তানা ছিল ভারতের চলচ্চিত্র নগরী মুম্বাই। দাউদের শৈশব-কৈশোরের স্থান নাগপাদায়। সশরীরে না থেকেও এই নগরীর ওপর বিশাল ছায়া বিস্তার করে আছেন দাউদ ইব্রাহিম। ক্রিকেট বিশ্বে তার দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারতের আলোচিত প্রযোজক গুলশান কুমারকে হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয় তাকে। বলিউডের যেসব সেলিব্রেটিকে ঘিরে তার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে তারা হলেন সঞ্জয় দত্ত, অনিল কাপুর, মন্দাকিনি ও মনিকা বেদি। সংক্ষেপে তার গ্যাংকে বলা হয় ডি কোম্পানি। অভিযোগ রয়েছে,মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আত্মগোপনকারী ভারতীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জোর অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানে সে বছর দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী আবদুর রউফ দাউদ মার্চেন্ট, আরিফ হোসেন ও জাহিদ শেখসহ বেশ কয়েক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই দাউদের অন্য সহযোগীরা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। যারা বাংলাদেশ ছাড়েনি তারা চলে যায় আত্মগোপনে। টেলিফোনে নিজেদের মধ্যে কথোপকথনও বন্ধ করে দেয় তারা। গ্রেপ্তারের পর দাউদ মার্চেন্ট পুলিশকে জানায়, দাউদ ইব্রাহিমের সন্ত্রাসী গ্রুপের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গড়তেই ভারতে প্যারোল থেকে পালিয়ে সে বাংলাদেশে এসেছিল। বাংলাদেশে আসতে তাকে নির্দেশ দিয়েছিল দুবাইয়ে অবস্থানরত আরেক মাফিয়া ডন ছোটা শাকিল। আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ঢাকায় আসে আবদুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট। আন্তর্জাতিক অপরাধী দাউদ গ্রুপের নেটওয়ার্ক গড়ার কাজও শুরু করেছিল সে। ওদিকে, দাউদ ইব্রাহিমের ছোটভাই ইকবাল ও ছোট বোন হাসিনা। মুম্বাইয়ের অপরাধ জগত একাধিক ডনের নিয়ন্ত্রণে। তবে মূল হচ্ছেন তিনজন-ছোট রাজন, অর্জুন গাউলি ও দাউদ ইব্রাহিম। এদের মধ্যে দাউদের দাপটই বেশি। দাউদ ইব্রাহিমের বয়স ৫৭ বছর। দাউদ একদা ‘ভাই’ ও ‘মুকচাঁদ’ নামে সম্বোধিত হতেন। তিনি এক নতুন ডাকনাম ধারণ করেছেন ‘বস’। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭.৫ হাজার কোটি রুপী। তাঁর বিনিয়োগ আছে শিপিং, এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে তাঁর ব্যবসার স্বার্থ। পুলিশের তাই ধারণা দাউদের রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের মূল্য এখন ২৫০ কোটি রুপী। ২০০৩ সালে এই দাউদকেই যুক্তরাষ্ট্র এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছিল। অপরাধ জগতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মধ্য মুম্বাইয়ের পুরনো মহল্লার জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে জমি এখন প্রতি বর্গফুট ৬০ হাজার রুপী। ফলে কাসকার পরিবারের সম্পত্তির দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাদের এখন কাজ না করলেও চলে। কারণ তারা বেশ কয়েকশ’ কোটি রুপী সম্পত্তির মালিক। আয়কর বিভাগ কাসকার পরিবারের দখলভুক্ত বেশ কিছু সম্পত্তিকে বেনামী তালিকাভুক্ত করেছে। ১৯৯২-৯৩ দাঙ্গার পর আয়কর বিভাগ দাউদ ইব্রাহিমের ১১টি কথিত বেনামী সম্পত্তি নিলামে তোলে। সম্ভাব্য ক্রেতাদের পুলিশী নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়া সত্ত্বেও মাত্র একজন ছাড়া আর কোন ক্রেতা জোটেনি। ওগুলোর কোনটি সিলগালা দেয়া আবার কোনটি ভাড়াটের দখলে। ইকবাল আমিরাত থেকে ফিরে আসার আগে দাউদের সাম্রাজ্যের দেখাশোনা করত বোন হাসিনা পারকার। লোকে তাকে সম্বোধন করে হাসিনা আপা। স্কুলে পড়তে পড়তেই লেখাপড়া ছেড়েছিলেন। বিয়ে হয়েছিল দাউদের সহকর্মী ইব্রাহিম ইসমাইল পারকারের সঙ্গে। লম্বা সুগঠিত শরীরের ইব্রাহিম নিজেও একজন গ্যাংস্টার। পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে। কিন্তু দশ বছর যেতে না যেতেই ট্র্যাজেডি আঘাত হানে। নাগপাদার ২ কিলোমিটার পূর্বে দাগদি চাওল হলো অরুণ গডিদি নামে আরেক মাফিয়া ঘাঁটি। তারই দলের হালদানকার ও অন্যরা নাগপাদায় ঢুকে ইব্রাহিমকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। দাউদ এর বদলা নেয়ার শপথ করেন। ‘ডি