আমার ভাষা ব্যবহার সম্পের্ক এই ব্ল গে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। এই পোষ্টটা তাদের জন্য। এমন লেখা আমার ভিতর থেকে লেখা। যেরকম ভাষায় আমি বলে থাকি সেরকমটা। তবে কয়েকটা শব্দ ইচ্ছে করেই একটু সেরকম করেই লেখা। অযথাই এ লেখা পড়ায় কারো জাত/কুলে রং পড়লে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি আমি না করবোনা।
আমি যাদের সাথে মিশে মিশে বড় হয়েছি তাদের ফোন করে জানলাম তাদের আর্কাইভসেও এরকম গল্প কম বেশি জমা হয়ে আছে। ঢাকার এক বন্ধুর সাথে সেদিন বৃষ্টির মধ্যে কথার কোন ফাঁেক যেন এই টার্মটা আসলো। ও বলল, ‘‘ দোস্ত, বিশ্বাস কর, এই কথা আর কাউরে কই নাই। আইজ প্রথম তোরে কই’’।
শুনতে শুনতে আমারটাও বলে ফেললাম। বিষয়টা ব্লগে আসলে কেমন হতে পারে ভেবে ভেবে দেখলাম, মন্দ কই? ভালইতো!
ভাল জিনি ক্যান যেন সব সময়ই শেয়ার করার আমোদ জাগে। কোন অংশ না ঢেকে যদি কেউ নিজেদের ‘‘ প্যান্ট ভরে হাগু করার গল্প’টা বলতে পারেন, তবেই এইটা পড়বেন, নচেৎ...............। না, পড়তে ইচ্ছে করলে পইড়েন, লেখার অনুরোধটাও রইল।
আমার টা দিয়েই শুরু করি।
বাপে চাকুরীতে যশোরে থাকেন। দুই তিন মাস পর পর আসেন। আসার সময় আর কি কি আনতেন খেয়াল নেই তবে সেবার আমার আর ছোটটার জন্য দুইটা ‘‘ইংলিশ প্যান্ট’’ আনলেন (ইংলিশ প্যান্ট সম্বন্ধে না জানা থাকলে কোয়েশ্চেন করতে পারেন, জানায়ে দেবো)। ৫ম শ্রেনীতে সেদিন ইংলিশ প্যান্ট পড়ে দ্বিতীয় দিনের কাস করতে আসলাম। বলে রাখি, আমি আসার সময় মেইন রোড দিয়ে আসলে মীরা ক্ষাড়ির তেতুল গাছের নীচ থেকে যেতে পারিনা বলে সব সময় ‘কোলা’ (যে মাঠে সাধারণত ধান চাষ হয়) দিয়া আসতাম। আসার সময় দু মুঠ ভরে পাকা তেতুল! আহ, ধনে পাতা আর পাক্কা তেতুল! যাইহোক সেই সুবাদে ৯৫/৯৬/৯৭ সনে আমাকে ডায়রীয়া জনিত কারনে নলছিটি হসপিটালে এসে স্যালাইন নিতে হয়েছে। ওইদিনও আসার সময় তেুতুল খেতে খেতেই আসছিলাম।
কাস শেষ হতে তখন ৩০ মিনিট বাকি। আর আমার শেষ হতে তখন তার কম বাকী নাকি সামান্য বেশি সেটা ঘন্টা খানেকের মধ্যে জানা গেল। স্যারকে লজ্জায় বলতে পারলাম না, স্যার, আমার হাগায় ধরেছে! বুক্কে পাত্থর বেধে আর সোগায় গু চেপে রওয়ানা দিয়ে যখন সেই কোলায়( এসে উপস্থিত হই তখন খানিকটা স্বস্তি এসে সেই স্বস্তির চুড়ান্ত স্ব্দাটা পেতেও দেরী করা হলোনা। ‘‘আমার আর করার কিছু ছিল না, না গো...........’’ হাগছি আর হাটছি, হাগছি আর হাটছি। জয়নুল আবেদিন বেচেঁ থাকলে আমার পা বেয়ে সেই স্রোত নামার দৃশ্যটা জেপিজি করে আজ ডেক্সটপ করে রাখতে পারতাম! আমি হাগছি আর হাটছি!! সেই কোলা থেকে যখন আমার বাড়ির কাছাকাছি আসলাম তখন যে দৃশ্য দেখলাম, সেই দৃশ্যের কারনে নাকি শারীরিক দূর্বলতায় আমি গু মাখা ইংলিশ প্যান্ট নিয়ে কোলার মাটিতে শুয়ে পড়লাম খেয়াল নেই। কলি আপা ও পাপড়ি আপা আমাদের বাড়ির পাশেই বসে বসে মাথার পোকা ধরছিলেন। বোধহয় তাদের লজ্জায়ই আমার গু নিয়ে শুয়ে পড়া! কি হলো তাতে? তারাই মাকে ডেকে নিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে এলেন।
সেদিন আমার গুমাখা ইংলিশ প্যান্ট ঐ মা মহিলাটা না থাকলে আমারই ধুতে হতো । আপা ভাইয়া দুইদিনে আমার কাছেও আসে নাই!
বলতে আমার ভ্লাই লাগছে। গু সম্পর্কীয় আরও একটা দারুন লজ্বার কথা আছে। মেজ ভাই এই লেখাটা পড়লে উনিই হয়তো কমেন্টসএ লিখে যাবেন সেটা। তবে সেটা লেখা তার উচিৎ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা। সেই কথাটা যে অধিকতর লজ্জার!! অতি অধিকতর!!!!