somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতি বছর শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হয়, এরপর তাদের খোঁজ কেউ করে না

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৫২'র ভাষা শহীদদের পরিবারগুলো অনুযোগ করেছে, প্রতি বছর শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। এরপর তাদের খোঁজ কেউ করে না।
এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ২৪.কম

গণমাধ্যমে বিকৃত উচ্চারণে বাংলা ব্যবহারে খেদ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে নজর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় ভাষা শহীদদের পরিবার তাদের অভিযোগ-অনুযোগের কথা তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান আমলে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত হয় আব্দুস সালাম, আবুল বরকত, আব্দুল জাব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদ, শফিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন। '৫২'র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসে।

২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে বাঙালি শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দিনটিকে ১৯৯৯ সালে আস্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।

আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ জাব্বারের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, "সরকার ভাষা শহীদদের পরিবারের কোনো খোঁজ রাখে না। প্রতি বছর ২১ ফেব্র"য়ারি এলে এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। ফেব্র"য়ারি মাস গেলে আবার আগের অবস্থা।"

"একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই দেশের বিভিন্ন সংগঠন/সংস্থা শহীদ পরিবারকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায়। নানা অনুষ্ঠানে যেতে যেতে আমরা হয়রান হয়ে যাই। পরে আর আমাদের খবর কেউ রাখে না। এমনকি ভাষার চেতনাও ভুলে যায়", খেদোক্তি করেন শহীদ রফিকের ভাই খোরশেদ আলম।

অনেক সমস্যায় জর্জরিত থাকার কথাও তুলে ধরেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না মেলার অভিযোগও করেন তারা।

শহীদ বরকতের মামাতো ভাই এম আর এ তাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ভাষা আন্দোলনের ৫৮ বছর পর এখনো এ দেশের গণমাধ্যমে বিকৃত উচ্চারণে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুনতে হয়। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষাও দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।"


"বাঙালি যদি হতে হয় তাহলে আমাদেরকে শুদ্ধ বাংলার চর্চা করতেই হবে। বিকৃত বাংলার বিরুদ্ধে '৫২ এর মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা করতে না পারলে নিজেদের মনে-প্রাণে বাঙালি দাবি করতে পারবো না", বলেন শহীদ শফিউর রহমানের ছেলে শফিকুর রহমান।

শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সর্বত্র বাংলা প্রচলনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, "এটি না থাকার দায় সরকারের। তাই সরকারের নীতি নির্ধারকদের ঠিক করতে হবে তারা কিভাবে এ দায় থেকে নিজেদের মুক্ত করবে।"

তবে বাংলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টিকে থাকতে ইংরেজির ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন শফিকুর।

অনুষ্ঠানে শহীদ জব্বারের পুত্রবধূ ফিরূজা খাতুন, নাতি ফারজুল ইসলাম, প্রনাতি আহনাব শাকিল; শহীদ আবুল বরকতের ভাতিজা আলাউদ্দিন বরকত লালা, আইন উদ্দিন বরকত টুটু এবং নাতি জাহাঙ্গীর কবির; শহীদ রফিকের ভাতিজা মো. আব্দুর রউফ; শহীদ শফিউরের মেয়ে শারমিন আদিবা রহমান এবং শহীদ সালামের ভাই আব্দুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মনজুরে এলাহীর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রকীবউদ্দিন আহমেদ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×