বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মেয়েকে বেঁধে রেখে তার সামনে মাকে ধর্ষণ করেছে দুই আওয়ামী লীগ কর্মী। মায়ের ধর্ষণের ঘটনা দেখে লজ্জায় ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। এ অবস্থায় ধর্ষিতা মা ধর্ষক দু’জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ বলেছে, ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতার পরকীয়া ছিল। ধর্ষক দু’জনের কোন রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা তা তারা জানেন না। মামলা সূত্রে জানা যায়, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামের রেফাত আলী সরদারের ঘরে ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাতে কৌশলে দরজা খুলে ঢুকে পড়ে ছাত্রলীগ কমী মিন্টু সরদার (২৭) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রুহুল আমিন ওরফে লেদু সরদার। এক পর্যায়ে তারা দু’জন রেফাত আলীর স্ত্রীকে (৩৫) গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় তার মেয়ে শারমিন ঘুম থেকে উঠলে তাকে বেঁধে তার সামনেই মাকে ধর্ষণ করে। এরপর দু’জনের মধ্যে একজন দৌড় দিয়ে শারমিনকেও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শারমিনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দু’জনের একজন পালিয়ে গেলেও মিন্টু সরদারকে জনতা আটক করে। ঘটনার পরদিন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এ গ্রামের মেম্বারসহ স্থানীয় লোকজন সালিশ করে মিন্টুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে মায়ের ধর্ষণের ঘটনা নিজ চোখে দেখে তার সঠিক বিচার না পেয়ে দু’দিন পর শারমিন আত্মহত্যা করে। ধর্ষিতার মামলার ভিত্তিতে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল হোসেন বেপারী মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ধর্ষণ সংক্রান্ত মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলসহ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর আদেশ দেন। এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান। ওসি জানান, তিনি শুনেছেন ধর্ষক লেদুর সঙ্গে শারমিনের মায়ের পরকীয়া ছিল, মেয়ে তা জানতে পেরে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর আহমেদ জানান, লেদু সরদার জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে।