বোরখা পরা ছাত্রীরা প্রতিদিনই ছাত্রলীগের নেত্রীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
রাজবাড়ীর মেয়ে তামান্না। পড়ছেন বদরুন্নেসা কলেজে সমাজবিজ্ঞান তৃতীয় বষেê। কলেজের পুরনো হোস্টেলের ৩১২ নম্বর কক্ষে থাকেন। রোববার গভীর রাতে তামান্না ঘুমে। কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীরা হঠাৎ তার কক্ষে ঢুকলেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে বেধড়ক পেটান। সাথে কক্ষে অবস্থানকারী অন্য ছাত্রীদেরও। মারধরের পর তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। ছাত্রলীগের অভিযোগ তারা বোরখা পরেন। তাদের কক্ষে কুরআন শরিফ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ নয় এমন একটি ছাত্রী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপুকে এ ঘটনা জানাতে অভিভাবক সাথে নিয়ে গতকাল মধুর ক্যান্টিনে আসেন নির্যাতিত ছাত্রী তামান্না ও তার রুমমেট ফাতেমা। টিপুর বাড়ি রাজবাড়ী হওয়ায় ফাতেমা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাকে বেছে নেন। এ সময় টিপুকে উদ্দেশ করে তামান্না বলেন ‘ভাই, আমি তো কোনো সংগঠন করি না। তার পরও কেন আমাকে মারা হলো?’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার রুমে যারা থাকে তারা কোনো সংগঠন করে কি না জানি না। তবে তাদের প্রায় নামাজ পড়তে দেখি। এটিই কী অপরাধ?’ সমস্যার আশু সমাধান করা হবে বলে তামান্নাকে আশ্বাস দেন টিপু।
এ চিত্র শুধু বদরুন্নেসা কলেজের নয়, রাজধানীর বেশির ভাগ কলেজে বোরখা ও নামাজ পরে এ ধরনের সাধারণ ছাত্রীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। হোস্টেলে অবস্থানকারী বোরখা পরা ছাত্রীরা প্রতিদিনই ছাত্রলীগের নেত্রীদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কোনো সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত না হলেও নানা অভিযোগ দিয়ে তাদের হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। যারা হোস্টেলে থাকে না, তাদের ক্লাস করতে এসে নানাভাবে হয়রানির করা হচ্ছে।
সূত্র