somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শত বাধার পরও ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শত বাধার পরও ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা
আপেল মাহমুদ
‘আমার পরিবারই খেলাধুলার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। খেলাধুলা করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবÑ এই চাওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। আমি মেয়ে তাই তারা বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। বাড়ির আশপাশের লোকজনও বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। এ ছাড়া ধর্মীয় বাধা ও অর্থনৈতিক সমস্যা তো ছিলই। শত বাধার পরও একমাত্র মনের জোরে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছি।’ এভাবে ক্রীড়াজগতে আসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারোত্তোলনে ৭টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ পদক জয়ী ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে ফাহিমা।
মানুষের শক্তিমত্তা সরাসরি তুলে ধরার খেলা হলো ভারোত্তোলন। ভারোত্তোলনকে এক বা দুই ঝাঁকিতে মাটি থেকে বারবেল মাথার ওপর তোলার মতো সহজ খেলা মনে হলেও এটি এত সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন শক্তি, গতি, কৌশল ও পূর্ণ মনোযোগ। এর সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এগিয়ে চলছেন ফাহিমা। এখন ৮৬ কেজি ভারোত্তোলন তার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। এতদূর আসার ক্ষেত্রে তিনি তাঁর মজিবুর কাকা, আনসার বাহিনী ও কোচদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শুধু ভারোত্তোলনে নয়, বাংলাদেশের সব খেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। শত বাধার পরও নারী খেলোয়াড়রা বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।
ক্রীড়াজগতে আগমনের ক্ষেত্রে দেশের নারীরা যেসব বাধার সম্মুখীন হচ্ছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কোচ ফারুখ সরকার ও সূচি বলেন, ক্রীড়াজগতে আসার ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতা বড় করতে হবে। পুরুষ ও নারী উভয়কে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। নারীরা ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবেÑ এই ধরনের মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে হবে। নারীদের ক্রীড়াজগতে আসার ক্ষেত্রে ধর্মীয় বাধাও একটি বড় কারণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণকে মডেল হিসাবে ব্যবহার করা যায়। সেসব দেশের নারীরা জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অংশ নিচ্ছে। আমাদের দেশ দরিদ্র। এখানে অভাব বোধটাই বড়। মনে করা হয় খেলাধুলা করে কী হবে? ফলে মেয়েরা খেলাধুলার জগতে আসতে উৎসাহিত হচ্ছে না। বাংলাদেশে দু-একটি খেলায় নারীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু ভারোত্তোলনসহ অন্যান্য খেলায় তেমনটা মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। ফলে এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা আসছে না।
বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেটের অলরাউন্ডার পান্না ঘোষ উঠে এসেছেন রাজশাহীর কুমারপাড়া থেকে। নারী-পুরুষের বৈষম্যের বাধা পেরিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। সমাজে কে কী বলল সেদিকে মন না দিয়ে তার সব ভাবনা ক্রিকেট নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের মতো আমাদের ক্যাম্পিং করা হয় না। ছেলেদের মতো প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পিং করলে তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো করব।’
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। খুলনার এই মেয়ের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। পত্রিকায় মেয়েদের ক্রিকেট দল হচ্ছে এমন খবর দেখে মহিলা ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। শুরুতে খুলনা দলে ঢুকে চট্টগ্রামের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন। এরপর জাতীয় দলে ঢুকে ২০০৮ সালে মালয়েশিয়া সফরের পরই দলের অধিনায়ক হন। সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সালমা জানান, পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা বছরে অনেক কম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের নিয়ে ক্যাম্প খুব কম হয়। দলের অনুশীলনও ঠিকমতো হয় না। একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর যে যার এলাকায় চলে যায়। এরপর আর নিয়মিত অনুশীলন হয় না। মহিলা ক্রিকেটের ভালো একটা বুনিয়াদ গড়ে তোলা হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভালো ফল পাবে বলে মনে হয়।
