somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্ট্রেলিয়া - ৪

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সেদিন কটেসলো বীচে গিয়ে শেষ বিকেলে ফিশ এন্ড চিপস দিয়ে লাঞ্চ করলাম। বিকেলে বীচে গা চিল করা ঠান্ডা বাতাস ছিল, মনে হচ্ছিল শীতের শুরু।


গাংচীল গুলো একদম আমাদের গা ঘেসে দাড়িয়ে রোদ পোয়াচ্ছিল।



গাংচীল আগে অনেক দেখেছি কিন্তু এত কাছ থেকে কখনও দেখিনি।



পার্থের কটেসলো বীচ টা খুব চমৎকার লাগল। তবে বাতাসটা খুবই ঠান্ডা ছিল সেদিন আমাদের পোশাকের তুলনায়। তাই বিকেলটা বীচে কাটিয়েই বাড়ি ফিরলাম।

পরের দিন আমাদের প্রজেক্ট হলো কোয়ালা ও ক্যাঙ্গারু দেখা। রওনা দিলাম কহুনু কোয়ালা পার্ক কলোনিতে।


ভেতরে যেতেই প্রথমেই এক গাধা আরেক পনি এসে স্বাগতম জানালো মাথা দুলিয়ে।





পাশেই দেখি হামটি ডামটি ওয়ালে বসে মন খারাপ করে /:)/:)




ওপাশে এক কোয়ালা ফ্যামিলি গল্পে ব্যস্ত।



কিছুদুর এগোতেই চমৎকার এক ময়ুর এসে "হাই" জানাল আমদের আর তা দেখে এক ইমু একটু বিরক্ত।



গ্রাম্পি মুখে আমাদের জানান দিল - "এখানে বুঝে শুনে চলো বাছা...এ হলো আমাদের এলাকা X(X(, উমম ছবি তুলবেতো আগে জানাওনি কেন আমার মেকাপটা করা হয়নি ... তবু পোজ দিচ্ছি দয়া করে X((X((X(("



অস্ট্রিচের ওদিকে ভিষন রাগ হচ্ছে ওকে কেন বেড়ার ভেতর রাখা হয়েছে এ জন্য X((X((X((



বেড়ার ফাক দিয়ে পারলে সে ঠোট বের করে ঠোকোড় দেয়।





ক্যাঙ্গারু পরিবারের দুই বাচ্চা তো আমার রিতি মত ভক্ত হয়ে গেল।



আমার হাত ধরে বসিয়ে হাত থেকে পপকর্ন খেতে থাকলো....আর যেন ছাড়তেই চায় না B-)B-)



ভাবতেই পারছিলাম না আমি ক্যাঙ্গারুকে কোলে নিয়ে খাওয়াচ্ছি। এরাও যেন মানুষের মত মুখ তুলে তুলে আদর চায়।



পেলিক্যান দাদা লম্বা ঠোট নিয়ে ধ্যানে বসেছে আর কোন সাড়া নেই এদিকে



দাদী গরম সইতে না পেরে জ্বলে নেমে জুড়িয়ে নিচ্ছে।:|:|:|



কাকাতুয়া আমাদের দেখেই চিৎকার শুরু করল "হ্যালো..হ্যালো...হ্যালো....মরনিং.....মরনিং" - উমমম সামাজিকতা ভালই শিখেছেন উনি, গলাটাও সত্যি চমৎকার!!



তাদের পাশেই ব্লাক সোয়ান অহংকারি ভঙ্গিতে দাড়িয়ে যেন কাছে গেলেই কামড়ে দেবে /:)/:)



কোয়ালা পরিবারের কাছে যখন পৌছালেম উনারা ১২তম পর্ব ঘুম দিচ্ছেন। কোয়ালা তাদের জীবনের বেশির ভাগ সময়ই ঘুমিয়ে কাটায়।



গাছের ডালে ঝুলে ঝুলে অঘোর ঘুমে তলিয়ে। ইউক্যলিপ্টসের পাতা ওদের সবচাইতে প্রিয় ও প্রধান খাদ্য। যাতে নিউট্রিশনাল ভ্যালু খুবই কম। তাই ওরা এনার্জি সঞ্চয় করতে প্রতিদিন ১৮ - ২০ ঘন্টা ঘুমায়। ওদের যখন বাচ্চা হয় মা বাচ্চাকে ৬ মাস তার পাউচের ভেতর ক্যারি করে, এর পরের ৪ মাস পিঠে ক্যারি করে।

পানি ওরা খুবই কম পান করে। পানির ঘাটতি ওরা ইউক্যলিপ্টাসের পাতা থেকে পূরন করে।



যাই হোক কনো রকমে একজনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে আমাদের সাথে দেখা করতে নিয়ে আসা হলো।


কিযে আদুরে!! কোলে নিতেই ওর তুলতুলে নরম ফারে ভড়া শরীরটা খুব আদুরে লাগলো। হাতে করে ইউক্যলিপ্টসের পাতা চিবোতে থাকলো। এ এক নতুন অভিঙ্গতা !!


চলবে.....পরের পর্বে কুল্গার্লি যাচ্ছি!! সোনার ক্ষনি দেখতে!!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৫
৫৪টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×