somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ূন আহমেদের মন্তব্যে নিন্দার ঝড় [[[[অনেক পুরান একটা নিউজ]]]]

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[[[[আনেক আগের পুরান এই নিউজটা মনে আছে নাকি???!!]]]

লেখকের স্বাধীনতা, ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং রাজনীতি নিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনীতিকরা৷ গত শুক্রবার সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাত্‍কারে বলা নানা মন্তব্যের আকস্মিকতায় দৃশ্যত বিব্রত কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক বলেন, হুমায়ূন কী ভেবে, কোন চিন্তা থেকে এসব কথা বলেছেন তা আমি জানি না৷ খবর: বিডিনিউজ

সাক্ষাত্‍কারে হুমায়ূন আহমেদ দাবি করেন বাংলাদেশের লেখকরা স্বাধীন৷ ‘তাহলে হুমায়ূন আজাদকে মরতে হল কেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে প্রয়াত সাহিত্যিকের বন্ধু ও সহকর্মী হুমায়ূন বলেন, কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুত্‍সিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে৷ তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না৷ এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজিজুল বলেন, এ ধরনের মতামত উনি করেছেন, তা বিশ্বাস করা কঠিন৷ হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এসব বক্তব্য এতই তুচ্ছ ও হাস্যকর যে এর ওপর আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না, মন্তব্য করে এসব লোককে গুরুত্ব দিতে চাই না৷ এ ব্যাপারে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা কোহিনূর বলেন, এটা হুমায়ুন আহমেদের নিজস্ব মত৷ হুমায়ুন আজাদের ৯০ শতাংশ পাঠকই এই মত সমর্থন করবে না৷

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেশদ্রোহিতার মামলা মাথায় নিয়ে মৃতু্যবরণ করেছেন, ওনার অপরাধ কী ছিল- এ প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ওনাকে দেশদ্রোহী কখনোই বলা হয়নি, দেশদ্রোহী কথাটা ভুল তথ্য৷ তাছাড়া পুরো ব্যাপারটিই ছিল এত তুচ্ছ, আমরা জানি যে, পুরোটাই ছিল একটি সাজানো খেলা৷ এ বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল না, এটা বলা হুমায়ূন আহমেদের অজ্ঞতা৷ জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল, আমিও একজন আসামি ছিলাম৷ তিনি আরো বলেন, জাহানারা ইমামের বিষয়টি সাজানো খেলা, এটা অত্যন্তআপত্তিকর কথা৷ হুমায়ূন আহমেদের মত একজন লেখকের এ ধরনের বক্তব্য জামায়াত শিবিরের পক্ষেই যায়৷ লেখকরা স্বাধীন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি নিজে স্বাধীন হতে পারেন৷ যারা এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে বলেন, তাদের সবাইকেই কমবেশি নিগৃহীত হতে হয়৷ হুমায়ূনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার কথা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে৷ হুমায়ূন আহমেদ সেনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছে কিনা- সন্দেহ হচ্ছে৷ বাংলাদেশের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার খুব ভালো কাজ করছে উলেখ করে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, আমাদের রাজনীতিক সরকার ও রাজনীতিবিদরা এতদিন দেশটার যে অবস্থা করে রেখেছিল, আগামী আরো দুবছরও যদি জরুরি অবস্থা জারি থাকে, আমি তার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলবো না৷ দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশ পরিচালনার কথা এ সরকারের নয়৷ এ সরকারের আগে দেশের যে অবস্থা হয়েছিল তাতে দেশের মানুষই দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশ পরিচালনার কথা বলত৷

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, হুমায়ূন একজন লেখক ও সর্বোপরি একজন আবেগপ্রবণ মানুষ৷ রাজনীতিকি অনেক বিষয়ই ওনার জন্য অনুধাবন করা কঠিন৷ এজন্যই উনি বিভ্রান্তহয়ে রাজনীতি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছেন৷ দুই নেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশ পরিচালনার মন্তব্যটি হুমায়ূনের ব্যক্তিগত মত বলেও তিনি উলেখ করেন৷ ঢাবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিক উলাহ খান বলেন, হুমায়ূন আহমেদের কিছু বক্তব্য পড়ে মনে হয়েছে, আত্মপ্রচার ছাড়া সেখানে আর কিছুই নেই৷ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান বলেন, হুমায়ূন আহমেদ অতীতের দিকে যতটা দৃষ্টি দিয়েছেন, দুঃসহ বর্তমানের প্রতি ততটাই উদাসীন থাকতে চেয়েছেন৷ একজন সচেতন মানুষের জন্য এটা এক ধরনের দায়িত্বহীনতা৷

==============

বর্তমানের সাথে মিলায়া দেখেন....!!! ফ্ল্যাশব্যাক করেন!!
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×