সালমা বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো ফল পাওয়ার জন্য, জাতীয় পর্যায়ে মহিলা ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের মহিলা ক্রিকেট এখনও কিছু অভাবী মেয়ের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই গ-ি ভেঙে পেশাদারি পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে মহিলা ক্রিকেটকে। আর সেটা করা হলে মহিলা ক্রিকেটাররাও বিশ্ব ক্রিকেটে উজ্জ্বল করবে বাংলাদেশের নাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে সাবরিনা সুলতানা শুটিং রেঞ্জে রাইফেল হাতে রেঞ্জ থেকে এনেছেন অনেক সাফল্য। সোনার পদকে গৌরবদীপ্ত করেছেন দেশকে। কমনওয়েলথ শুটিংয়ে ১টি, সাফে ৩টি, ইন্দো-বাংলায় ৮টি সোনা জিতেছেন তিনি। সাবরিনার মতো মেয়েদের একটাই দাবিÑ সব বাধা দূর করে ক্রীড়াজগতে নারীদের আগমন ঘটুক।
গিনেস রেকর্ড বুকে নাম ওঠানো বাংলাদেশের টেনিস তারকা জোবেরা রহমান লীনু। খোলায়াড় থেকে এখন ক্রীড়া সংগঠক। জাতীয় দৈনিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের ক্রীড়াঙ্গন দিন দিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে। নাটক, সিনেমা, মডেলিং করে তরুণীরা নাম করছে, টাকা পয়সা পাচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনে তো সেটি নেই। দায়িত্ববোধের অভাব রয়ে গেছে আমাদের ক্রীড়াবিদদের। তবে এটা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবেই হচ্ছে।
লিনু বলেন, আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য আরও অনেক ভাবতে হবে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম টাকা। আজও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেনি আমাদের ক্রীড়াঙ্গন। ক্রিকেট-ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতা পেতে সমস্যা হয় না, কিন্তু অন্যান্য খেলায় এটি অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের টুর্নামেন্ট বাড়াতে হবেÑ তাহলে একটি গতিশীল ক্রীড়াঙ্গন পাব।
বাংলাদেশে খেলাধুলার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে শুরুতে নারী খেলোয়াড়দের পদচারণা খুব একটা ভালো ছিল না। যারা শুরুর দিকে এসেছেন তারা নিজে থেকে এসেছেন এবং খোলামনে বাংলাদেশের খেলাধুলার জগতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এ দেশের মহিলা খেলোয়াড়দের নিয়ম বিশ্ব খেলাধুলা নিয়মের তুলনায় অবহেলিত। অবহেলার মূল কারণ পরিবার, সমাজ, ধর্ম, অর্থনৈতিক নির্ভরতা, জীবনযাপনের বৈচিত্র্য এবং নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকা। একজন ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফুটবল বা ক্রিকেট ব্যাট-বল দিয়ে মাঠে নামানো হয়। সমবয়সী একজন মেয়েকে খেলনা পুতুল দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। খেলার মাঠ বলতেই যেন ছেলেদের স্থানকেই বোঝায়, মেয়েদের যেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে বর্তমানে এই প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে। শুরুতে কিছু মহিলা দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করলেও এখন মেয়েরা মাঠে খেলছে। শুধু ছেলেরাই খেলাধুলার সাফল্যর পরিচয় দিতে পারেÑ এই কথাটা ভুল প্রমাণিত করে মেয়েরাও সাফ গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, ইন্দো-বাংলা গেমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।
সমাজের সব বাধা-বিপত্তি দূরে ঠেলে খেলাকেই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করছে অনেক মেয়ে। সাফল্য ও উপার্জন ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে সহায়ক হচ্ছে। বাংলাদেশে এমনও অনেক মহিলা খেলোয়াড় আছে যাদের আয়ে চলছে পরিবার।
আগে মনে করা হতো মেয়েরা ছেলেদের বিনোদনের অংশ। তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষদের জন্য নিবেদিত হবে। বর্তমানে বিভিন্ন পেশার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে মেয়েরা। খেলাধুলায় আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা লিঙ্গবৈষম্য। খেলাধুলার জগতে একজন পুরুষকে যেভাবে গণ্য করা হয় সেভাবে একজন নারীর আগমনকে স্বাগত জানানো হয় না। তাদের দুর্বল শক্তিহীন প্রতিযোগিতায় অক্ষম হিসাবে দেখা হয়। এসব বদ্ধ ধারণা এখন ভাঙছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা উঠে আসছে, প্রসার ঘটেছে মহিলা ক্রীড়ার। বর্তমানে নারীদের খেলায় সম্পৃক্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। স্কুল পর্যায় থেকেই সেই ভিত গড়ে তোলা হচ্ছে। বিকেএসপিসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন থেকে প্রতিভাবান নারী খেলোয়াড় খুঁজে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
