নদীর ধার ধরে দাঁড়ানো সারি সারি গাছগুলোকেও আজ সুন্দর লাগল। গাছ বললে আসলে ভুল বলা হয়। একফোঁটা সবুজ নেই তাদের গায়ে, দূর থেকে শুধু দেখা যায় তাদের খয়েরি রঙ আর রুগ্ন ডালপালা। শিরশির করে গা। আবার মাঝেমাঝে দেখলে কেমন যেন মায়াই হয়। আজ আকাশটা অন্য দিনের চাইতেও বেশি নীল ছিল। অনেকদিন পর পাখিদের দেখলাম, শুনলাম তাদের কলকাকলি। আহ, প্রতিটি দিন যদি এমন ঘন নীল আর হলদে রঙে রাঙানো হত।
এবার হয়ত বসন্তটা বেশি দেরি করবে না আসতে। গতবারও তাই ভেবেছিলাম কিন্ত ঋতুরাজের আসতে সেবার প্রায় এপ্রিল যাই যাই করছিল।
অসম্ভব ঠান্ডা এই মিনেসোটাতে সামান্য গরমেই যেন মানুষের মন নেচে ওঠে, হৃদয় গেয়ে ওঠে গান। নাকি আমার মত পরবাসি মনই শুধু আনন্দের বন্যায় ভেসে যায় সামান্য হলুদ রোদের ছোঁয়ায়?
আজ পা পড়তেই বরফ চৌচির হয়ে মিশে যাচ্ছিলো পিচঢালা পথে। বরফগুলোও বোধ হয় টের পেয়েছে যে তাদের যাবার ঘন্টা বাজলো বলে...। আমিও চাই ঘন্টা বাজুক, জোরে জোরে বাজুক। চারিদিক কাঁপিয়ে যেন ঋতুরাজ হানা দেয়, আর রাঙিয়ে দেয় আমার চারপাশ ঘন নীল আর হলদে রঙে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