somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেপাল-ভারত ১৯৫০ সালের শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তি!!!!!!!!!! স্বাধীন হয়েও পরাধীন নেপাল!!!!!!!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৫০ সালে নেপাল-ভারত শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়!! সেই চুক্তির বলে নেপাল ও ভারতের মধ্যে ওপেন বর্ডার সিস্টেম চালু হয়!! এই চুক্তির ফলে নেপাল ও ভারতের নাগরিকরা অবাধে একে অপরের দেশে ভ্রমন, ব্যবসা,পড়ালেখা, চাকরী (সামরিক-বেসামরিক), সম্পত্তির মালিকানা নিতে পারে!! রিলেশনশীপটা খুবই স্পেশাল!! শোনা যায় তাদের জন্য পাসপোর্ট বা পারমিশনেরও দরকার হয় না!! এই চুক্তির ফলে নেপাল সামরিক ভাবেও ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে!! তৃতীয়পক্ষ থেকে অস্র আমদানীর ক্ষেত্রেও ভারতের অনুমতির প্রয়োজন হয়!!

১৯৬০ সালের দিকে নেপাল বুঝতে পারে যে, এই চুক্তি নেপালের বিপক্ষে গিয়েছে!! নেপালী নাগরিকদের অতিমাত্রায় ভারতে গমন, সেখানে থাকা ও চাকরী করার কারনে ও নেপালের অর্থনীতি অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত হয়ে পড়ায়, নেপালে এই চুক্তির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে!!

১৯৭৫ সালে ভারত সিকিম দখল করে সিকিমকে অংগরাজ্য বানানোর পরে নেপাল প্রচন্ডভাবে ভীত হয়ে পড়ে!! সেইসময়ে নেপালের রাজা বীরেন্দ্র বীর শাহ দেব ১৯৫০ সালের নেপাল-ভারত চুক্তির সংশোধনের দাবী জানায় ও নেপালকে একটি আন্তর্জাতিক Peace zone বানানোর প্রস্তাব করেন!! ভারত এর বিরোধীতা করে জানায় ১৯৫০ এর চুক্তি সংশোধনের কোন প্রয়োজননেই!! ভারত জানায়, এই চুক্তির সংশোধন করা হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে!!

১৯৮৪ সালে নেপাল আবারও চুক্তি সংশোধনের দাবী জানালে ভারত আগের মতই অপারগতা প্রকাশ করে!! নেপাল আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে বাধ্য হয় এবং ১৯৯০ পর্যন্ত ১১২ টি দেশের সমর্থন লাভ করে!!

১৯৭৮ সালে অবশ্য ভারত নেপালের দাবীর মুখে ট্রানজিট ও বানিজ্য ছুক্তিকে বিভক্ত করে দুইটি আলাদা আলাদা চুক্ত করে!! এর আগে বানিজ্য ও ট্রানজিট একটিই চুক্তির অন্তর্গত ছিল!! এখানে বলে রাখা ভাল, এই সময়টাতে (১৯৭৭-৭৯) ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিল মুরারজী দেসাই!! ইন্দিরা গানধীকে পরাজিত করে মুরারজি দেশাই এই সময়টাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল!!
যাক সে কথা!!

দুইবার রিনিউ করার পরে ১৯৮৮ সালে যখন ট্রানজিট ও বানিজ্য বিষয়ক আলাদা চুক্তিগুলোকে ভারত তার নিজের মত করে নতুন ভাবে সম্পাদনের জন্য নেপালের উপর চাপ প্রয়োগ করে!! নেপাল রিফিউজড!!!!

অর্থনৈতিক ভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় নেপালকে!! ভারত মাত্র দুইটি বর্ডার পোস্ট রেখে আর সব বন্ধ করে দেয়!! নেপালের অর্থনীতি ও রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে!! নেপালের আরেকটি দোষ ছিল!!! তা হল, নেপাল নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতের অনুমতি না নিয়ে চীন থেকে অস্র কিনেছিল!! ভারতের মতে নেপালের এই পদক্ষেপ ছিল ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকী স্বরুপ ও ১৯৫০ সালের চুক্তি ও ১৯৫৯ ও ১৯৬৫ এর সমঝোতা বিরোধী!! সেলুকাস!!

১৯৯০ এ সেই সময়টা নেপালের বাচা মরার অবস্থা!! ১৯৯০ এর ৩১শে মার্চ ভারতীয় প্রতিনিধীদল একটি ড্রাফট প্রোপোজাল নিয়ে যায়!!

But on March 31, when Nepal was on the verge of political chaos, an Indian delegation appeared in Katmandu with a new treaty draft that would have given New Delhi considerable powers over most of Nepal's major decision-making processes from the choice of development projects to the selection of weapons the country wanted for its defense.

Click This Link

নেপাল এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ১৯৫০ এর সেই চুক্তি সংশোধনের!! ভারত শুধু আশাই দিয়ে যাচ্ছে আর বলে যাচ্ছে নেপালের ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না!! নেপাল বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চায়!! নেপাল চায় সৌর বিদ্যুত উতপাদনে বাংলাদেশের মত দেশের অংশগ্রহন!! নেপাল চায়, তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে!! নেপাল চায়, অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরাধীনতা কাটাতে!! কিন্তু তাদের সকল কর্মকান্ডেই আছে ভারতীয় হস্তক্ষেপ!!

রাজীব গান্ধী যদি শ্রীলংকায় সামরিক অভিযান চালানোর পরে শ্রীলংকায় গার্ড অব অনার নেয়ার সময়ে এক শ্রীলংকা সেনার রাইফেলের বাটের বাড়ি না খেত ও পরে নির্বাচনের সময়ে এলটিটিইর স্বেচ্ছাসেবকের হাতে নিহত না হত তবে এত দিনে আমরা হয়ত অন্য নেপাল দেখতাম!! অবশ্য ভারতের চেষ্টার কোন কমতি থাকবেনা!!

সুত্র:
Nepal

India-Nepal Accord on Ending Trade Dispute Is Near Collapse

Nepal Balks at Its Friendship Treaty With India

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১২
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×