খুব সৌম চেহারা, যদিও পকেট থেকে বেরিয়ে এসেছিল
বিভ্রান্তির বেড়াল
ঘরের চৌকাঠে বেড়ালটা গোল্লাছুট খেলিছেল দু’দন্ড, তারপর
ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের সাথে মল্লযুদ্ধ...
রণবাদ্য বাজিয়েছিল মহাকাল
আমি বেড়ালকে ভালোবেসে কাব্য লিখি:
অক্ষরের নক্ষত্র দিয়ে আকাশ সাজাই
নক্ষত্রপুঞ্জ দিয়ে ছন্দ-ফল্গু বয়ে যায়...
আর আমি একটু একটু করে বাঁচতে শিখি
কবিতা বাঁচে, কবিতা বাঁচায়; আকাশ না বাঁচে যদি
বৃদ্ধ হবে মহাকাল, কুচকে যাবে গ্রহ-নক্ষত্রের ত্বক
আমি শব্দের সম্ভাবনা নগ্ন করে দিই আকাশের চোখে:
বেঁচে থাকুক শঙ্খচিল, বেঁচে থাকুক জীবনানন্দীয় বক
দুপুর কিংবা বিকেলের ঢাল বেয়ে আকাশ আমার ঘরে আসে;
রোজ তার পকেটে থাকে বিভ্রান্তির শ্যামলকান্তি বেড়াল;
আমি ভালোবেসে তার নাম দিয়েছি ‘শ্যামা’ কিংবা ‘সম্ভাবনা’;-
ওর চোখ থেকেই তো উঠে আসে সৃষ্টির মন্দ্রমধুর ধোঁয়াজাল!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩১