somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্র্যান্ড থেফট রেভ্যুলুশন -১৯৪৭

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গান্ধীর গান্ধামির কারণে মদখোর লম্পট জিন্না আর সোহরাওয়ার্দি কাবার দিক না চিন্যাই ইছলামের বিশাল বড় কান্ডারি হৈয়া বড় বড় লেতা বনে গেলো । তিল তিল কৈরা হাভাইত্যা প্রান্তিক চাষা-ভূ্যা-কলু-কামলার ভিতরে যা কিছুটা আশা জোগাড় করছিলো তার পুরাটুক দুষ্ট কামুকের কথায় পা মেলে দেয়া কুমারীর মত, মুসলিম লীগের পাঁয়ে সইপা দিয়া আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলো কম্যুনিস্টরা । ক্ষোভে দুঃখে বা পরাজয়ের যন্ত্রণায় আদিম সামুরাই যোদ্ধার মত গুম হৈলেন নেতাজি । তার পরিশ্রমের ঘিটুক বিনা পরিশ্রমে তুইলা নিলো নাজিমদ্দি খান বাহাদুর সুরাবর্দি জিন্নাহ ফিন্নাহ আর তার চেলারা । বড় অসময়ে নিজের ভুল বুইঝা অপাংক্তেয় হৈলেন হক সাহেব । আর সবকিছু ছাপায়া বড় বড় রাম-ঠাপ খাইলো হঠাৎ কৈরা খুব হিন্দু আর খুব মুসলমান হৈয়া উঠা পাল পাল কেষ্টা আর আবুলের বাপ ।

মোটা দাগে সাতচল্লিশের ভারত-ভাগের ইতিহাস এই ।

যদিও ভারত কোনদিনও একটা জাতিসত্তা ছিলো না, কোনদিনও হয়ও নাই, তবু সেই অলীক ভারত ভাগের দুঃখ পরাণে পুইষা মনোকষ্টে মারা গেলো কত রায়বাহাদুর বাল বাহাদুর । তার জ্ঞাতিগুষ্টিরা এখনো এখনকার ভারতে বৈসা সেই স্বপ্নে কি সেই দুঃখে কেজানে এখনো খেতা ভিজায়া ফালায় প্রতি রাইতে । জোড়াতালি দিয়া বড় একটা আখাম্বা আলখেল্লা বানানির সেই স্বপ্নদোষে সিকিম গেলো মহিশুর গেলো নেপাল যায় যায় ।

সেইসব পরের কথা ।

ভাত-কাপড়-কাম সমস্ত কিছুতে অতৃপ্ত দিনমান অভাবের মস্ত কুঁজ পিঠে নিয়া বাঙ্গালি হরিসূধন কি গফুর সব শালারাই শেষে ফাল দিলো । হরিসূধণ ফাল দিলো সারারাইত ম্লেচ্ছ রমণীর গতর জুইড়া জোরপূর্বক দাপাদাপি কৈরা সক্কালে গঙ্গাজলে পবিত্র হৈয়া আসা শ্রীযুক্ত শশান্ক বন্দোপাধ্যায় কি আশুতোষ হোগাপাধ্যায়ের হিন্দস্তানের গালগপ্পে । গফুর করিম রহিমও ফাল দিলো, ব্রিটিশ স্কচ আর শাদা মেমসায়েবের কটন আন্ডারওয়ারের গন্ধ শুঁইকা শুইকা লেখা সৈয়দ আমির আলীর স্পিরিট অফ ইছলামের স্পিরিটে ।

শুরু হয়তো তারো আগে থাইকা ।

বীজ হয়তো বোনা হৈছে আরো আগের যুগ যুগ ধৈরা । ব্রিটিশ সায়েবগো পা-ধোন-গা-হোগা চাইটা জমিদারি হাতায়া নিয়া আর আংরেজি পইড়া বাঙালি হিন্দু বাবুরা যখন ম্লেচ্ছ আর শুদ্রগো ভাতখাওয়া-কাপড়পড়া-হাগামুতা-বৌলাগানি সমস্তকিছুরে নাক সিঁটকাইয়া কোলকেতায় বইসা বইসা জার্মান-তুর্কি-অটোমানের গল্পে মশগুল, তখন চাটার পথে প্রথম পা বাড়ানো মোছলেম কান্ডারি ছার ছৈয়দ আহমদ আর আমির আলি আর লেট নওয়ার আবদুল লতিফদের মনে হৈলো মোছলেমদেরও শিক্ষার দরকার । কোন বাইন্যার পুতের মনে হৈলো না বাঙালির শিক্ষার দরকার ।

বীজ বোনার শুরু হৈছে তখন থাইকাই । হিন্দু জমিদারের অত্যাচার, অনাচার জুলুম এইসবের রসে আঠালো ফিরিস্তি দিয়া গফুর করিম রহিমরে যারা ফাল দেয়াইছে, তারা সেইসব রসের লোভে লোল পড়া জোতদার পাতি-জোতদার আর উঠতি বাঙালি মোছলমান জোতদাররাই । খোদার কসম এক শালাও একটা বর্ণও নিজের বিশ্বাস থাইকা কয় নাই ।

কইছে সব লোভ থাইকা ।

যেই কম্যুনিস্টরা বুঝছিলো জোতদার জমিদারের কোন ধর্ম-বর্ণ নাই । অত্যাচারের গায়ে কোন ধর্মীয় মহিমা নাই । গফুরের জমি বালোতোষ হোগাপাধ্যায় কাইড়া নেয়া আর চুতিয়ার রহমান কাইড়া নেয়ার মধ্যে গফুরের কফালের কি দুঃখের কোন হেরফের নাই, সেই কম্যুনিস্টরা ভয়কাতুরে বাঙালির জাইগা উঠা দেখা এতই অপরিচিত একটা অবস্থায় পড়ছে যে, কে কোনখান দিয়া তাগো রেভ্যুলুশন কাইড়া নিলো সেই খেয়াল করার আগেই বিপ্লবের ঘি ডইলা দিছে সোহরাওয়ার্দি আর জিন্নার গায়ে । আসলে হয়তো আমার নিতান্ত উড়নচন্ডি উপলব্ধিতে মনে হওয়া, কম্যুনিস্টরা সবসময় প্যাসিমিস্টিক হয়, তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করতাছে এই সিচুয়েশনের সাথে পরিচিত না হওয়াতে, হঠাৎ পাব্লিকের এত সমর্থনে তার নিজেরাই বুইঝা উঠতে পারে নাই তাগো কি করা উচিৎ, এই থিওরিই ঠিক । আজীবন ঝাঁটার বাড়ি খাওয়ার পরে হঠাৎ নাম ধাম যশ সব একসাথে আসা শুরু করলে যেইটা হয় ।

সতীত্ব একবারই বেচা যায় ।

মাওলানা ভাষানী কৃষকের দুঃখে কাইন্দা এসেম্বলিতে বন্যা বানায়া দিয়াও কিছুই পারেন নাই, এই কারণে ।

শেষ মুহুর্তের তাড়াহুড়ায় ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাব আসছিলো । তিনটা দেশ করার কথা ভারত পাকিস্তান বাংলা । একি ভাষা একই কুসংস্কার একই হাভাইত্যামি শেয়ার করা বাংলার দুই ভাগ হওয়া নিয়া এখনো যাগো বুক খচখচ করে অথবা সেইসব দিনের নষ্টামির সাথে বাপেরও যোগাযযোগ না থাকা যেইসব নতুন বাংলাদরদীর মনে হয়, সব প্রস্তাবের মাঝে এইটা ছিলো বেস্ট, তারা আসলে কাস্মীরের যন্ত্রণা না বুঝা কিছু অগা পাব্লিক । যেই নষ্টের বীজ নেহেরু জিন্না সোহরাওয়ার্দি, তাগো আগের বঙ্কিম ছৈয়দ আহমদ আমিরালীরা ঢুকায়া দিছিলো অলরেডি, তার নষ্ট ফলে বাংলায় যে পরিমাণ রক্তের বন্যা হৈতো ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাব কার্যকর হৈলে, তার হাজার ভাগের একভাগ রক্তের দামে এখন আমরা আর কিছু না হোক ফাকিস্তানের চাইতে ভালো আছি ।

প্রথম আর মধ্যচল্লিশের সেইসব দাঙা , হাজার হাজার ভুখা বাঙালির যেই ক্ষতি কৈরা গেছে তার হাজারগুন ঢাইলা গেছে অবিশ্বাস, আর জ্বালায় গেছে লোভের আগুন, কাইড়া নেয়ার অর্গাজমে কাতর তখনকার শিবসেনা আর আলবদরগো মধ্যে যেইটা গোটা দুইন্যা গিললেও নিভবে না । শেষ চল্লিশ আর প্রথম পন্চাশের রিফুজিরা জানে বা জানতো , তারা হয়তো সাবধান করতে পারতো এইসব নতুন দুঃখীদের, যদিনা আন্দামানে বাঘের পেটে আর রাজস্তান হায়দ্রাবাদের মরুভুমিতে পানির অভাবে মারা না যাইতো ।

ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাবের গ গুরুপের বাংলা আর আসামে, কাশ্মীরের মত উচ্চবর্ণীয় জমিদার হিন্দু বাবুরা চাইতো গ গুরুপ ভারতে যোগ দিক । আর নতুন রক্তমাখা লুটের সম্পদ পাওয়া বা হঠাৎ মোছলমান হৈয়া উঠা বাঙালি সোহরাওয়ার্দি জিন্নার চ্যালারা চাইতো গ গুরুপ ফাকিস্তানের সাথে যোগ দিক । মাঝখান দিয়া বাটে পড়তো সেই হরিসূধন আর গফুররাই । তাগোটা এরাও লুটতো ওরাও লুটতো । বাংলার মাটি সবসময় ধর্ষিত হৈতো ভারত ফাকিস্তান দুইদলের সৈন্যের বুটেই ।

বাংলা ভাগ নিয়া আমার তাই ক্ষোভ নাই । যা ঘটছে তা কেবল রুপকথার (সবাই মিল্যা মিশা থাকতাম কোন নাক সিটকানি অবিশ্বাস লুকানো ক্রোধ থাকতো না) চাইতে খারাপ । অন্য সবকিছুর তুলনায় ভালোই হৈছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৭
২৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×