somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসেন লিখি- প্যান্ট ভরে কে, কোথায়, কতটুকু হাগু করলাম!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ভাষা ব্যবহার সম্পের্ক এই ব্ল গে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। এই পোষ্টটা তাদের জন্য। এমন লেখা আমার ভিতর থেকে লেখা। যেরকম ভাষায় আমি বলে থাকি সেরকমটা। তবে কয়েকটা শব্দ ইচ্ছে করেই একটু সেরকম করেই লেখা। অযথাই এ লেখা পড়ায় কারো জাত/কুলে রং পড়লে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি আমি না করবোনা।









আমি যাদের সাথে মিশে মিশে বড় হয়েছি তাদের ফোন করে জানলাম তাদের আর্কাইভসেও এরকম গল্প কম বেশি জমা হয়ে আছে। ঢাকার এক বন্ধুর সাথে সেদিন বৃষ্টির মধ্যে কথার কোন ফাঁেক যেন এই টার্মটা আসলো। ও বলল, ‘‘ দোস্ত, বিশ্বাস কর, এই কথা আর কাউরে কই নাই। আইজ প্রথম তোরে কই’’।

শুনতে শুনতে আমারটাও বলে ফেললাম। বিষয়টা ব্লগে আসলে কেমন হতে পারে ভেবে ভেবে দেখলাম, মন্দ কই? ভালইতো!
ভাল জিনি ক্যান যেন সব সময়ই শেয়ার করার আমোদ জাগে। কোন অংশ না ঢেকে যদি কেউ নিজেদের ‘‘ প্যান্ট ভরে হাগু করার গল্প’টা বলতে পারেন, তবেই এইটা পড়বেন, নচেৎ...............। না, পড়তে ইচ্ছে করলে পইড়েন, লেখার অনুরোধটাও রইল।

আমার টা দিয়েই শুরু করি।

বাপে চাকুরীতে যশোরে থাকেন। দুই তিন মাস পর পর আসেন। আসার সময় আর কি কি আনতেন খেয়াল নেই তবে সেবার আমার আর ছোটটার জন্য দুইটা ‘‘ইংলিশ প্যান্ট’’ আনলেন (ইংলিশ প্যান্ট সম্বন্ধে না জানা থাকলে কোয়েশ্চেন করতে পারেন, জানায়ে দেবো)। ৫ম শ্রেনীতে সেদিন ইংলিশ প্যান্ট পড়ে দ্বিতীয় দিনের কাস করতে আসলাম। বলে রাখি, আমি আসার সময় মেইন রোড দিয়ে আসলে মীরা ক্ষাড়ির তেতুল গাছের নীচ থেকে যেতে পারিনা বলে সব সময় ‘কোলা’ (যে মাঠে সাধারণত ধান চাষ হয়) দিয়া আসতাম। আসার সময় দু মুঠ ভরে পাকা তেতুল! আহ, ধনে পাতা আর পাক্কা তেতুল! যাইহোক সেই সুবাদে ৯৫/৯৬/৯৭ সনে আমাকে ডায়রীয়া জনিত কারনে নলছিটি হসপিটালে এসে স্যালাইন নিতে হয়েছে। ওইদিনও আসার সময় তেুতুল খেতে খেতেই আসছিলাম।
কাস শেষ হতে তখন ৩০ মিনিট বাকি। আর আমার শেষ হতে তখন তার কম বাকী নাকি সামান্য বেশি সেটা ঘন্টা খানেকের মধ্যে জানা গেল। স্যারকে লজ্জায় বলতে পারলাম না, স্যার, আমার হাগায় ধরেছে! বুক্কে পাত্থর বেধে আর সোগায় গু চেপে রওয়ানা দিয়ে যখন সেই কোলায়( এসে উপস্থিত হই তখন খানিকটা স্বস্তি এসে সেই স্বস্তির চুড়ান্ত স্ব্দাটা পেতেও দেরী করা হলোনা। ‘‘আমার আর করার কিছু ছিল না, না গো...........’’ হাগছি আর হাটছি, হাগছি আর হাটছি। জয়নুল আবেদিন বেচেঁ থাকলে আমার পা বেয়ে সেই স্রোত নামার দৃশ্যটা জেপিজি করে আজ ডেক্সটপ করে রাখতে পারতাম! আমি হাগছি আর হাটছি!! সেই কোলা থেকে যখন আমার বাড়ির কাছাকাছি আসলাম তখন যে দৃশ্য দেখলাম, সেই দৃশ্যের কারনে নাকি শারীরিক দূর্বলতায় আমি গু মাখা ইংলিশ প্যান্ট নিয়ে কোলার মাটিতে শুয়ে পড়লাম খেয়াল নেই। কলি আপা ও পাপড়ি আপা আমাদের বাড়ির পাশেই বসে বসে মাথার পোকা ধরছিলেন। বোধহয় তাদের লজ্জায়ই আমার গু নিয়ে শুয়ে পড়া! কি হলো তাতে? তারাই মাকে ডেকে নিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে এলেন।

সেদিন আমার গুমাখা ইংলিশ প্যান্ট ঐ মা মহিলাটা না থাকলে আমারই ধুতে হতো । আপা ভাইয়া দুইদিনে আমার কাছেও আসে নাই!



বলতে আমার ভ্লাই লাগছে। গু সম্পর্কীয় আরও একটা দারুন লজ্বার কথা আছে। মেজ ভাই এই লেখাটা পড়লে উনিই হয়তো কমেন্টসএ লিখে যাবেন সেটা। তবে সেটা লেখা তার উচিৎ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা। সেই কথাটা যে অধিকতর লজ্জার!! অতি অধিকতর!!!!
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অলীক সুখ পর্ব ৪

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছবি নেট

শরীর থেকে হৃদয় কে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে চেয়েছি
তুমি কোথায় বাস করো?
জানতে চেয়েছি বারবার
দেহে ,
না,
হৃদয়ে?
টের পাই
দুই জায়গাতে সমান উপস্থিতি তোমার।

তোমার শায়িত শরীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় জেনে নেই!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় তা জেনে নেই৷ এবার আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করবো৷ আমি কোরিয়ান অর্থনীতি পড়েছি৷ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রায় আকাশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৮

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪


আজকের গল্প হেয়ার স্টাইল ও কাগজের মোবাইল।






সেদিন সন্ধ্যার আগে বাহিরে যাব, মেয়েও বায়না ধরল সেও যাবে। তাকে বললাম চুল বেধে আসো। সে ঝটপট সুন্দর পরিপাটি করে চুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×