আমাদের দেশে সব কিছুতেই ডিজিটালের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। যেমন - ডিজিটাল টাইম, ডিজিটাল লোডশেড়িং, ডিজিটাল বক্তৃতা ইত্যাদি। সবকিছুতেই যেহেতু ডিজিটালের দৌরাত্ন, তাই যারা নতুন বিয়ে করবেন তারা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় যৌতুক আদায় করতে পারেন। নিম্ন ডিজিটাল পদ্ধতি বাতলে দেয়া হলো :
বিয়ের আগে : বিয়ের আগে শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক নেবেন না এমন ব্যবহার করুন এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তমিজের সঙ্গে আচরন করুন। বিয়ে ঠিক করার এক মাস আগে ঘর সাজানোর যাবতীয় মালামাল ভাড়া করুন।
বিয়ের পর : বিয়ের কিছুদিন পর ভাড়া করা মালপত্র ফেরত দিয়ে দিন। বউকে বলুন, আমি তোমার বাবার কাছে কোনো যৌতুক চাই না। কারণ আমি যৌতুকের বিরোধী। তোমার টেলিভিশন দেখার শখ। তাই তোমার বাবার টেলিভিশনটা চেয়ে নিয়ে আস। তোমার বাবার বাড়ির মেহমান এলে তাদের মাটিতে বসতে দেয়া যায় না। তাই সোফাসেটের ব্যবস্থা কর। যে গরম পড়েছে, তাতে ফ্যানের বিকল্প নেই। তাছাড়া সামনে শীত আসছে। ফ্রিজ, খাট আলমারিসহ যাবতীয় ঘর সাজানো জিনিসের একটা তালিকা তোমার বাবার কাছে দিয়ে আসবা। তোমার বাবা বলেছিলেন, মেয়ের সুখের জন্য তিনি সবকিছু করবেন। তাছাড়া আমার ব্যবসার জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলতেও ভুলবে না। তোমার বাবা যদি না দিতে চান, তবে কোনো সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আমি আরেকটা বিয়ে করে যৌতুক এনে তোমার সব অভাব পূরণ করবো!
সুতারাং বউকে আর কিছুই বলার প্রয়োজন হবে না বলে আমার বিশ্বাস। দেখবেন ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আপনার সবকিছু এসে আপসে আপ হাজির হয়ে যাবে আপানার বাসায়। কি বুঝলেন? সবকিছুতেই ডিজিটাল প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে যাবেন না কারণ এতে আপনার বিপদ হতে পারে আপনার ঘরের বউয়ের হাতে ...! আর এতে আপনি হয়ে যেতে পারেন ডিজিটাল জামাই। মন্দ ও হয় না কি বলেন?