somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শত বাধার পরও ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা , পাঠকদের মতামত

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শত বাধার পরও ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা
আপেল মাহমুদ
পাঠকদের মতামত


অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দরকার
আহসান কবীর
মডার্ন, রংপুর
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন জাপান, আমেরিকা, চীন খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বা ক্রীড়া উপকরণ ব্যবহার করছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেমন অলিম্পিক গেমস, বিশ্বকাপ, সাফ গেমস ইত্যাদিতে পদকের তালিকায় শীর্ষে থাকছে। এসব খেলায় অংশগ্রহণ করে আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন একটা সুবিধা করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে বাছাই পর্বেই বাদ হয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মেয়েরা খেলাধুলার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা অনেক পুরনো। ফলে এ ধরনের যন্ত্রপাতি শরীরের ক্ষতিসাধন করছে। রাইফেল রেঞ্জের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া সাঁতার পুল, টেনিসসহ সব জায়গায় রয়েছে সমস্যার জট। এত সমস্যার মধ্যে নারীদের এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই খেলাধুলার ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে হলে খেলার সরঞ্জামের উন্নতি ঘটাতে হবে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের বাজেট থাকতে হবে। এসব সমস্যা দূর করতে পারলে আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।

আলাদা খেলার মাঠ রাখতে হবে
তানিয়া জামান
ধানমন্ডি, ঢাকা
বর্তমানে মেয়েদের আলাদা কোনও খেলার মাঠ নেই। মেয়েরা কোথাও গিয়ে প্র্যাকটিস করবে বা শরীরচর্চা করবে তার উপায় নেই। আমাদের বাড়ির আশপাশে যেসব মাঠ আছে তার সবই ছেলেদের দখলে। সেখানে ছেলেরা খেললেও মেয়েদের অংশগ্রহণের কোনও সুযোগ নেই। শহর এলাকায় খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। যে কয়টা আছে তার সবই অবৈধ দখলে। ফলে ছেলেরা রাস্তায় বা পার্কে খেলার জায়গা করে নিলেও মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে এসব জায়গায় যেতে পারছে না। আমাদের জাতীয় যে কয়টি মাঠ আছে তার সবই ছেলেদের দখলে। শুধু ধানমন্ডিতে মেয়েদের জন্য একটি মাঠ আছে। মাঠের স্বল্পতার কারণে মেয়েরা তাদের প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে পারছে না। অধিকাংশ সময় দেখা যায় ছেলেদের খেলা বা অনুশীলন শেষ হলে মাঠ ফাঁকা হলে তখন তাদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে তারা ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। তাই সরকারের উচিত হবে অবৈধভাবে যেসব মাঠ দখল হয়ে আছে সেগুলো দখলমুক্ত করে সবার জন্য খেলার ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে নতুন খেলার মাঠ তৈরি করতে হবে। সংস্কারের অভাবে যেসব মাঠ পড়ে আছে সেগুলো সংস্কার করে মেয়েদের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।

অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করতে হবে
আবদুল হাকিম
খুলনা
আমাদের সমাজে খেলাধুলাকে এক ধরনের বিলাসিতার দৃষ্টিতে দেখা হয়। বলা হয়, যাদের কাজ নেই তারা খেলাধুলা করে সময় কাটায়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র এবং এই দরিদ্রতার জন্য দিনের অধিক সময় ব্যয় করতে হয় কাজের পেছনে। ফলে দারিদ্র্যকে যেখানে সামাল দিতে সারা দিন পার হয়ে যায় সেখানে খেলার সময় কোথায়। দরিদ্রতার কারণে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। ফলে প্রতিভা থাকার পরেও তা প্রকাশ পায় না। আবার খেলাধুলার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথাও চিন্তা করতে গিয়ে অনেকে থমকে যায়। কারণ সেখানে সরকার থেকে যে বেতনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা নামমাত্র। অনেক ক্ষেত্রে তা অনিয়মিত। ফলে মেয়েরা খেলাধুলাকে কেরিয়ার হিসাবে নিতে সাহস পায় না। তাই এই মুহূর্তে দরকার অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান। আমরা যদি আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো দূর করতে পারি তাহলে ক্রীড়া অঙ্গনে নারীরা অনেক ভালো করতে পারবে। তাই এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।

মেয়েরাও মানুষ এই থিমই একমাত্র সমাধান
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ
মিরসরাই, চট্টগ্রাম
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যটাকে রোগমুক্ত রাখতে, অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে, কর্মক্ষমতা বাড়াতে, শরীর সুদর্শন করে তুলতে শারীরিক ব্যায়ামের তুলনা হয় না। বরং আজকালের ডাক্তাররা বিশেষভাবে উল্লেখ করে দিচ্ছেনÑ ‘রোগমুক্তির পূর্বশর্ত শারীরিক ব্যায়াম।’ আর যারা ফিগারটাকে ঠিক রাখার ব্যাপারে গলদঘর্ম, তাদের যেমন নির্দিষ্ট ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয় অনুরূপভাবে থলথলে নারী শরীরকে শক্তপোক্ত এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। এসবই দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতার বিশ্লেষণ। বলা বাহুল্য, ক্রীড়াঙ্গনের যেকোনও শাখাতেই যুক্ত হলে শারীরিক কসরত বলতে যা বোঝানো হয়, তার সবই হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই। এ কথাগুলো যিনি মাথায় রাখবেন, তিনি তার নিজের মেয়ে, স্বজন-প্রিয়জনদের মেয়েকে কোনও ধরনের রক্ষণশীলতার জালে না আটকিয়ে বরং এমন সুযোগ হাতছাড়া করবেন না কোনওক্রমেই। তাছাড়া নারীকে নারীত্বের গ-িতে আবদ্ধ রাখা মানবাধিকারেরই চরম লঙ্ঘন, পুরুষের মতো নারীরাও আত্মপ্রতিষ্ঠার অধিকার রাখে। নারী আত্মপ্রতিষ্ঠার পথে এগুতে থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক কুপ্রথা ও সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পায়। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, দাবাসহ সব খেলাতেই আজকাল আত্মপ্রতিষ্ঠার পরম সুযোগ। মেয়েদের বেলায় এ সুযোগটা বেশিই। বিদেশের কোনও মেয়ে নয়, এ ক্ষেত্রে আমাদের ভারোত্তোলক ফাহিমা, ক্রিকেটার সালমা খাতুন, পান্না ঘোষ, টেনিস তারকা জোবেরা রহমান লিনু, শুটার সাবরিনা সুলতানা এবং ‘দাবার রানী’ রানী হামিদই এ ক্ষেত্রে আমাদের মেয়েদের, নারীদের প্রেরণা হতে পারে। কেননা এরা সবাই দেশ-বিদেশে সমান জনপ্রিয় এবং সার্থক মানুষ। অতএব একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হয়েও নারী ও পুরুষের মাঝে লিঙ্গের দেওয়াল তুলে দেওয়া আমাদের জন্য আহাম্মক ও অবিবেচকের কাজ হয়। পক্ষান্তরে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ীরা সঙ্কীর্ণতা ও রক্ষণশীলতাকে প্রোথিত করে সাফল্যের চূড়ায়ই দৃষ্টি রাখে।

ক্রীড়াঙ্গনে এগিয়ে যাক নারীরা
রণজিৎ মল্লিক সরকার
সরাইদহ, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ
খেলাধুলা এক অনাবিল আনন্দের চিরন্তন উৎস। খেলাধুলা দেশের জন্য বয়ে আনে সম্মান। খেলাধুলা জাতীয়তাবোধেরও জন্ম দেয়। জাতীয়তাবোধ প্রত্যেক দেশেরই এক অমূল্য সম্পদ। ক্রীড়াঙ্গনে নারী। বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা অনেক সমস্যার কারণে পিছিয়ে আছে। পিছিয়ে থাকার কারণগুলো হলো : পারিবারিক, ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশিক্ষণ, খেলার মাঠের অভাব ইত্যাদি। নারীদের খেলাধুলার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হলে প্রথম যাদের এগিয়ে আসতে হবে তা হলো মিডিয়া। মিডিয়াই পারে নারীদের খেলাধুলার জগতে এগিয়ে আনতে। নারীরা উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে দেশের জন্য বয়ে নিয়ে আসবে সম্মান। তাই মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নারীদের সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এগিয়ে আনুন ক্রীড়াঙ্গন। আসুন আমরা সবাই সব বাধা দূর করে ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের আসতে উৎসাহিত করি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×