দেশে নারীদের খেলাধুলায় অনগ্রসর থাকার একটি প্রধান কারণ পোশাক। পোশাক নিয়ে দেশে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও বহির্বিশ্বের নারীদের মতো পোশাক পরে খেললে আমাদের দেশের অনেক পুরুষই বিব্রতবোধ করে।
পোশাকে ধর্মীয় বিধান মেনেই খেলাধুলার জগতে আসছে নারীরা। শুধু বাংলাদেশ নয়, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, ইরানের মেয়েদেরও একই অবস্থা। ধর্মীয় নিয়ম মেনেই ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার বাক্সেটবল, ক্রিকেট এমনকি রাগবিও খেলছে তারা। তুরস্কের মতো মুসলিম দেশে এক্ষেত্রে সরকারিভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়। সৌদি আরবকে সবাই চেনে রক্ষণশীল গোঁড়া দেশ হিসাবে। সেখানেই এখন মাঠ দাপিয়ে মেয়েরা খেলে বেড়াচ্ছে ফুটবল। সৌদি যুবরাজের প্রচেষ্টায় সৌদিতে ফুটবল, বাক্সেটবল, ভলিবল খেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বিদ্যালয়ের মেয়েরা। গত অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো নারী ক্রীড়াবিদ প্রেরণ করে ওমান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো ইসলামী দেশগুলো, যা অবশ্যই ইতিবাচক একটি দিক। ইরানের মতো কট্টর ইসলামিক দেশের মেয়েরাও এখন রাগবি খেলছে। খেলাটি যথেষ্ট পরিশ্রমের হলেও তারা এটা প্রমাণ করেছে যে মেয়েরা কঠিন পরিশ্রমের খেলা খেলতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিনের নারীরাও এগিয়ে এসেছে ফুটবল খেলতে। হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দেশটির মেয়েরা পূর্ব জেরুজালেমের ফয়সাল আল হোসাইন স্টেডিয়ামে আরেক মুসলিম দেশ জর্ডানের মেয়েদের সঙ্গে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নেয়। হাজার সমস্যার মাঝেও তারা যে ধরনের ড্রেস কোড মেনে খেলাধুলা করছে সেটা শরিয়ত সম্মত। তবে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খেলার জন্য যে ধরনের পোশাক পরা উচিত তা পরলে খেলার মান আরও উন্নত হবে।

দরকার মিডিয়ার সমর্থন
রানী হামিদ, বাংলাদেশের দাবার রানী
ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। আগে সামাজিক বাধা থাকলেও বর্তমানে নারীদের ইচ্ছার অভাব, অর্থনৈতিক সঙ্কটই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। আগে নারীরা একটা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকত, কিন্তু এখন তারা অনেক স্বাধীন। বর্তমানে যেটি জরুরি সেটি হচ্ছে মিডিয়ার সমর্থন। গণমাধ্যম নারীদের খেলাধুলার জগতে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা যেভাবে কোনও বিষয় উপস্থাপন করবে সেভাবে দেশের জনগণ গ্রহণ করবে। জনগণকে সচেতন করতে এবং নারীদের খেলাধুলায় অনুপ্রেরণা দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে দেখা যায় যে নির্দিষ্ট কিছু খেলার ওপর সংবাদ প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও যে দেশে আরও খেলা আছে সেগুলোর কোনও খবর গণমাধ্যমে আসে না। ফলে মেয়েরা বিভিন্ন খেলা সম্পর্কে কোনও খবর জানে না এবং সে সবের প্রতি কোনও আগ্রহও দেখায় না। খেলাধুলার উন্নয়নে ক্রীড়াশিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে আবশ্যকীয় করা উচিত। এটি করা হলে অন্যান্য বিষয়ের মতো এ বিষয়েও শিক্ষার্থীরা দায় অনুভব করবে। এতে ছেলেমেয়ে উভয়েরই বিভিন্ন খেলার সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
বর্তমানে মেয়েদের পোশাকের দোহাই দিয়ে খেলার জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। আমরা অনেকেই জানি না উপযুক্ত পোশাক পরেও যেকোনও খেলায় অংশগ্রহণ ও ভালো ফলাফল করা সম্ভব। বিশ্বে এমন উদাহরণ অনেক আছে। এজন্য আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। মেয়েদের খেলাধুলার উন্নয়নে সরকারকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ছেলেমেয়ের মধ্যে খেলাধুলায় কোনও বৈষম্য রাখা চলবে না। আমরা যারা খেলাধুলার জগতে এসেছি, নিজেদের চেষ্টায় এসেছি। নিজের ঘরের খেয়ে খেলেছি। এখানে পেশাদারিত্ব নেই বললেই চলে। তাই রাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতা এক্ষেত্রে খুব দরকার।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×