somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুয়েটের পরীক্ষা!!!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়েছে। ফেইসবুকে আমার স্ট্যাটাসে একজন এই খবর দিয়েছে রাতে। এটি অবশ্য কোন খবর নয়, বরং না পিছালে মনে হয় খবর হতো।

আমার মনে পড়েছে আমাদের সময় একবার পরপর কীভাবে রুটির দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমে Programme তারপর Revised Programme। তার দুইদিন পর Re-Revised Programme। এতেও কাজ হয়নি। পরেরটা হলো Final Programme। পাঠকরা ভাবছেন যে এই রুটিনে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। আসলে আরো বাকী ছিল। সবশেষে রুটিন দেওয়া হলো New Programme শিরোনামে!

আমি যখন প্রথম সেমিস্টারে তখন প্রথম পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন দেখি। তখন ইনামুল ভাই, রুমি ভাই আমাকে বোঝালেন - একমাস ভাল না এক বছর ভাল। মানে যদি একমাস পেছানো হয় তাহলে তুমি পাস করতে পারবে আর যদি না পেছানো হয় তাহলে তুমি ফেইল, মানে এক বছর নষ্ট! এর মানে হলো আমাদের আগে থেকে বুয়েটে পরীক্ষা পিছানোর সংস্কৃতি চালু আছে।

১৯৮৬ সালে ক্যাম্পাসে এসে আমরা ‘পলাশীর যুদ্ধের’ কথা শুনেছি। সম্ভবত ১৯৮২/১৯৮১ সালে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনে সুবিধা করতে না পেরে নেতারা একট মহত উদ্যোগ হাতে নেন, পলাশী এলাকায় দখলকৃত বুয়েটের জমি উদ্ধার! বর্তমানে যেখানে রশীদ হল আর একটা ইন্সটিটিউট সে জায়গাটা তখন উদ্ধার করার জন্য আন্দোলন শুরু করা হয়। সে এক বিরাট গল্প। তবে, ফলাফল হলো পরীক্ষা পন্ড, হল ভ্যাকেট আর অনির্দিষ্ট কালের বন্ধ।
খোলার পর কতৃপক্ষ পরীক্ষা শুরু না করে ক্লাশ শুরু করে দেন। ফলাফল হলো পরে দুই সেমিস্টার পরীক্ষা এক সঙ্গে দিতে হয়!
আমাদের সময়কালে নেতারা এই অভিজ্ঞতা মনে রাখতেন যাতে তমেন কোন গ্যাঞ্জাম না হয়। বিশ্বকাপ ফুটবল সহ বিভিন্ন উছিলায় পরীক্ষা পেছানো হয়।

আমরা পাস করার পর কোন একবার বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য বুয়েটে পরীক্ষা পেছানোর মিছিল হয় যার ছবি ছাপা হয় সিঙ্গাপুরের একটি পত্রিকায়। ক্যাপশন ছিল এটি এমন এক দেশের ফুটবল উন্মাদনার ছবি যেখানে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন খেলা দেখার জন্য পরীক্ষা পেছাতে যাচ্ছে যে প্রতিযোগিতায় তাদের দেশ কবে যোগ দেবে তা কেহ বলতে পারে না!
তারপর থেকে আমার ছোটভাই (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার - সে সময় সিঙ্গাপুরে ছিল।) এই নিয়ে আমাকে খোঁচাতো আর আমি নীরবে সেটা মেনে নিতাম।

বেশ কিছুদিন আগে এর স্যার আমাকে বলেছেন যে এখন বুয়েট এক ক্যালন্ডোর ইয়ারে এক একাডেমিক ইয়ার সম্পন্ন হয় না।


বুয়েটের এই সংস্কৃতি কী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলতেই থাকবে!!!!

আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুন।

১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সততা হলে প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে

লিখেছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের মনে যে প্রশ্নগুলো থাকা উচিত:

(১) ওজন মাপার যন্ত্র কী ঠিক আছে?
(২) মিষ্টির মান কেমন?
(৩) মিষ্টি পূর্বের দামের সাথে এখনের দামের পার্থক্য কত?
(৪) এই দোকানে এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×