কোম্পানির’ ২৪ গ্যাংস্টার সে সময় জেজে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া হালদানকারকে সেখানে ঢুকেই হত্যা করে। গোলাগুলিতে ২ পুলিশ কনস্টেবলও নিহত হয়। ঘটনাটি ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরের। এই হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে ১৯৯০ এর দশকের গ্যাংযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ কনস্টেবলের সন্তান। দাউদ অপরাধী হিসেবে নজরে আসে মুম্বাইর এক সময়ের ডন করিম লালার ক্যাডার হিসেবে। পাকিস্তানের খ্যাতিমান ব্যক্তি বিশেষ করে শীর্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক আলোচিত। এর মধ্যে লিজেন্ড ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ অন্যতম। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে দুবাইয়ে এক চোখ ধাঁধানো পার্টিতে জাভেদের ছেলে জুনাইদ বিয়ে করেন দাউদ ইব্রাহিমের মেয়ে মাহরুখ ইব্রাহিমকে। দাউদ ইব্রাহিমের জীবন নিয়ে গবেষণাকারী পাকিস্তানি সাংবাদিক গুলাম হাসনাইনের মতে- দাউদ ইব্রাহিমের জীবন অনেকটাই মারিয়ো পুজো’র ক্লাসিক উপন্যাস গডফাদারের ডন ভিটো কর্লিয়নির মত। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে মার্কিন কমান্ডো হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এর মধ্যে দুবাইর আস্তানা ছেড়ে গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া ‘ডি কোম্পানি’ বস দাউদ ইব্রাহিম তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত তিনি আপাত নিরাপদ আশ্রয় পাকিস্তান ছেড়েছেন। তিনি ভয়ে ছিলেন যে পাকিস্তানে তার সঙ্গেও ওসামা বিন লাদেনের মত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে যে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকা হস্তান্তর করা হয়- তাতে এক নাম্বারে ছিল দাউদের নাম। ভারতের এ তালিকা হস্তান্তরের ঘটনাও দাউদকে পেরেশানিতে ফেলে দিয়েছিল। ওই লিস্টে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামীও রয়েছে যাদেরকে ভারত সন্ত্রাসী মনে করে। তালিকায় এ ধরনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদ ও জাকিউর রহমান লখবী। তালিকায় দাউদ ইব্রাহিমের মত আরও কয়েকজন ভারতীয়র নাম রয়েছে যারা ভারতে অপরাধ সংঘটনের পর পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাকিস্তানকে দেওয়া ভারতের ওই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা আতংকে আছে এটা ভেবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে যে কোনও সময়ে ভারতীয় কমান্ডোরা পাকিস্তানে হানা দিয়ে তাদের হত্যা করতে পারে লাদেনের মত। আর এর বিপরীতে পাকিস্তানের আচরণে সেখানে আত্মগোপন করে থাকা সন্ত্রাসীরা এখন আর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের ওপরও ভরসা রাখতে পারছে না। তারা ধারণা করছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থানের ভাবমূর্তি তৈরির নেশায় পাকিস্তান তাদেরকে বলির পাঁঠা বানিয়ে ফেলতে পারে- যে কোনও সময়। তাই তাদের চোখে ঘুম নেই। দাউদের বিশ্বস্ত কেউ যে কোনও সময়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে বসতে পারে- যার জের ধরে করাচির নিরাপদ আশ্রয়ে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ নিধন যজ্ঞ- এই ভীতি ডি কোম্পানিকে বেসামাল করে দিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় দাউদ বাহিনী আশংকা করছিল যে, তাদের করাচির সুরক্ষিত আস্তানায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হামলা হতে পারে। এ আশংকায় তড়িঘড়ি পাকিস্তান ছেড়েছে দাউদ ও তার শীর্ষ স্যাঙ্গাতরা। কিন্তু তারা পাকিস্তান ছেড়ে কোথায় গিয়েছে তা জানাতে পারেনি সূত্র। তবে অনেকেই অনুমান করছেন, দাউদ ইব্রাহিম আফ্রিকার যে কোনও দেশ, অস্ট্রেলিয়া, উপসাগরীয় কোনও দেশ, ইউরোপের কোনও দেশ এমনকি যক্তরাষ্ট্রেও আত্মগোপনে গিয়ে থাকতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালানে তার শক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের মতে, ১৯৮৬ সালে মুম্বাই ছেড়ে আরব সাগরের ওপারের তেলসমৃদ্ধ দেশ আরব আমিরাতের দুবাইতে গিয়ে আস্তানা গাড়ে দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে