somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওরে ভাই রে, লন্ডনের ভাইয়েরা আমার ঃ

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোগের পায়ে পড়ি, হাতে ধরি , ভাই ডেকে আদর করি
আমার একটা অনুরোধ তোগের কেউ রাখ রে ভাই !

বেশি কিছু করা লাগবে না । লন্ডনের কোন ডাস্টবিন কিংবা ভাগাড় থেকে এক জোড়া পুরানো ছেড়া জুতা , গু মাখা হইলে আরো ভালো হয় , নিয়ে লন্ডন প্রবাসী একজন বিশিষ্ট সাংঘাতিকের মুখে ছুড়ে মারবেন । ভাই আপনারে দোয়া দেব, টাকা দেব , আমার মেয়ের বিয়ে বিয়ে আপনার ছেলের ( কিংবা ভাইস ভার্সা) সাথে দেব, তাও ভাই , বোনের / বেয়াইনের এই কথাটা রাখ !

এই পর্যন্ত পড়ে কি মনে হচ্ছে আমি পাগল হয়ে গেছি? নিচে পড়ে দেখেন ট্যাগ করা আছে , আমার পাগলামি হিসেবে। সত্যি পাগল হয়েছি ভাই , মাথা গরম কইরেন না , একটা গল্প শুনেন।
----------------

মেডিকেলে যখন পড়ি তখন সকাল ৭ টায় ঢাকার রাস্তার জ্যাম আর বিষাক্ত , চোখ মুখ জ্বালানো বাতাস আর ভিড় ঠেলে ঘন্টাখানেক পরে ক্লাসে পৌছাইতাম। সারাটা দিন ক্লাস , ওয়ার্ড ডিউটি , রোগী দেখা । শত শত রোগী, হাজার হাজার অনিয়ম, অত্যাচার , গোদের উপর বিষ্ফোঁড়া লাখ খানেক অজুহাত- মাথা বরফের মতন ঠান্ডা না হইলে ডাক্তারী করা কারো কম্ম নয়! ফেরার পথে চোখ জ্বলতে জ্বলতে গাল মুখ ভিজে যেত আর সারা শরীরে শুকনা বর্জ্য , ধুলার আস্তরন নিয়ে মা কালী হয়ে ২ ঘন্টা যুদ্ধ করে বাড়ি ফেরা । তারপর আবার রাত ১টা, ২টা , ৩ টা পর্যন্ত পড়া । এই ২৪ ঘন্টার ইদুর দৌঁড়ে ২০ ঘন্টাই দৌড়ানো পড়ত। তার উপর সকালে অভ্যাস মত যদি পেপার পড়ে রওনা দিতাম তাহলে সারাটা দিন মন মেজাজ সব খারাপ থাকতো । আপনারা জানেন , পেপারে কোন ভালো খবর থাকেই না ।

সারাটা দিন খারাপ যাবে , এই ভেবে সকালে পেপার পড়া বাদ দিলাম । রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে আগে বাসি পেপার নিয়ে মশারির ভিতরে ঢুকে নিজেকে আপ টু ডেট রাখতে গিয়ে দেখলাম সারারাত রাগে দুঃখে ক্ষোভে ঘুমাতে পারি না , যদিও ক্লান্তিতে হাত পা খুলে আসতে চায় । তাই পেপার পড়াই বাদ দিলাম। শুধু একটা ব্যাতিক্রম ছিলো। যত কষ্টই হোক, নিজের ঘুম বাদ দিয়ে , ক্লান্তিকে বশ করে প্রতি বুধবার একটা লোকের লেখা পড়তাম।

২০ ঘন্টা জীবন যুদ্ধের পরে চার / সাড়ে চার ঘন্টার মূল্য যারা জানেন তারা বুঝবেন ঐ অল্প সময়টূকু থেকে ২০ মিনিট কারো কলামের পিছনে ব্যয় করাটা কি জিনিস ! কিছুদিনের ভিতরেই টের পেলাম লোকটা ঘোষনা দিয়ে যেই দলটি করে , রাজনৈতিক সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই দলের বিপক্ষে তার কলম তত জোরালো নয় আর । একটূ আশাক্ষুন্ন হলেও তারপরেও তাকে পড়েছি । কিন্তু তারও কিছুদিন পরে দেখা গেলো বিরোধী দলে যা ছিলো মৃদু পক্ষপাতিত্ব , সরকারী দলের ভূমিকায় তা রীতিমত " ক্ষমায়" পরিণত হয়েছে । তিনি নিজের দলটির অনেক দোষ দেখেও দেখতে পাচ্ছেন না , পেলেও বলছেন না , বললেও মলাট লাগিয়ে বলছেন । এসব দেখে প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি , তাকে পড়া ছাড়িনি । কিন্তু যেদিন টের পেলাম, তার সমালোচকের ভূমিকা বন্ধুত্ব থেকে দাবীদার / পাওনাদারে রুপ নিয়েছে , সেদিন পড়া ছেড়ে দিয়েছি । যারা কলম দিয়ে জনমত তৈরী করার ক্ষমতা রাখেন , তাদের এই নির্লজ্জ কলম ব্যবসা সহ্য হয়নি ।
------------------------
তারপরেও লোকটাকে ঘৃণা করিনি। প্রেম তো অন্ধই , তাই না? কিন্তু আজকে আর পারলাম না রে ভাই । চিত্কার করে বলতে ইচ্ছে করছে ,
" ওরে নির্লজ্জ , বেহায়া , বিশ্বাসঘাতক, সুবিধাবাদী , শয়তান! তোর খাওয়ার পয়সা দেয় না ওষুধের বিল দল থেকে আসে ? এত নিচে নামতে পারলি তুই? সুবিধাবাদিতা আর জাগতিক লোভলালসা কি এতই ভুলিয়েছে? বুড়ো ভাম তুই বাঁচবি কয়দিন যে তোর জয়নাল হাজারীর মতন খুনী, বেজন্মার পক্ষে কথা বলতে হবে?
কি পাওয়ার এত লোভ তোর?
কি হারানোর এত ভয়?

হারানোর আর বাকি থাকলো কি?"
--------------------

এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না । যদি সাংবাদিক মিথ্যা লিখে থাকে তো তার মুখে জুতা।
আর যদি সত্যি লিখে থাকে তো , ফকা চৌধুরী, সাকা চৌধুরীর সাথে একই লাইনে আগা চৌধুরীর নামটাও উচ্চারন করবো।
------------------

দেশে আজ সত্যি সত্যি অনেক কিছু বেড়ে যাওয়ার প্রমান পেলাম। দারিদ্র বেড়েছে। ক্ষুধা বেড়েছে । বেকারত্ব বেড়েছে । সত্যিই অনেক বেড়ে গেছে । নইলে যে দিকে তাকাই সেইদিকেই শুধু দেহজীবী আর বুদ্ধিজীবী , দেহপসারিনী আর বুদ্ধিপসারি, লাখে লাখে , হাজারে হাজার!
২২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×