অথচ শহীদদের স্মরণে কোটি টাকার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আর শহীদের পরিবার না খেয়ে মরলেও খোজ নেয়না কেউ।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভাষা শহীদদের পরিবার তাদের মনের ক্ষোভে তুলে ধরে। ন।
শহীদ জাব্বারের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, " প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাস গেলে আবার আগের অবস্থা। , কেউ না খেয়ে মারা গেলেও শহীদদের পরিবারের কোনো খোঁজ রাখেনা সরকার।”
শহীদ রফিকের ভাই খোরশেদ আলম বলেন,"একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই দেশের বিভিন্ন সংগঠন শহীদ পরিবারকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায়। নানা অনুষ্ঠানে যেতে যেতে আমরা হয়রান হয়ে যাই।
পরে আর আমাদের খবর কেউ রাখে না। এমনকি ভাষার চেতনাও ভুলে যায়"। তিনি আরো বলেন,প্রতিবছর ২১ফেব্র“য়ারীতে যে পরিমান টাকা খরচ করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয়,তার ৫০ভাগের এক ভাগ টাকা পেলেওশহীদ পরিবারের পিছনে খরচ করলে আমরা আনেক ভালো থাকতে পারি।
তারা আরো বলেন,অনেক সমস্যায় জর্জরিত থাকার কথাও তুলে ধরেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না মেলার অভিযোগও করেন তারা।
উল্লেখ্য,মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান আমলে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত হয় আব্দুস সালাম, আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদ, শফিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন। '৫২'র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসে।
২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে বাঙালি শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিনটিকে ১৯৯৯ সালে আস্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪০