ফেনসিডিল বহনের দায়ে ভোলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জাবেদ ইমামকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 27 Aug 2013, 01:01 PM
গ্রেপ্তার হওয়ার আট মাসের মাথায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
জাবেদ ইমামকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন তিনি।
এই শাস্তি থেকে হাজতবাসের সময় বাদ যাবে বলে রায়ে জানিয়েছেন বিচারক।
জামিনে মুক্ত জাবেদ ইমাম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরপরই তাকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
জাবেদের আইনজীবী গোপাল চন্দ্র সাহা ও এটিএম ফিরোজ হোসাইন বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম জাহিদ সরদার বলেন, “এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে সেই ধারার বদলে বিচারক অন্য ধারায় কম শাস্তি দিয়েছেন।”
এ মামলার রায় দেয়ার আগে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক।
গত বছর ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইডেন কলেজের সামনে থেকে ফেনসিডিলসহ জাবেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আরেকজনের অনুরোধে তিনি ফেনসিডিল পরিবহনে রাজি হয়েছিলেন।
কিন্তু অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই জাবেদকে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে বাধ্য করার বিষয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চায় উচ্চ আদালত। পুলিশের ছয় কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
পরে নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জাবেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই বিচারক ৩৪২ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল বহন করছিলেন।
মামলা হওয়ার পরপরই সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জাবেদকে।
২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালের মে মাসে সহকারী জজ হিসাবে চাকরি শুরু করেন জাবেদ ইমাম। সম্প্রতি যশোর থেকে তাকে ভোলা বদলি করা হয়েছিল।
তার গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহ সদরের আমদলিয়ায়।