কাল গিয়েছিলাম ডিজিটাল উদ্ভবনী মেলা-২০১০ এটা কালই শেষ হলো ভাবলাম দেখী সরকার কিভাবে আমাদের দেশকে ডিজিটাল করছে। মেলায় যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে অবশ্যই এটা সম্ভব। আপনারা কেউ সেখানে গিয়েছেন কিনা বা দেখেছেন কিনা বাংলাদেশের সকল মন্ত্রনালয় সেখানে স্টল দিয়েছে। তাদের আপডেট তারা সাধারন দর্শনার্থীকে দেখাতে মরিয়া হয়ে গেছে। আমি প্রায় সবগুলো স্টল দেখার চেষ্টা করেছি। তার ভিতর কয়েকটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমি চাচ্ছিলাম আপনাদের সাথে আমার সেই ভালো লাগা এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল হবার সম্ভাবনাকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা। যেমনঃ
• মোবাইলের মাধ্যমে মাই অর্ডার। এটা খুব ইজি এবং অনেক তাইম কনজিউম করে।
• অনলাইন জিডি। তবে এটা আরো আপডেট করা হলে ভালো হত। যেমন এখানে বলা হয়েছে। আপনি জিডি করার পর আপনাকে থায় গিয়ে জিডির কপিটা নিয়ে আস্তে হবে। এটা না করে সেটা আমি কিভাবে বাসায় বসে পেতে পারি তার ব্যবস্থা করলে মনে হয় আরো ভাল হতো।
• আর একটা বিষয় আমার খুব খুব ভালো লেগেছে। এটা ভূমি মন্ত্রনালয় করেছে। এটা এখন সাধারন জনগনের সামনে ওপেন করে দেয় নাই। তারা যে কাজটি করেছে তাহলো তারা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সকল জমির ডাটাবেজ তৈরী করেছে। আপনি আপনার নাম, এলাকা, দাগ নাম্বার, খতিয়ান নাম্বার দিবেন আপনার জমির পরিমান সহ ডিটেইলস বের হয়ে যাবে। তাদের সাথে আমি কথা বলে দেখলাম এটা নাকি সারা বাংলাদেশে করবে। এটা শেষ হতে ২০১৫ সাল লাগতে পারে। কিন্তু এখানে একটা কথা আছে কেউ যদি জমি জবর দখল করে তার নামে একবার ডাটাবেজ তৈরী হয়ে গেলে তার নামেই জমিটা হয়ে যাবে। এখানে সরকারের অতিরিক্ত নজর দিতে হবে।
• বানিজ্য মন্ত্রনালয় করেছে। আপনি একটা নতুন কম্পানি খুলবেন তাহলে আপনার আর দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না আপনি বাসায় বসে আজ তা করতে পারবেন। তবে আপনার ফি জমা দিতে হবে ব্রাক ব্যাংকের মাধ্যমে।
• আপনি বাস বা ট্রেন বা প্রেনের টিকেট কাটবেন তাহলে তা আজ ঘরে বসি করতে পারবেন। এ কাজতা করেছে তথ্য মন্ত্রনালয়।
এভাবে আরও অনেক কিছু। আমার সত্যি খুব ভাল লেগেছে। কাজ মেলায় এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী, স্পীকার, জয়, জাফর ইকবাল। আমি অনেক ছবি আমার ক্যামেরায় ধরেছি কার্ডরিডার এই মুহুর্তে আমার কাছে নাই। পরে আমি আপনাদের সাথে এটা শেয়ার করব।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৩১