সিরিয়াল বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভারতের করা দাগী আসামিদের তালিকায় ১ নম্বরে আছেন দাউদ। ১৯৯২ সালে গুজরাটের দাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক দল শিবসেনা ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে শত শত মুসলিম নিধনের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া ওই সিরিজ বোমা হামলায় ২৫৭জন নিহত ও আহত হন ৭শ’রও বেশি। এ ঘটনার পর আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে ভারতীয় গোয়েন্দা এবং ওইসব দেশের পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দাউদ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে আল কায়েদা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। দিল্লি বারবার পাকিস্তানকে তাগাদা দিয়েছে তাকে হস্তান্তরে। জবাবে পাকিস্তান প্রতিবারই জানিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে নেই। ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেসের এক রিপোর্টে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছিল যে, দাউদ ও তাঁর দল দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন স্বার্থের প্রতি সরাসরি হুমকি। এদিকে, আইপিএলে চাঞ্চল্যকর স্পটফিক্সিংয়ে সন্দেহের তীর মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের দিকে। স্পটফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন শান্তকুমার শ্রীশান্থ। ২০১৩ সালের ১৭ মে শুক্রবার জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিলেন এই ভারতীয় পেসার। তিনি জানিয়েছেন, জিজু জনার্ধন নামের এক বুকি তাকে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। এর আগে অবশ্য পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন আর এক অভিযুক্ত অঙ্কিত চৌহান। তিনিও তার দোষ কবুল করেছেন বলে খবর। আইপিএলে চাঞ্চল্যকর স্পটফিক্সিংয়ে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের যোগাযোগের সম্ভাবনা তীব্র হয়ে উঠল। এই গোটা স্পট ফিক্সিং সাগার মূল মস্তিষ্ক হিসাবে চিহ্নিত সুনীল রামচন্দানি ওরফে সুনীল দুবাই দাউদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট। বুকি মহলে অবশ্য এই ব্যক্তি জুপিটার নামেই খ্যাত। চন্দ্রেশ নামক আর এক বুকি টেলিফোনে এই সুনীলকে জুপিটার নামেই সম্বোধন করেছে। অন্যদিকে, বুকিরা টাকার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীশান্থ ও অন্য দুই অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে মহিলা সঙ্গের যোগানও দিয়েছিল বলে তথ্যে উঠে এসেছে। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের সাবেক ক্রিকেটআর অমিত সিংয়ের নামও। পুলিশ সূত্রে খবর অমিত বুকিদের হয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। গ্রেফতার করা হয়েছে অমিত সিংকেও। এরসঙ্গেই পুলিশের স্ক্যানারের তলায় এখন রাজস্থানের ১৫টি ম্যাচ। বুকিদের সঙ্গে আটক ক্রিকেটারদের কথোপকথনের যে টেপ পুলিশের কাছে রয়েছে তার থেকে স্পষ্ট বুকিরা ওই তিনজনের মহিলা এসকর্ট সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করেছিল। মানান ও চাঁদ নামক দুই বুকি অন্ততপক্ষে তিনবার শ্রীশান্থ ও অজিত চান্ডালিয়ার জন্য মহিলা সঙ্গের ব্যবস্থা করেছিল। মুম্বাইয়ের যে হোটেল থেকে শ্রীশান্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে শ্রীশান্থের সঙ্গে একই কামরায় তখন এক মহিলাও ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে এই গোটা ঘটনায় টাকার খেলা চলেছে তা ডি কোম্পানির সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগের স্পষ্ট ইঙ্গিতবাহী। বিতর্কিত পেসার শ্রীশান্থ সহ রাজস্থান রয়্যালসের দুই বোলারেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি ওভারে রান দেওয়ার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার কথা বলেছিল বুকিরা। খেলোয়াড়দের ফোন ট্যাপ করে এই তথ্যই পুলিশের হাতে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে এই তিন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করে। বিসিসিআই তিনজনকেই বহিস্কার করেছে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×