somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বই কিবা এন.জি.ও মেলা নয়, বনের মহিষ অথবা ঢাকীগণের মেলা

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বক্ষ্যমান অংশটুকু বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়োজিত ফেব্র“য়ারী মাসব্যাপি ???!!!??? মেলা হতে বুঝে নেয়া হয়েছে। বক্তব্যের আশয় বিষয় যদিও মেলার সর্বাঙ্গে প্রকট তবুও পরিবর্তন কবলিত(ব্যাখ্যা পরে দ্রষ্টব্য) লিটলম্যাগ চত্বরের বাতাসে এই জাতীয় কার্বনের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশী।

বৃক্ষ তোমার নাম ?

ঐ দ্যাখা যায়... দূঃখিত ভদ্র মহোদয়-মহোদয়াগণ, গাছের চারিত্রিক সনদ নিয়ে এই মুহুর্তে আমাদের মধ্যে কিঞ্চিত সন্দেহ জাগ্রত হওয়ায় গাছের নাম বলতে পারছিনে। অবশ্য স্বয়ং রবী ঠাকুর নাকি অশোক বলে গাব গাছ লাগিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে মুক্তধারায় স্বর্গীয় চিত্তরঞ্জন সাহা কি গাছ লাগিয়েছেন আর আমরা কি ভেবে বসে আছি এতদ্বিষয়ে বৃক্ষ-বান্ধবদের সমন্বয়ে একটি নির্ণায়ক কমিটি গঠন সময়োচিত বলে আমজনতার কাতারবন্দিদের ধারণা।

শোনা কথার বিশ্বাস উৎপাদনের যোগ্যতায় সন্দেহ থাকলেও ভিজুয়াল মিডিয়ার পরিবর্তে বায়বীয় মিডিয়া, দৈনিক পত্রিকার রমরমা ব্যবসা থাকলেও মাসিক(মেয়েলি নয়) পত্রিকা, রাষ্ট্র ধারণার সাথে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হলেও তৈলাক্ত উপাংশ সমূহ এবং সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানের(জনকল্যান বা যারা নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ায় তাদের বা বনের মহিষের মেলা বলে ধরে নেয়ায়) স্থলে জনসেবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রদর্শনগৃহের সংখ্যাধিক্য মেলা চারিত্রিক সনদের যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপনে আমজনতাকে বাধ্য করে।

মেলার বিধেয়

দয়ার্দ্র ভদ্র মহোদয়গণের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। জানুয়ারী মাসব্যাপি শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার ল্য যেমন বৈদেশি অভিজাত ক্রেতাবর্গের সাথে দেশীয় এবং দেশি মালদারদের সাথে দেশে সহজলভ্য বৈদেশি বমাল প্রিয়তোষের সম্মিলন। বাদবাকি বিষয় আশয় আমজনতার (যাদের ক্রয় ক্ষমতা, ইচ্ছা, উপায় নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান) বিহার, বিচরণ স্রেফ মেলাকে একটা সর্বাত্মক চেহারা প্রদানের চেষ্টা মাত্র। ঠিক তেমনি বিবিধ এন.জি.ও, বায়বীয় যোগাযোগ মাধ্যম, জনসেবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, মাসিক/পাক্ষিক আর তৈলাক্ত উপ-রাজনৈতিক উভলিঙ্গদের মাঝে মাঝে কতিপয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান(তায় ভেজাল-নেট বই, নোট বই, তেল বই, অ-বই প্রকাশকসহ) কেন যে এই জনকল্যাণ অথবা বনের মহিষ অথবা ঢাকীগণের মেলায় অংশগ্রহণ করে তা(প্রশ্ন) যেন রাতের তারার মতো জ্বলজ্বল করে। আমজনতার বিচারে বেকুব আমজনতার ব্যবহার করে ঢাকীগণের ঢাকবাদ্যের বিষয় আশয়, বক্তব্য সরবরাহের উপযুক্ত মাল-মেটেরিয়াল প্রদর্শন, মেলাকে ‘আ---ম’ চেহারা দান এ মেলায় তাদের অংশগ্রহণের কারণ হতে পারে। অবশ্য ঢাল তলোয়ার(তাদের স্বীকারোক্তি মতো-উপযুক্ত পান্ডুলিপি বাছাই পরিষদ, সম্পাদনা পরিষদ, প্রুফ রিডার ইত্যাদি) ছাড়া এসব নামি সৃজনশীল প্রকাশনারূপি কর্পোরেট হাউসের জনপ্রিয় সাহিত্যিকগণের লেখা প্রকাশ ও পরিবেশন ব্যতিত করবার কাম অল্পই। কাজেই হিতৈষণা ব্যবসায়ী আর উপ-রাজনৈতিক উভলিঙ্গদের বৈধতাদানের মাধ্যমে এতটুকু সুবিধাবাদ তাদের জন্য জায়েজ হওয়া উচিৎ।

