১৯ বছর আগে মেয়েটি ডায়েরিতে লিখেছিল 'আমি এক খাঁচায় বন্দী পাখি।... সে পালতোলা নৌকা... আমার জীবনে উড়ন্ত পাখি...'
এই সেটা কে জিজ্ঞেস করতে মেয়েটা লাজরাঙা হয়ে জানিয়েছিল 'আপনি'। মানে আমি।
আত্মীয়তা সূত্র, কম বয়সের দ্বিধায়, সদ্য একটা সেমি ছ্যাকের ক্ষোভে তথন সাড়া দেওয়া হয়নি। তারপর ১৯ বছরে বেশ কবার দেখা হয়েছে। মেয়েটি আর আমি দুজনই সংসারি। দুজনের বয়স চল্লিশের আশেপাশে।
মাঝে মাঝে দেখা হয় মেয়েটির সঙ্গে। আমি ডাকলেই দুজনে আলাদা হয়ে কথা হয়। অতীতের সেই ডায়েরি আসে না। কোনো আবেগি কথাও না। সে তার স্বামী আমি আমার স্ত্রী নিয়ে হ্যাপি। নানা কথা হয়, কটনামি হয়। এর মধ্যেও আমার মধ্যে আবেগ এসে ভর করে। মেয়েটির চোখও আবেগি হয়ে ওঠে।
ক দিন আগে দক্ষিনের এক শহরে গিয়েছিলাম। মেয়েটির বর্তমান অবস্থান সেই শহরে থেকে দুঘণ্টার ড্রাইভ। একদিন সব কাজ বাদ দিয়ে গেলাম তার সঙ্গে দেখা করতে। জেলা শহরের কোমল পরিবেশে মেয়েটির চোখে মুখে এখনো দেখলাম সেই আবেগ। ঘণ্টা তিন চারে সেটা ভালোই টের পাওয়া গেল। আমার বুকেও দেখলাম কোথায় যেন একটা চিনচিনে ভাব বহমান....