এভাবেই ঘনিয়ে এসেছিল বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি। ভাষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে আগের দিন সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকায় ঘোষিত হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় ১৪৪ ধারা না ভাঙারই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু পরদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সমবেত বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৪৪ ধারা ভেঙে ১০ জনের এক একটি দল মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। কণ্ঠে সবার স্লোগান: রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। পুলিশ বাধা দেয় সে মিছিলে। শুরু হয় লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস। এবং একসময় গুলি। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন রফিক, বরকত, জব্বার, ৫২র ফেব্রুয়ারীতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বিশ্বের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মত অগনিত মৃতু্ঞ্জয়ী ভাইয়েরা। মায়ের ভাষার মর্ষদা রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দানের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন আমাদের এই মাতৃভাষা। তবেইতো সেই ভাষা আজ আন্তজাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শোক বিহবলতা ও বেদনা আর আত্নত্যাগ ফেনীবাসীরও রয়েছে। ভাষা সৈনিক এ্যাডভোকেট গাজীউল হক ও শহীদ সালামের জন্মভুমি ফেনী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদের রুহের আত্নার মাগফেরাত কমনা করছি।
ফেনী জেলাবাসী লাল সবুজের পতাকায় বিশ্বাসী। তাই ষেখানেই শহীদ মিনার সেখানেই ফেনীবাসীর শ্রদ্ধা।
খবর //ন্যাশনাল নিউজ