তাজা খবর এবং মন্তব্য
জায়গাটা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্যার এ এফ রহমান হলে। কচুর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। ষাড়ের দুর্গ। অক্স ফোর্ট হলে মানাতো ভালো।
সাধে জেগে নাই কেউ। রাত বারটা পয়তাল্লিশ মিনিট থেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ওয়ার্ম আপ চলছে। সবগুলো তলায় দক্ষিন পাশে সেক্রেটারি গ্রুপ আর উত্তর পাশে সভাপতি গ্রুপ অবস্থান নিয়েছে। তারা রড দিয়ে বারান্দায় টানানো গ্রিলে সজোরে আঘাত করছে তালে তালে, লয় বুঝে জানালার কাচও ভাঙছে মাঝে মাঝে। মোটা মুগুড় দিয়ে মেঝেতে আঘাত করছে। এতক্ষন ধরে কেউই মারামারি করেনি। চলছে ওয়ার্ম আপ।
কিন্তু যে শ দুয়েক জন এই ওয়ার্ম আপে অংশ নিয়েছে তারা জানে না যে এটা ওয়ার্ম আপ। তাদের দু পক্ষকেই নিজেদের নেতারা বলেছে যে, ওরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। ঠেকাও। তারা ঠেকাচ্ছে। এই তারা সপ্তাহ খানেক হলো হলে উঠেছে। নতুন প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছাত্রলীগের গনরুমে উঠেছে। কাজেই এদের একটা ওয়ার্ম করিয়ে নেয়া চাই। বিবদমান সভাপতি ও সেকরেটারির মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতেই এই সংঘর্ষ হচ্ছে। যদিও সৈনিকরা সেটা জানে না।
মারামারি বাধানো হতে পারে। মাঝারি মানের। এ পক্ষ অপর পক্ষের রুমও ভাংচুর করতে পারে। অবশ্য গনরুমে ভাংচুর হবে। যারা ভাংবে তারাই আবার জানালার আয়না কিংবা ফ্যান ছাড়া রুমে থাকবে। সবকিছুই নির্ভর করছে সিমুলেটরের নিয়ন্ত্রনে থাকা দুই নেতা- সভাপতি ও সেক্রেটারির ওপর এবং দু পক্ষের পাতি নেতাদের ওপরে তো বটেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ছাত্রদলের আমলেও প্রতিবছর এমন ঘটনা ঘটতো।
তবে এবার একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে। ছাত্রদল কখনো দলীয় শ্লোগান দিতনা। একে অপরের চামড়া তুলে নিয়ে নিজেদের জুতা বানানোর শ্লোগান দিত কেবল। কিন্তু এর দুপক্ষই শ্লোগান দিচ্ছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
সবাই ষাড়ের মতো চেচাচ্ছে। ঘুমানো কষ্টকর। তাই একটু কষ্ট করে ব্লগর ব্লগর করতে বসা। আপনাদের আগ্রহ থাকলে আপডেট দেয়া হবে।
যদিও সংঘর্ষের সৈনিকরা এখনো মনে করছে এটা সংঘর্ষ। মাস খানেকের মধ্যেই তারা বুঝে যাবে এটা ছিল ওয়ার্ম আপ ।
এমন ওয়ার্ম আপের উপকার হচ্ছে :
এক
দুই
তিন
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