যাইহোক, ওয়ার্পুলের ১৪ হাজার টাকার ওয়াশিংমেশিন দেখে একটুও পছন্দ হলো না, কারন তার বডি টি তৈরী হয়েছে পাতলা টিন দিয়ে, একটু জোরে লাগলেও চ্যাপ্টা হয়ে যাবে, বাড়ি দিলে ঝনঝন করে, মোট কথা একটুও ভরসা হলো না এই জিনিসের জন্য ১৪ হাজার টাকা খরচ করার। এর বেশি বাজেট ও নাই। কাজেই ওয়াশিং মেশিন কেনা বাদ দিয়ে বুয়ার হাতেই আবার কাপড়-চোপড়ের ভার ছেড়ে দেয়া হবে কিনা ভাবতে ভাবতে আরো কিছু দোকানে ঢু মারা শুরু হলো। স্যামসং-অনেক দাম। এলজিরও আছে প্রায় ১৪ হাজার টাকায়, ওয়ার্পুলের মতোই অবস্থা। সিঙ্গারের প্রতি আমার এলার্জি আছে। সিঙ্গারের কোনো জিনিস আমার ভালো লাগে না, যতটা পারি এড়িয়ে চলি। তবুও নাই কাম হিসেবে ঢু মারতে গিয়ে মজার একটি জিনিস চোখে পড়লো, সেটি হলো সাদা প্লাস্টিকের বালতির উপরে নীল ঢাকনা, দেখতে কিউট, ছোটোখাটে। জিনিসটা কি? জিনিসটা হলো একটি ওয়াসিং মেশিন, ঠিক ওয়াসিং মেশিন না, এইটারে ওরা আদর কইরা নাম দিসে "ওয়াশিং টাব"। পুরোটাই একটা খেলনা খেলনা জিনিস। পুরোটাই প্লাস্টিক। চোখের পড়ার মতো ধাতব জিনিস হলো ৪ টা স্ক্রু। বাকি সব প্লাস্টিক।
ছোট জিনিসের প্রতি আকর্ষন আমার সব সময়েই। জিনিসটা ভালো করে দেখলাম। ক্যাপাসিটি ৬ কেজি। ১০০% ম্যানুয়াল দাম মাত্র ৭০০০। কিনবো কি কিনবো না চিন্তা করতে করতে ভাবলাম কিনেই ফেলি, কেননা ধরা খেলে ৭০০০ টাকা , কিন্তু না খেলে খারাপ কি? আমি যদি একে অতি ব্যবহার না করে দরকারী ব্যবহার করি তাইলেই তো হয়।
শুধুমাত্র শার্টের কলারে বেশি দাগ থাকলে সেটি পরিস্কার করতে পারে না, বাকি সব ফকফকা । কখনই বেশি কাপড় দেইনা, আর একটি বেশি ওয়াশিং পাউডার ব্যবহার করি। প্রথমদিন জিনস প্যান্ট পরিস্কার করে আমার মনে হলো আমার ৭০০০ টাকা উসুল ।
২/৩ জন সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের লোকজন, যারা বুয়া নিয়া বিরক্তে আছেন তারা ভেবে দেখতে পারেন...
সতর্কতা:-
সুবিধা:
১. ছোট
২. দেখতে সুন্দর
৩. কম দাম
৪. মাত্র ৩৬০ ওয়াট
অসুবিধা:
১. বেশি কাপড় দিলে এ মেশিন মরে যাবে আমি ১০০% নিশ্চিত।
২. একটানা বেশিক্ষন ব্যবহার করা যাবেনা।
৩. কতদিন টিকবে এইটা সিঙ্গার ও সাহস কইরা কইতে পারবো না।
৪. দেখতে একদম খেলনা টাইপ
সতর্কীকরন: এই পোস্টের জন্য সিঙ্গার আমাকে একটি ফুটা পয়সাও দেই নাই । যদি সিঙ্গারের কোন আগ্রহী কর্মকর্তা এব্যাপারে আগ্রহী হোন তাইলে দ্রুততার সাথে এখানে কমেন্টসে ফুন নং দেন, আমিই্ আপ্নেরে খুইজা নিমুনে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৬