somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টিফেন হকিং কেমব্রিজ ছাড়ছেন!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোহাম্মদ আবুল হোসেন: প্রায় ৫০ বছর পর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। সরকার বিজ্ঞান গবেষণা থেকে বাজেট কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে গেলে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন কানাডা। ৩রা মার্চ অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জনকারী এই বিজ্ঞানী কেমব্রিজ ছেড়ে গেলে তা কেমব্রিজের মতো ইউনিভার্সিটির জন্য বড় ধরনের একটি ক্ষতি হবে। বৃটেনের বিজ্ঞানী মহলের জন্যও তা হবে বড় একটি ধাক্কা। স্টিফেন হকিং ( ৬৮) স্নায়ুতন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছেন। সে অবস্থায় লিখেছেন বিশ্বের বেস্ট সেলার ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’। তিনি ১৯৬৮ সালে কেমিব্রিজে যোগ দেন। সেখানে স্যার আইজাক নিউটনকে সম্মান জানিয়ে গণিত বিভাগের লুকেসিয়ান চেয়ারে বসানো হয়েছিল। আইজাক নিউটনের পরে ওই চেয়ারে বসানো হয় স্টিফেন হকিংকে। সেই হকিং এখন দুই মাস কাটাবেন কানাডার অন্টারিওতে অবস্থিত পেরিমিটার ইন্সটিটিউটে। যদি সব কিছু পরিকল্পনামতো চলে, তাহলে সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। তার এক মুখপাত্র বলেছেন, সরকারের বিজ্ঞান গবেষণা নীতিতে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। এর ফলে বৃটেন বিশ্বের সেরা একজন গবেষককে হারাবে। সরকার তার খরচ বাঁচাতে উচ্চ শিক্ষা থেকে আগামী ৩ বছরের জন্য ১শ’ কোটি পাউন্ড কেটে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখানেই আপত্তি স্টিফেন হকিংয়ের। তার গ্রাজুয়েট সহকারী স্যাম ব্লাকবার্ন বলেছেন, প্রফেসর হকিং কানাডা চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তা নির্ভর করে কানাডার ওই ইন্সটিটিউটে তার সফর কতটা সফল হয় তার ওপর। ওই ইন্সটিটিউটে গাণিতিক পদার্থবিদ্যায় অধিষ্ঠিত ছিলেন নিল তুরোক। তিনি ২০০৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন। স্টিফেন হকিং ওই ইন্সটিটিউটে গেলে তাকে ঠিক ওই পদে বসানো হবে। প্রফেসর তুরোক বলেছেন, প্রফেসর স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা। সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারেন। এটা সেই ইন্সটিটিউট যেখানে চার্লস ডারউন তার যুগান্তকারী বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বর্ণনা করেছেন। এখান থেকেই ফ্রাঁসিস ক্রিক এবং জেমস ওয়াটসন অবমুক্ত করেন ডিএনএ (ডিঅঙি রাইবোনিউক্লিক এসিড)-এর গঠন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×