১. সংগঠন হিসেবে শিবির সুসংগঠিত কোন সন্দেহ নেই। কারন তারা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক ফরমেটকে কপি পেষ্ট করে কাজ করেছে। সবাই জানেন কপি-পেষ্টে শিবিরের তুলনা নাই।
২. জামাত-শিবির করে মূলত দুধরনের মানুষ। মোনাফেক ও আবাল। গোলাম আজম নিজামী-মুজাহিদরা হলো 'মোনাফেক' দলের, আর মগজ ধোলাইকৃতরা হলো 'আবাল' দলের। এখানে মোনাফেক কতজন আছে জানিনা, তবে আবালের সংখ্যা কম না।
৩. জামাত হলো এজিদের ভাবাদর্শিক দল। এজিদও মুসলমান ছিল। কিন্তু বেশীর ভাগ মুসলমান তাকে মুসলমান মনে করে না তার চরিত্রের জন্য। আলেমদের মধ্যে ক্ষুদ্র একটা অংশ তাকে মুসলমান স্বীকৃতি দিতে চায়, তার মধ্যে অন্যতম মধ্যযুগের ইসলামী চিন্তবিদ আল তায়মিয়া। ওই আল তায়মিয়ার ভাব শিষ্য ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্টাতা আবদুল ওহাব এবং পরবর্তীকালে আবুল আলা মওদুদী। সেই মওদুদীর সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। এজিদের ভাবাদর্শে চালিত দলকে যারা সমর্থন করে তারা কী মুসলমান?
৪. জামায়াতের ব্যবসায়িক ভন্ডামির প্রধান নিদর্শন ইসলামী ব্যাংক। মীর কাশেম আলী ও তার ব্যবসায়িক পার্টনারের সাথে আমার প্রত্যক্ষ লেনদেন আছে যাতে ভন্ডামীর চুড়ান্ত নজীর রয়েছে। কেউ প্রমান দেখতে চাইলে দেখাতে পারবো ব্যক্তিগত পর্যায়ে। এখানে প্রকাশ করছি না ব্যক্তিগত প্রতিশোধ হয়ে যাবে বলে।
৫. মানুষ ধর্মের ব্যাপারে স্পর্শকাতর দুর্বল। সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মগজ ধোলাইকৃত আবালদেরকে ধর্মের আফিম খাইয়ে হাতে ধামা তরবারি ধরিয়ে দিয়ে আল্লাহ রসুলের শান্তির বানীকে নিষ্ফল প্রমানিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল কোন ব্যাপার না। এটা এমন আফিম এমনকি সে নিজের বাপকে জবাই করতেও দ্বিধা করবে না। কারন সে আবাল, তার বিবেকটা ব্রেইন ওয়াশ করার সময় কমোডে ফেলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই কাজটাই চলছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে এই আফিমের ঐক্য নেই, এত আবালও নেই।
৬. আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ইসলামকে মার্কেটিং টুল হিসেবে ব্যবহার করে হালাল সাবানের ষ্টাইলে ব্যবসা করছে ইসলামী ব্যাংকিং নামে, তেমনি জামাতের নতুন আরেকটি মার্কেটিং টুল 'মুক্তি'যুদ্ধ। এদেরও মুক্তিযুদ্ধা প্রতিষ্ঠান আছে, ভাষা শহীদ প্রতিষ্ঠান আছে। এসব না থাকলে সমাজে মান ইজ্জত থাকেনা। বিড়ি বানানোর প্রতিষ্ঠানও যেমন একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড রাখতে চায়(আকিজ বিড়ি বানিয়েছে AIIT মানে -আকিজ আই.আই.টি), তেমনি জামাতেরও একটা মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম দরকার। আবার সত্যি মুক্তিযুদ্ধা গেলে পাছায় লাথি খায়।
এরকম আরো বহু নজীর দেয়া যায় জামাত শিবিরের ভন্ড কর্মকান্ডের। ছোট পরিসর বলে সংক্ষেপে বলা হলো। কথাগুলো জামাতের 'মোনাফেক'দের কাজে না লাগলেও শিবিরের 'আবাল'দের কাজে লাগবে আশা করি। সিরিয়াসলি ভেবে দেখুন এখনো এই অনন্য গুন সমৃদ্ধ দলের সাথে থেকে বেহেশতের সুযোগ হাতছাড়া করবেন কি না।