অম্লান দত্ত । বিশিষ্ট একজন বুদ্ধিজীবি । ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহন করেন কুমিল্লা জেলায়। দেশ বিভাগের সময় কলকাতাবাসী হন । ছিলেন অর্থনীতির শিক্ষক। দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ - ''উন্নয়নের তত্ত্ব ও ভবিষ্যত '' ,''সাম্যবাদের সংকট ও অন্যান্য রচনা'' , '' দ্বন্দ্ব ও উত্তরণ'' , '' বিকল্প সমাজের সন্ধানে'' , '' সমাজ সংস্কৃতি স্মৃতি '' ইত্যাদি।
গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বৃহস্পতিবার ৮৬ বছর বয়সে কলকাতায়
প্রয়াত হয়েছেন এই কৃতি মানুষটি ।
তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই লেখাটি এখানে তুলে দিলাম ।
----------------------------------------------------------------------
মননের মূল্য
অম্লান দত্ত
======================================
সংস্কৃতে একটি চমৎকার শ্লোক আছে যার ভাবার্থে বলা হয়েছে, বৃক্ষ বাঁচে পশুপাখিও বাঁচে, তবে তিনিই যথার্থভাবে জীবিত বটে মননের দ্বারা যাঁর মন জীবিত রয়েছে। চেতনার বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা মূল্যবান কথা। যাকে আমরা সাধারণ দৃষ্টিতে জড়বিশ্ব বলে জানি তারই অভ্যনর থেকে দীর্ঘ বিবর্তনের পথে চেতনার উদ্ভব হয়েছে। মননের নানা স্থর আছে। বৃক্ষেরও চেতনা আছে, তবু মানুষের চেতনার সঙ্গে তার গুণগত পার্থক্য অস্বীকার করা যায় না। বিভিন্ন মানুষের ভিতরও চেতনার স্থরের প্রভেদ স্বীকার্য, সবাই মননশীল বলে পরিচিত হন না।
মানুষে মানুষে ভেদ ও অভেদ দুয়েরই মান্যতার প্রয়োজন আছে। প্রসঙ্গ অনুসারে কখনো একদিকে জোর দিতে হয়, আবার কখনো অন্যদিকে। মানবাধিকার নিয়ে সাধারণ আলোচনায় সাম্য বা অভেদের কথাটা প্রধান। সংস্কৃতির আলোচনায় কিছু গুণগত পার্থক্য উপেক্ষা করা যায় না। যেমন ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ভেদ আছে তেমনই এক যুগের সঙ্গে অন্য যুগেরও মানসিকতায় পার্থক্য লক্ষ করা যায়। মনন শব্দটির অর্থের বিস্তার উল্লেখযোগ্য। সংকীর্ণ অর্থে মননশীল মানুষ বলতে দার্শনিকদের কথাই প্রথমে মনে পড়ে। বিস্তৃত অর্থে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-বৈজ্ঞানিক সবাই নিশ্চয়ই মননের জগতের অন্তর্ভুক্ত। সৃজনশীলতাই মূল কথা। মননের জগতে দ্বন্দ্ব মিলনের খেলা নিরন্তর চলছে। কখনও খেলাটা বিশেষভাবে প্রাণময় হয়ে ওঠে, নবজাগরণের যুগ বলে সেই সময়টা চিহ্নিত হয়। কখনও আবার সৃজনশীলতা নিস্তেজ হয়ে আসে।
বাংলার উনিশ শতকের নবজাগরণের কথা ধরা যাক। নাগরিক মধ্যবিত্ত সমাজে সৃজনশীলতার আশ্চর্য বিকাশ ঘটেছিল সেদিন। জীবনের নানা ক্ষেত্র থেকে অসামান্য প্রতিভাশালী এতো মানুষ সহসা আবির্ভূত হয়েছিলেন তখন সময়ের ছোটো ছোটো খণ্ডের ভিতর, সে-কথা ভাবলে আজ শিহরিত হতে হয়। ১৮৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্ম, তিনি একাই সেই সময়টাকে আলোকময় করে রাখতেন যদি অন্য কাউকে আমরা না পেতাম তাঁর পাশে। অথচ ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৩ অবধি মাত্র চার বছরের ভিতর জন্ম নিয়েছিলেন বিচিত্র গুণময় একঝাঁক যুগস্রষ্টা ব্যক্তিত্ব। ওই চার বছরের সীমার ভিতরই এলেন রবীন্দ্রনাথের বিশিষ্ট