somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাললাগা একটি ফিচার

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ভাললাগা একটি ফিচার আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
সাবধানঃ নিচে লিংকের মন্তব্য পরা নিষেধ !


‘লিভ জিয়া এলোন, প্লিজ!’

ডিজিটাল পদ্ধতির সরকার গঠনের পক্ষে ব্যাপক জনমত নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন। ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে জাতির পক্ষে কিছু নীতি প্রণয়ন, বুড়িগঙ্গা থেকে বর্জ্য উত্তোলন। ৩৮ বছরের অমীমাংসিত বিষয়ের যৌক্তিক পরিণতি - জাতির পিতা হত্যাকারীদের পাঁচজনের ফাঁসি। ওয়েল!

ফাঁসি মানেই মৃত্যু। মৃতের কিছু স্বজন থাকে, সবার। তাদেরকে দেখতে হলো টিভি পর্দায় ফাঁসির তৎপরতা, শোকরানা নামে জনউল্লাস। এটি অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা। মৃত্যু মানে শোক। হোক শত্র“। এটা নিয়ে নীরবতা, স্বাভাবিক সভ্যতা।

জাতির কাছে সরকার দায়বদ্ধ, ডিজিটাল বাংলাদেশের। সেসবের রাষ্ট্রীয় কর্মতৎপরতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের আছে সিঁদুরে মেঘের ভয়। ‘‘আবার সেই শুরু থেকে ‘শুরু’র অশনি সংকেত”।

স¤প্রতি সরকারের শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়-য়া, ‘জিয়া’ সার কারখানাবিষয়ক তেমন ‘দাফতরিক-ভিত্তি’ নেই বলে নিজ উদ্যোগে জানালেন। তাই কারখানাটি আশুগঞ্জ হিসেবেই ‘শুরু’ হবে। হউক।

পত্রিকান্তরে জানা গেল, পরবর্তী অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভায় নাকি সিদ্ধান্ত হবে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের। অনুষ্ঠেয় একটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ের খবর আমরা (আমজনতা পাঠক) জেনে যাই, আগেভাগেই। ধন্যবাদ বাংলাদেশের গণমাধ্যম। ক্যাবিনেট মিটিংয়ে, ছোট ছেলেকে ‘কাজ’টা পাইয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীÑ নইলে ছেলে নাকি ঘরের হান্ডি পাতিল ভাঙতে শুরু করেছেঃ।এসবের ধারাবাহিকতায় অতিষ্ঠ জনগণ, রায় দিয়েছে মহাজোট সরকারের পক্ষে। ঔপনিবেশিক ইংলিশ লর্ড কার্জনকে ধারণ করে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাসের প্রতি সঠিক শ্রদ্ধার নিয়মে (ইকবাল হল থেকে সার্জেন্ট জহুরুল হক সুবিধা করতে পারেনি, হক এর পরে হলের মতো কঠিন উচ্চারণে। মহাকবি ইকবাল টিকে গেল মুখে মুখে)।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জনাব জিয়াউর রহমানের নামে বন্দরটি গত ৩০ বছর যাবৎ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। জামায়াত পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় রাজনীতি জটিল করে দেয়া, জাতির জনক হত্যার নাকি পরোক্ষ সমর্থনÑ সবই মেনে নেয়া গেল। পাশাপাশি জিয়া ছিলেন জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার। বীরত্বের সঙ্গে লড়েছেন, যুদ্ধ জয়ের পারিবারিক চরম মূল্য তিনি দিয়েছেন।

জিয়া’র ধারাবাহিকতায় জনাব স্বৈরাচারী এরশাদকে দীর্ঘ নয় বছরের জনআন্দোলন যুদ্ধের জয়, মুক্তিযুদ্ধে ‘দ্বিতীয় বিজয়’ হিসেবে পালন করেছিল দেশবাসী। জনাব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতির প্রচলিত ধারার বিপরীতে একমাত্র ডাইনোসর। তিনিও ‘যাবতীয়’ সত্ত্বেও এখন মহাজোটের একজন শরিক।

৩০ বছর যাবৎ পরিচিত একটি বিমানবন্দর। এমন প্রতিষ্ঠিত একটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন নীতিগতভাবে গ্রহণ করে মহাজোট সরকার কেমন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে? মহাজোট সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, মানে এই নয় যে গুটিকতক ‘জি-হুজুর’ মন্ত্রিসভায় সীমিত গণতান্ত্রিক পরিবেশে এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ‘একতরফাভাবে’ গ্রহণ করার অধিকার তারা সংরক্ষণ করেন। জিয়া থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর নাম পরিবর্তনের অর্থ হলো সারা পৃথিবীর ফ্লাইট নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সিস্টেমে বিরাট এক ওলট-পালট হয়ে যাওয়া। চট্টগ্রামে যেমন হয়েছিল এমএ হান্নান থেকে ‘শাহ্আমানত’ রূপান্তরে। জিয়া বন্দর ব্যবহারকারী ১৬টি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এখন যদি বলে দেয়Ñ ফাস্ট য়্যু গাইজ মেকআপ ইয়োর মাইন্ডঃ।’ কী উত্তর দেবে বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ?

হজরত ‘শাহজালাল’-এর নামের প্রতি সরকার সম্মান প্রদর্শন করতে চাইলে, ঢাকার অদূরে প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দরের নাম করা যেতে পারে ‘শাহজালাল’-এর নামে। কিন্তু জিয়া বদলে শাহজালাল করার এই নীতিগত প্রস্তাবে স্বয়ং এই আউলিয়া মুখ ঢাকবেন লজ্জায়Ñ জš§ভূমির কিছু ভ্রান্ত মানুষের সম্মান নামে এই রাজনৈতিক-অপমান প্রস্তাবে।

জোট সরকারের হীনতার বিপরীতে মহাজোট সরকারের উদার নীতিমালা হবে পলিটিক্যালি কারেক্ট মুভ। আর তা না হয়ে যদি হয়Ñ এক থাপ্পড়ের প্রতিশোধে দুই থাপ্পড়, জনগণ বরাবরের মতো ‘হা-হুতাশ’ করবে নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যালটের জন্য। আর এই সচেতন ভোটাররাই ‘কথিত’ কলপারের ঝগড়ার উত্তর দেবে, আবার সেই ব্যালট বাক্সেই। সো লেটস লিভ এলোন জিয়া, প্লিজ!

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে ফিরে আসে পুরনো ইতিহাস। এটাই নিয়ম। অষ্টম শ্রেণি পাস করা একজন বালকও এ কথা জানে। কিন্তু কেন জানি, জানতে জানেন না, রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালকরা।

ডিজিটাল হউক বিমানবন্দরের যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, নাম বদলে নয়।

সূত্রঃ লিংক ক্লিক করুন ।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×