একুশ এলেই আমার দেশপ্রেম জেগে উঠে
সারাবছরের যাবতীয় কুকর্ম হতে
আমি মুক্তির পথ পেয়ে যাই;
আমার যাবতীয় দূর্নীতি আমাকে দগ্ধ করে
আর আমি পুড়ে পুড়ে হয়ে যাই বিদগ্ধ।
কালো ব্যাজ ধারণ করে আর
কণ্ঠনালীতে উচ্চারণ করে-
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি”
লজ্জাহীন নগ্ন পায়ের ছাপ
আমি হেঁটে হেঁটে এঁকে দিতে যাই
শহীদ মিনারের ফুলে শোভিত বেদিতে।
একুশ এলেই আমার দেশপ্রেম জেগে উঠে
আমার পাঁজরে ঘুমন্ত পশুটা ডুকরে কেঁদে উঠে
অবিরাম নিসৃত হয় বিষাক্ত লালা,
যেন একুশটি তীর হৃদয়ে গেঁথে গেলো
ফালি ফালি করে দিল হৃদপিণ্ড
মুখ দিয়ে বমি করে দেয় হৃদপিণ্ড;
হাতে উত্তেজিত মাইক্রোফোন কেঁপে উঠে
শাণিত ধ্বণিতে চারপাশ বিস্ফারিত হয়
কারণ, একুশ এলেই আমার দেশপ্রেম জেগে উঠে।