এই সেই নদী,ঢেউ গলে শুশুকেরা মাথা তুলেছিল
জলে জলে জ্বলে উঠেছিল অত্যাশ্চর্য আলোর কেয়ারি।
সে আলোয় মিশেছিল গলুইয়ের নিচ থেকে রোদের ঝিলিমিলি
পানসি নৌকোর।রাত্রিতে চারপাশে শূণ্য হয়ে ঝুলেছিল
চাঁদ-চোয়া লাভা।তবু যেন চাঁদ নয়,কাল নয়,কোনো সময়ও নয়
থরথর নদীবুকে সময়ের বুক চিরে মানুষ জেগেছিল।
খ.
মানুষেরা লিখে নাম মাটি ও কাদায়।পাথরেও লেখা হয়।
একদিন পাথরও হয়ে ওঠে কলা-পাথর বল্লম।
পড়ে থাকে পোড়ো জমি,ঘাস।বৃষ্টি ধুয়ে দেয় প্রতপ্ত পৃথিবী।
শিশির ধুয়ে দেয় হিলহিলে ঘাস।
স্তরে স্তরে গ্লেসিয়ার জমা হতে থাকে-ঝকঝকে বরফের হাট।
মানুষেরা স্পর্শ রাখে জলে ও মাটিতে।
পরিযায়ী পাখির মতন মানুষেরা ওড়ে-
পাথরে পাথর ঠুকে অনলের ভাষা শিখে নেয়।
গ.
অতঃপর মানুষ শিখে নেয় মারণাস্ত্র-ভাষা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:১৯