somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রেনে একদিন...

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এইতো কিছুদিন আগে ট্রেনে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা আসছিলাম আমরা তিন বন্ধু। বিকেলের ট্রেন ছিল, দিনটি ছিল শনিবার। শনিবারের পদ্মায় (আন্তনগর ট্রেন) প্রচন্ড ভীড় হয়, আর ট্রেন কমপক্ষে এক ঘন্টা লেট হয়, সেদিনও ব্যতিক্রম ছিল না। তো আমরা গল্প করতে করতে সময় পার করছিলাম। আমাদের কোণাকুণি সিটে একটা কাপল বসে ছিল। কেন জানি ওদের দেখে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, দারুণ একটা জুটি। মেড ফর ইচ আদার। ভাইয়াটাকে মনে হল সদ্য চাকরী প্রাপ্ত ব্যাংক এক্সিকিউটিভ, আর আপুক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী মনে হল। দুই তিনবার ছোট-খাট কারণে ওদের কে হেল্পও করলাম আমরা। ওরা নামবে এয়ারপোর্ট ষ্টেশনে, আর আমরা নামব ক্যান্টনমেন্ট এ। এয়ারপোর্ট এ ট্রেন থামার বেশ কিছুক্ষণ আগেই ওই ভাইয়া আর আপু ব্যাগ গুছিয়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমরা তখন সিটে বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ আমার এক বন্ধু আবিষ্কার করল, ওদের সিটের পেছনের ব্যাগে গোলাপ ফুলের তোড়া। বুঝলাম ওরাই ফেলে গেছে। আমার বন্ধুটি বলতে লাগল, আপুকে ওটা দিয়ে আসতে পারলে ভাল লাগত। আমি বললাম, বলে যখন ফেলেছি, করে ফেলাই উচিত। কিন্তু সরাসরি আপুকে দিলে কেমন যেন দেখায়, চল আমরা বরং ভাইয়ার হাতে দেই। আমরা গেইটের কাছে গিয়ে ভাইয়াকে ডেকে ফুলের তোড়াটা দিয়ে দিলাম। ওরা বেশ মজা পেয়েছে, আপুটা তো হাসতেই লাগল, ভাইয়া কোনমতে বলল থ্যাঙ্ক ইউ!

আমরা সিটে এসে বসলাম, জানালা দিয়ে ওদের দেখা যাচ্ছিল। ওরা যেন কারো তাড়া খেয়েছে, এমন ভাবে দ্রুত ষ্টেশন ছেড়ে গেল। আর আমরা আলোচনা করে কয়েকটা অনুসিদ্ধান্তে এলাম..

১. এই কাপলের খুব রিসেন্টলি বিয়ে হয়েছে, (হতে পারে, সেদিনই।) কারণ, বিয়ের বেশ কিছুদিন হয়ে গেলে হাজবেন্ড ট্রেনে উঠে স্ত্রীকে ফুল প্রেজেন্ট করবে, এটা হওয়াটা একটু অস্বাভাবিক!
২. এরা সম্ভবত বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে, কারণ আপু আর ভাইয়া কে খুবই চিন্তিত লাগছিল, আপুর লাগেজ বলতে একটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সহ একটা ব্যাগ। আর ষ্টেশনে নেমেই যেভাবে পালাল...
আপু আর ভাইয়া, জানিনা এখন আপনারা কোথায়, কেমন আছেন। জানি এই লেখা আপনাদের চোখে পড়বেনা, তবুও প্রার্থনা করি, সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে আপনাদের জীবন সুখের হোক।

শুভকামনায়...
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×