বন্ধু বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯)। এলেন অসামান্য ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ (১৮৬৩)। উনিশ শতকের শেষ অবধি এই রকম বারবারই ঘটেছে। দুয়েকটি উদাহরণ যোগ করাই যথেষ্ট। ১৮৭০ থেকে ১৮৭২ দুবছরের সময়সীমার ভিতর জন্মেছেন রাজনীতির ক্ষেত্রে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, চিত্রকলার জগতে নতুন যুগের দিশারী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ধর্ম ও দর্শনের ক্ষেত্রে অতুলনীয় শ্রীঅরবিন্দ। উনিশ শতকের শেষ প্রান্তে একসঙ্গে প্রবেশ করলেন একদল কবি। নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ সালে, একই বছরে এলেন জীবনানন্দ, তারপর দুবছরের ভিতর সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ও অমিয় চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথ থেকে অমিয় চক্রবর্তী অবধি পুরো সময়টাকে একনজরে দেখলে একটা ঝোঁক চোখে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের ভিতর কাব্য, দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা অনায়াসে মিলেমিশে ছিল। শ্রীঅরবিন্দের সাধনায় কাব্য ও দিব্যদর্শনের মিলন সুস্পষ্ট। আধুনিকতার আগমনে সেই মৈত্রীবন্ধন দুর্বল হলো। এটা কিছু আকস্মিক ব্যাপার নয় যে, কবিতার জগতে দর্শনের প্রবেশকে বুদ্ধদেব বসু সন্দেহের চোখেই দেখতেন। কিছু মার্কসবাদী ভিন্নভাবে ভেবেছেন। তাঁদের প্রভাব ব্যাপক ও গভীর হয়নি। কবিতাকেই যাঁরা স্বধর্মরূপে ভেবেছেন তাঁদের মেজাজের অনেকটা মিল দেখা গেছে বুদ্ধদেবের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে। বাঙালির ঐতিহ্যপুষ্ট পদ্যানুরাগী মানসের সঙ্গে অধ্যাত্মচেতনার বিচ্ছেদের ঝোঁকটাই আধুনিক যুগে প্রবেশের পথে চোখে পড়ে। বৃহত্তর সমাজজীবনের কিছু পরিবর্তনের সঙ্গে এর যোগ আছে। বাঙালি সমাজে মননশীলতার বিকাশের পক্ষে এটা তেমন সহায়ক হয়নি। উনিশ শতকের শেষার্ধের তুলনায় বিশ শতকের শেষভাগ নিষপ্রভ মনে হয়। বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ, শ্রীঅরবিন্দ ও বিবেকানন্দের মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব আমাদের সময়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভিন্ন পথেও সমমর্যাদার মানুষ বিশ শতকের শেষভাগে তেমন নেই।
এই অবস্থান্তরের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। দুয়েকটি কথা সংক্ষেপে বলা যাক। এদেশে উনিশ শতকী নবজাগরণের পটভূমিতে ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নততর পশ্চিমি সভ্যতার সঙ্গে দেশজ সংস্কৃতির মুখোমুখি পরিচয়ের ফলশ্রুতি। বিদেশি আধিপত্যের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাস রক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল আমাদের আত্মপরিচয় নিয়ে নতুন ভাবনা ও নবনির্মাণ। এই কাজটাই মনপ্রাণ দিয়ে করেছিলেন রাজা রামমোহন থেকে বিবেকানন্দ শ্রীঅরবিন্দ রবীন্দ্রনাথ অবধি নবজাগরণের প্রমুখ সাধক। রামমোহনের মনে হয়েছিল ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যে আত্মজ্ঞানের অভাব নেই। তার সঙ্গে যোগ করা দরকার যুক্তিনির্ভর ব্যবহারিক জ্ঞান, তবেই আমরা আধুনিক যুগে আত্মরক্ষা করতে পারবো। বিবেকানন্দের মতো ধর্মপ্রচারকেরাও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্তির সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তা আন্তরিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন। এ সমন্বয়সাধিকা চিন্তার প্রেরণা পরবর্তীকালে দুর্বল হয়ে এসেছে। বৈষয়িক ভাবনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আচারসর্বস্ব ধর্ম। আপাতবিরোধী দুই ভাবের সজীব দ্বন্দ্বের ভিতর নিহিত ছিল নবজাগরণের যুগের সৃজনশীলতার উৎস। শুদ্ধ যুক্তিনিষ্ঠা ও অধ্যাত্মবোধ দুটিই নির্জীব হয়েছে পরবর্তীকালে ভোগবাদের প্রসারের সঙ্গে। এ যুগের মানুষ ভাবতে অভ্যস্ত যে, আর্থিক লাভের কৌশল আয়ত্ত করাটাই হচ্ছে যুক্তির কথা। এই সরল চিন্তা যদিও বাস্তবধর্মী বলেই পরিচিত তবু এটা প্রকৃত প্রস্তাবে অসম্পূর্ণ চিন্তা। গভীর বাস্তবতার বিচারেই এটা অসম্পূর্ণ। সামগ্রিক আর্থিক উন্নয়নের পক্ষেও এটা যথেষ্ট নয়।
আমাদের সমাজে সমস্যার বৈচিত্র্যের অভাব নেই। অনেক সমস্যারই মূলে আছে অতি লোভ। লোভের চেয়ে কম ভয়ংকর নয় বিদ্বেষ, অন্ধবিশ্বাসে আশ্রিত বিদ্বেষ। চারিদিকে হিংসা ছড়াচ্ছে। প্রবল হয়ে উঠেছে লোভ ও অন্ধ বিদ্বেষের মিশ্রণে গঠিত সন্ত্রাসবাদ। সন্ত্রাসের তুলনায় কম নাটকীয় তবু কম ক্ষতিকর নয় প্রতিদিনের জীবনের প্রায় নিঃশব্দ সেই দুর্নীতি, যার ব্যাপ্তি পুলিশে প্রশাসনে ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। পাশে পাশে আছে নানাপ্রকারের সামাজিক অসাম্য। এর অন্যতম উদাহরণ নারী ও পুরুষের ভিতর বৈষম্য, যার শোচনীয় পরিণাম পণপ্রথা। এই সময়ে আবার বিকট আকারে দেখা দিয়েছে দলীয় সংঘর্ষ। এক মূঢ় রাজনীতির দাপটে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আজ বিভ্রান্ত। ভিন্ন জাতের এক সমস্যা পরিবেশসংক্রান্ত। পরিবেশ-দূষণে বিপন্ন আমাদের দেশ, বিপন্ন সমগ্র বিশ্ব। সমস্যার বৈচিত্র্য অশেষ।
উনিশ শতকের বঙ্গে মননশীলতার অসামান্য উন্মেষ ঘটেছিল পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসী আহ্বানের উত্তরে। আজকের বিচিত্র সমস্যার আহ্বান কম প্রবল নয়, পথের সন্ধান কম জরুরি নয়। অহংকেন্দ্রিক স্বার্থবুদ্ধিকে আশ্রয় করে মুক্ত সমাজে প্রবেশ করা যাবে না। প্রস্তুত হয়েছে এই সময়ে মননশীল ভাবনার উপযোগী এক নতুন পরিবেশ। যুক্তিকে নিযুক্ত করা যায় বিবিধ উদ্দেশ্যে। ছোটো স্বার্থের সেবায় বুদ্ধি তো সতত সক্রিয়। মননের শক্তি দ্বারা বুদ্ধি ও যুক্তিকে নিযুক্ত করা সম্ভব উচ্চতর উদ্দেশ্যে। ব্যক্তিগত স্বার্থকে বিসর্জন দেবার কথা এখানে বলা হচ্ছে না। জীবনধারণের জন্য ব্যক্তিস্বার্থেরও প্রয়োজন আছে। শুদ্ধ যুক্তিবিচারের কাজ কিছু মাত্রাবোধ ও সীমার নির্দেশ দেওয়া। সেটা অনুধাবনের যোগ্য।
মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ জীব। ব্যক্তির পরিচয়ের নানা বৃত্ত আছে। নিকট প্রতিবেশীদের নিয়ে যেমন একটি বৃত্ত তৈরি হয় তেমনি নাগরিকত্বের পরিচয়ে বৃহত্তর বৃত্তের প্রতি ব্যক্তির আনুগত্যের ক্ষেত্র গড়ে ওঠে। অবশেষে মানুষ বিশ্ব নাগরিক। ছোটো বৃত্তের অংশ রূপে কাজ করাতে দোষ নেই, এমনকি সেটা অপরিহার্য। কিন' কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থের সঙ্গে যখন বৃহত্তর সমাজের কল্যাণচিন্তার দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তখন সেই বৃহত্তর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া শুভবুদ্ধি ও বিবেকের নির্দেশ।
