ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুরে ইলাহীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভাষা শহীদ শফিউর রহমানের ছেলে সফিকুর রহমান, শহীদ আব্দুল জব্বারের ছেলে নূরল ইসলাম বাদল, শহীদ রফিক উদ্দীনের ছোট ভাই খোরশেদ আলম, শহীদ সালামের ভাই আব্দুল করিম, শহীদ বরকতের ভাতিজা আলা উদ্দিন বরকত লালা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রকীবউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি বলেন, ভাষাকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া আমাদেও সকলের নৈতিক দায়িত্ব। পাকিস্তানের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বেকুব ছিলেন। তিনি ইংরেজিকে রাষ্ট্রভাষা বললে এ ভাষা আন্দোলন হত না। আমরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই না বাংলা ভাষা রাষ্ট্র চাই স্লোগান দিয়েছি তা ভাল মত খেয়াল করার সুযোগ ছিল না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে এবারের ভাষা আন্দোলনের শপথ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদেরকে শ্রদ্ধা করতে পারি। আমরা ভাষা শহীদদেও প্রত্যাশা বাংলার শুদ্ধ ব্যাবহারের মধ্য দিয়েই পূরণ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে শহীদ জাব্বারের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, "সরকার ভাষা শহীদদের পরিবারের কোনো খোঁজ রাখে না। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। ফেব্র“য়ারি মাস গেলে আবার আগের অবস্থা।"
শহীদ বরকতের মামাতো ভাই এম আর এ তাহা বলেন, "ভাষা আন্দোলনের ৫৮ বছর পর এখনো এ দেশের গণমাধ্যমে বিকৃত উচ্চারণে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুনতে হয়। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষাও দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।" "বাঙালি যদি হতে হয় তাহলে আমাদেরকে শুদ্ধ বাংলার চর্চা করতেই হবে। বিকৃত বাংলার বিরুদ্ধে '৫২ এর মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা করতে না পারলে নিজেদের মনে-প্রাণে বাঙালি দাবি করতে পারবো না", বলেন শহীদ শফিউর রহমানের ছেলে শফিকুর রহমান।
অনেক সমস্যায় জর্জরিত থাকার কথাও তুলে ধরেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না মেলার অভিযোগও করেন তারা। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।