এই সবুজ বাংলার রুপালী মঞ্চে সহসা’ই বৈকল্যের চিৎকার শোনা যায়।
আবহমান বাতাশে ভেসে বেড়ায় অজস্র লাশের গন্ধ-
ছাত্রের লাশ, শিক্ষকের লাশ, পথচারীর লাশ, রাজনীতির লাশ।
যেন সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।
রাস্তার দুই ধারে নিস্ফলা জমি,
চাষা-ভূষোর ঘামে ভেজা মজুরী,কবির কবিতা-
চঞ্চল-চপলা গ্রাম্য মেয়ের হাসি,লজ্জা, আবেগ
সবকিছু ধুয়ে মুছে নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।
নষ্টদের নাকের ডগায় ডগায় কেশবতীর চুলের গন্ধ,
রাস্তার মোরে মোরে, বস্তিতে, পতিতালয়ে হাহাকার পিতৃপরিচয়,
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।
রাজনীতির মঞ্চ, উদ্যমী রক্ত-কাপাঁনো ভাষণ-
ইতিহাসের মোড়ক, পত্রিকার লাল কলাম চ’লে গেছে,
মনুষ্যত্তের মঙ্গল-দীপ নিভে নিগৃহীত অধিকার,
সবকিছু পাপীদের অধিকারে চলে গেছে।
ক্ষমতার গদি, পুলিশের রক্তাক্ত বুটে, লেলিনেন স্বপ্ন ভেঙে গেছে কবেই-
ধনতন্ত্র, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-
প্রেমীকের প্রেম, ঐন্দ্রিলার হৃদয় পোড়ানো হাসি,সৃতিকথা, ভালবাসা
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।
পঁচিশ বছর পর, হে আজাদ আজ,
অ্যাসিডদগ্ধ হয়ে গর্বিত রুপবতির প্রাঞ্জল রুপ
ধুকেধুকে চ’লে গেছে নষ্টদের অধিকারে।
ক্যাম্পাস, হাট-বাজার, দ্রব্যমুল্য, মেলা-
সদালাপী বন্ধুর হাসি, ঝর-ঝঞ্জা বায়ুবেগে
সবকিছু, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে ।
সবকিছু চলে গেছে পাপীদের অধিকারে।
(ডেডিকেটেড টু হুমায়ুন আজাদ)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৯