হ্যা। না। নিরবতা।-----।

আমজনতা সেবা ব্যবসায়ী, স্বঘোষিত, চাপিয়ে দেয়া নেতৃত্ব, তাদেও জোড়া তালিদের নিকট থেকে, দায়িত্বশীল, দায়িত্বহীনদের নিকট বিবিধ মহৎ বাণী শুনতে অভ্যস্ত এবং জিন্দাবাদ অর্থে-শিশুদের হ্যা, সমান অধিকার হ্যা, কার্যকর স্থানীয় সরকার হ্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হ্যা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হ্যা, জঙ্গি নির্মূল হ্যা আবার দুর্ণীতি না, অপশাসন না, কু না, সামরিক শাসন না, শিল্প সাহিত্যে সেন্সর না, দলবাজি না। মনে করা যায় যে ঘটনা এখানেই শেষ। কিন্তু কৌতুকের বিষয় হলো উল্লিখিত বিষয় ভূমিকারও অন্তর্ভূক্ত নয়। ঘটনা কেবল শুরু মাত্র। ভদ্র মহোদয়গণ অবগত আছেন, আমরা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। আল্লাহপাক আমাদের একজন তাঁর নিজের মাল(আল্লার মাল) দিছিলেন তেমনি আমরা বাংলার আমজনতা একজন ‘কঠিন বাস্তব’ অর্জন করেছি। যিনি আমজনতার একজন খুন হওয়াকে বিচ্ছিন্ন স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করতে পারেন। তা হতে পারে। বেশী উপরে উঠে গেলে মাটির মানুষগুলোকে বৃত্তাপো বিন্দুর মতো গুরুত্বহীন মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু-

আমরা যারা লিখতে এসেছি, লিখি, তাদের তাদের হ্যা অপেক্ষা না এর সাথে অধিপরিচয়ের কথা অবিসংবাদিত। সেই আমাদের কেউ কেউ যখন অনেক না শোনার পর দায়িত্বশীল হন তখন তাঁর না বলবার মতা সম্পর্কে আমাদের আশা জাগে একই সঙ্গে না(পদাধিকারে) শোনার ‘শক এ্যাবজর্বিং’ ক্ষমতা সম্পর্কেও। কিন্তু দায়িত্বশীলদের না এর বদলে বিবিধ(স্বাভাবিক) চাপের কাছে নতি স্বীকার করে উচ্ছিষ্টকে ভোগ্য, গুড়া কৃমিকে শাখের করাতের মর্যাদা দান অশ্লীলতা হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য।

এবং লিটলম্যাগ প্রাঙ্গনের উদ্বাস্তু সমস্যা

প্যাঁচালের শুরুতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দেয়া হবে। মহোদয়গণ অবগত আছেন যে বইমেলার এই সর্বাত্মক চেহারার একটা স্বীকৃত অংশ হলো কড়ইতলার লিটলম্যাগ প্রাঙ্গন। মতাবান, কর্পোরেট পুজির সংরক্ষিত হাওয়ার বাইরে যাঁরা বাঁচেন, বাঁচতে পছন্দ করেন তাদের আশ্রয়স্থল হলো এই লিটলম্যাগ প্রাঙ্গনের বাসিন্দারা এবার পরিবর্তন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন। লেখক-শিল্পী আড্ডার নামে লিটলম্যাগের লেখক, সম্পাদক, পাঠকদেও ‘এ লিটল ম্যাগি নুডলস' বানানো হয়েছে। বায়বীয়, ছাপানো, ইলেকট্রনিক আন্তঃযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরদূঃখে কাতর জনসেবকদের পর্দাহীন চোখের সামনে বাঁধের উপর একসারিতে নদী সিকস্তি, অপুষ্ঠিতে ভোগা দর্শনীয় উপকরণের মতো কয়েকটা স্টল। বাতাসে গুঞ্জন উঠেছে এই কতিপয়ও কর্তাব্যাক্তিদের দয়া ও আনুকূল্যের ফসল। অর্থাৎ লিটলম্যাগের ম্যাগি নুডলসদের লেখার, বলার, দাঁড়িয়ে থাকার যোগ্যতায় তেনাদের সন্দেহ প্রগাঢ়।

আমরা জিন্দাবাদ শুনতে পছন্দ করি। আমরা জিন্দাবাদ বলতেও কান্তিহীন। হাত তালি দিতেও অকৃপন।

আসুন জিন্দাবাদের পাশাপাশি আওয়াজ তুলি-
মতাকে হ্যা বলুন। ওস্তাদের মাইর কে হ্যা বলুন।
লিটলম্যাগের ম্যাগি নুডল্সদের ঝেঁটিয়ে চাঁদের দেশে পাঠাতে হবে।
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়োজিত ঢাকীগণের ম্যালায় পুতুল নাচ, সার্কাসের আয়োজন করা হোক।
বেসরকারী চ্যানেলের পাশাপাশি সাহেব বিবি গোলামের বাক্সের রিলে স্টেশন চাই। দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের এবং তাদের দেশি বিদেশি কোলেবরেটরদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ চাই। দিতে হবে।
একই সঙ্গে আমাদের কেউ ‘দিন দুপুরে মইরে’ গেলে সেটা যে একটা ঘটনা(বিচ্ছিন্ন হলেও), আসুন এই স্বীকৃতিতে আনন্দিত হই, মিষ্টিমুখ করি
এবং হাত তালি দিই।
--------০০০০০০০০০০-------------
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×