এইসব কথা বহুদিন অবধি তাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত মাত্র ছিল, বাস্তব অবস্থার সঙ্গে তার সম্পর্ক তেমন স্পষ্ট ছিল না। কিন' ইতিহাস অথবা কালপ্রবাহের এক অভাবিতপূর্ব পটুত্ব আছে মানুষকে সম্মুখপানে চালিয়ে নিয়ে যাবার। মানুষের ঐক্যের ভাবনাটা একদিন ছিল দার্শনিক চিন্তার সমান। আমরা এখন কিন্ত সভ্যতার এমন স্তরে পৌঁছে গেছি যেখানে এটা আর দার্শনিক তত্ত্ব মাত্র নয়। কিছু পরিচিত তথ্য স্মরণ করা যাক। কোনো এক কালে যুদ্ধ ছিল আঞ্চলিক ঘটনা, এখন বিশ্বযুদ্ধ কল্পনা-মাত্র নয়। দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে, তৃতীয় মহাযুদ্ধ যদি ঘটে তবে গোটা বিশ্ব তাতে ধ্বংস হবার সম্ভাবনা আছে। এমন অবস্থা আগে ছিল না। পরিবেশ-দূষণ নতুন ঘটনা নয়, কিন্তু অতীতে এটাও ছিল অঞ্চল-বিশেষের সমস্যা, আজ এটা সমগ্র বিশ্বের সমস্যা। অত্যন্ত বাস্তব অর্থেই সারাবিশ্বের স্বার্থ আজ একসূত্রে গ্রথিত। এমন ঘনিষ্ঠ গ্রন্তন আগে ছিল না। বাস্তব অবস্থার এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে চেতনারও পরিবর্তন আবশ্যক। মানুষ জাতির আত্মরক্ষার জন্য এটা আজ আবশ্যক। সভ্যতার বিবর্তনের এই স্তরে এটাই ইতিহাসের দাবি। অতীতের অন্য এক যুগে লালিত গোষ্ঠীবদ্ধ বিদ্বেষকে যদি আজও আমরা রক্ষা করে চলি তবে আমাদের ভাগ্যে আছে ‘মহতী বিনষ্টি’। এই উপমহাদেশে গোষ্ঠীবদ্ধ সংকীর্ণ বিদ্বেষের এক ভয়াবহ রূপ সামপ্রদায়িকতা, যার বিপরীতে নিযুক্ত করা প্রয়োজন মননের শক্তিকে।
বুদ্ধি দিয়ে এসব কথা বোঝা কঠিন নয়। কিন্তু যেটা বুদ্ধিগ্রাহ্য সেটাকে হৃদয়গ্রাহ্য করে তোলা ভিন্ন ব্যাপার। চেতনার পরিবর্তন বলতে একই সঙ্গে বুঝতে হবে বিচারবুদ্ধির এবং হৃদয়ের পরিবর্তন। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই কথাটা নতুনভাবে আজ বুঝতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রথম যুগে ভাবা হয়েছে, প্রকৃতির ওপর মানুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠাই পরম লক্ষ্য। ভোগবাদের বিচিত্র অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশঘটিত বিপর্যয়ের ভিতর দিয়ে আজ বুঝবার সময় এসেছে যে, শুধুমাত্র আধিপত্য নয়, বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আত্মিক মিলনের সম্পর্ক ছাড়া মুক্তি নেই। যুক্তির সঙ্গে অধ্যাত্মচেতনার সমন্বয়ের তত্ত্বটা এইভাবে বাস্তবতার ছাড়পত্রসহ আবারো ফিরে আসে, মনুষ্যত্বের সফল বিবর্তনের শর্তরূপে। মননের মূল্য আজ বুঝে নিতে হবে এই নতুন প্রেক্ষিতে। অপেক্ষিত অন্য এক নবজাগরণ।
=======================================
[কালি ও কলম / ফেব্রুয়ারি ২০১০ ]
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া
একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই
রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।
ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন