প্রেমের পথ থেকে সরাতে না পেরে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী লতা পারভীন (১৪)কে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করেছে তার পিতা নবীর উদ্দীন। বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া এলাকার খাসপাড়া আদর্শ গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিজের বাড়ির শয়ন কে নবীর উদ্দীন এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
ঘটনার পর থেকে নবীর উদ্দীন পলাতক রয়েছে। লতার ভাই আব্দুল মোতালেব বাদি হয়ে পিতাকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
লতার মা রাজিয়া বেগম জানান, গতকাল তার দুই ছেলে বাড়ির বাইরে ছিল। স্বামী এবং মেয়ে লতাকে বাড়িতে রেখে তিনি বনপাড়া বাজারে চিকিৎসকের কাছে যান। লতা সেই সময় স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিছু সময় পরে লতার পিতা বনপাড়া বাজারে গিয়ে তার কাছে বাড়ির চাবি দিয়ে আসে। চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরে এসে ঘরের দরজা খুলে তিনি মেঝেতে লতার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ময়না তদন্তের জন্য লতার লাশ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বনপাড়া হাইস্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী ও শিকেরা লতার হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে লতা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। সপ্তাহখানেক আগে তাদের উদ্ধার করা হয়। এই পথ থেকে সরাতে না পেরে হয়ত বা ক্ষুদ্ধ হয়ে নবীর উদ্দীন এই হত্যাকান্ড ঘটায়।