somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

[এখনও

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মজা লাগছে না।
দিন কাটে না ইদানীং। গল্পের বই সেরকম পাই না। যেগুলা পাই, আগ্রহ ধরে রাখতে পারি না। সব মিলিয়ে বিশাল ঝামেলা। চরম টাইপের কিছু গান থাকলে দিনগুলো খারাপ যেত না। আর নেটস্পীডও ভুয়া, নামিয়ে শোনা যায় না।

এখনও কি তোমার মনে আমায় নিয়ে প্রশ্ন ভাসে
এখনও কি তুমি স্বপ্ন দেখ আমায় নিয়ে
ঘোরের মাঝে এখনো কি কেঁদে ফেল আনমনে
এখনও কি মনে আছে আমাকে

পুরোনো কিছু বিষাদভরা গান শুনে দিন কেটে যায়।
আমার নিজের বিষাদ আরও যেন গাঢ় হয়।
গল্প লেখার মত হাতে কোন কাহিনী নেই। অনেকগুলো টুকরো টুকরো গল্প আমার চোখে ভাসে শুধু। মাত্থায় থাকে, চোখেও থাকে, কিন্তু লেখার ভাষা পাই না। শিল্পী হলে ভাল হত। আমার দুঃখ করার মত কোন কিছু হয়নি যদিও, তাও ম্যাড়ম্যড়ে দিন কাটছে।

জমাট নীল কি এখনও তোমার স্বপ্ন সাজায়
ভোরের আলো কি এখনও জ্বলে চোখের তারায়
নোটখাতাটা কি এখনও শুধু আমার নামে ভরা
টুকরো কথাগুলো কি এখনও তোমাকে হাসায়

সামনে জুনে হয়ত আমার জন্য একটা দুঃসংবাদ আছে। প্রত্যাশিত। এতদুর পর্যন্ত একটা দুঃসংবাদের অপেক্ষায় থাকা যায় না। সাথেও কাউকে পাচ্ছি না। কারণ, সবার কাছে সামান্য, আমার কাছে অনেক। এত চিন্তা মজা লাগে না।

ভীড়ের মাঝে আমাকে কি এখনও চোখে পড়ে
চোখদুটো কি আমার সাথে কারও মিল খুঁজে ফেরে
সবুজ রঙের মেঘগুলো কি আজও আমার কথা ভাবায়
আমাকে লেখা চিঠিগুলো হয়ত আজ দূর বাতাসে ওড়ে

আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি না থাকলে কয় বছর পর্যন্ত আমাকে মানুষ মনে রাখবে, তার একটা হিসাব থাকলে ভাল হত। আমার জন্য দুঃখ করবে এমন মানুষ কয়জন থাকবে? এই একটা আফসোস, কারা মনে রাখল জানতেই পারবনা। হয়ত।
বৃষ্টি আসলে হয়ত আমাকে আর মনে পড়ে না
গানের সুরে আমার স্মৃতি আর বোধহয় ভাসে না
নতুন একটা রান্না করে আমায় বোধহয় ভাবছ না
এলোমেলো সব হিসাবগুলো আমার নামে আর মিলছে না

মাঝে মাঝে মনে হয়, একটা লেখক হতে পারলে ভালই হত। চরম টাইপের অনেক লেখা লিখতাম আর তার মাঝে আমার মনের কথাগুলো রেখে যেতাম। আফসোস, সবখানে ধরা। কত কিছু করার ছিল, শেষমেষ কিছুই হল না। আমি মাঝে মাঝে ভাবি, কত কিছুই ত হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। পুরাই আফসোস।

শান্ত পানিতে এখন তুমি নিজের চোখ দেখ
পড়ে থাকা শামুকে নিজের নামটাই লেখ
স্বপ্নে দেখা মেঘগুলো সবুজ রঙের হয় না আর
ফটোগ্রাফের মেঘের মত সাদা রঙেরই ভাবো

বেহালাটার ধুলো ঝারলাম। এতদিন পরে বাজাতে বসেও বাজালাম না। আমি ত শুধু খুশির সুর জানি। যেগুলো আসলে সঠিক সময়ে জমে না। অভিমানের ইংরেজী কী? কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে রাগ হলে কষ্ট লাগে। কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে রাগ করা উচিত না। কিছু কিছু সময় আছে, এসব বিষয়গুলো নিয়েই ভাবতে হয়।

আহা, কত খুঁজলাম। মন মত নোটেশন পেলাম না বেহালার জন্য। নেটে যেগুলা আছে, সব দেখি এয়ার। মানে হাসিখুশি টাইপের মেলোডি। শ্লা স্কটিশরা পুরাই ভুয়া।
স্যারের কাছে আবার গেলে হয়, কিন্তু পিটানী খাওয়ার সমূহ কারণে আর সাহস করি না।

এখনও কি তোমার মনে আমায় নিয়ে প্রশ্ন ভাসে
এখনও কি তুমি স্বপ্ন দেখ আমায় নিয়ে
ঘোরের মাঝে এখনো কি কেঁদে ফেল আনমনে
এখনও কি মনে আছে আমাকে

যেমনটা বলেছিলাম, সবাই নিয়তি আর পরিপ্রেক্ষিতের কাছে আটকা। কখনও রাগ করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু করা যায় না। কারণ, আমি জানি এগুলা রাগের ব্যাপার না। কিছু কিছু সময় থাকে, যখন এসবে আসলে রাগ করতে ইচ্ছে করে, আর এই ইচ্ছেটা পূরণ হোক বা না হোক, ঠিকই কষ্ট লাগে।
মায়াও হয়, রাগও লাগে। মুখ বোধহয় রাগটাই যেতে, আফসোস, মনে আসলে উল্টোটা।

*গান লিখার ট্রাই করলাম।

© আকাশ_পাগলা






সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৬
২১টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×