সাড়ে নটার পর থেকে ছোট্ট ছোট্ট বাবুরা নিজের সমান লম্বা বোর্ড আর ব্যাগভর্তি রঙ নিয়ে আস্তে আস্তে হাজির হতে থাকল।
সবাই সবাই পরেছে সাদা-কাল মিশেলে জামা। একটা ছোট্ট বুড়িতো সাদা একটা শাড়ি পরেই চলে আসছে। শাড়ি সামলে তাকে একবার চেয়ারে তুলে দিতে হয় আবার নামিয়ে দিতে হয়। মেয়েরা সবাই সাদা-কাল সালোয়াড়-কামিজ, হাতে চুড়ি, কপালে টিপ আর ছেলেরা পরেছে পাঞ্জাবি। ছোট ছোট বাবুগুলোকে এত সুন্দর দেখাচ্ছিল!
কিছুক্ষণ পর তারা ছবি আঁকতে শুরু করল। ছোট ছোট হাতে, নিজের মনের মত করে, কতরকম রঙে তারা রাঙিয়ে তুলতে লাগল সাদা কাগজগুলো। কেউ শুয়ে পরেছে টেবিলের ওপর, কেউ উৎসাহে দাঁড়িয়ে পড়েছে, কেউ পাশেরজনেরটা উৎসুক হয়ে দেখছে, আরেকজন হাত দিয়ে আঁকা ছবিটা আড়াল করছে। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী' গানটা বাজছিল সারাক্ষণ। আঁকতে আঁকতে তারাও গলা মেলাচ্ছিল। আর নিজেদের ধারণা থেকে ফুটিয়ে তুলছিল একুশকে তাদের ছবিতে।
ছোটদের এই উৎসাহ, এই একাত্মতা দেখে কি যে ভাল লাগছিল! অসাধারণ একটা দিন কাটালাম আজকে এই ছোট ছোট দেবশিশুদের মাঝে। শিশুরা যেন নিজেদের মধ্যে একুশকে ধারণ করতে পারে, তাদের চেতনায় বাংলা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তারা যেন হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে সেই দিনটিকে, সেই প্রেরণাটিকে এবং কখনোই হারিয়ে যেতে না দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২১