somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চট্টগ্রাম

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া রাউজান এলাকায় বিআইটিতে (বর্তমান চুয়েট) পড়ালেখা করেছি আমি। তাই চট্টগ্রামের খবর শুনলেই স্মৃতি মনে পড়ে যায়। চট্টগ্রামের একটি খবর পত্রিকা থেকে।



চট্টগ্রাম অফিস : সঙ্কটে লুসাই কন্যা কর্ণফুলী নদী। অব্যাহত দখলের কারণে তার অস্থিত্ব হুমকির মুখে। রাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ নদী পথের দু'তীরের ভূমি ও চর দখল হচ্ছে প্রকাশ্যে ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে। কর্ণফুলীতে জেগে ওঠা চর ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে। সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশ বাস্তুহারা লীগ ও হকার্স লীগ বিশাল জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইনবোর্ড লাগিয়ে। এতে নদীর দু'তীর ছোট হয়ে আসছে। এছাড়া দূষণের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বিপর্যয় ঘটছে কর্নফুলীর পরিবেশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শাহ আমানত ব্রীজের পূর্ব পাশে অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এবং পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার চাক্তাই থেকে মনোহরখালী ঘাট পর্যন্ত বিশাল এলাকায় শত শত বসতঘর গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন এর সংখ্যা বাড়ছে। চাক্তাই ও মনোহরখালী ঘাট এলাকায় অসংখ্য কাঠের টিম্বার ফেলে নদীর গতিপথে বাধা সৃষ্টি এবং দখল করা হচ্ছে। মনোহরখালী ফিসারী ঘাট এলাকায় মেরিনার্স সড়কের পাশে বাংলাদেশ বাস্তুহারা লীগ ও হকার্স লীগের সাইন বোর্ড লাগিয়ে বিশাল জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। মেরিনার্স সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি দোকান। জানা গেছে শ্রমিকলীগ কর্মী কোরবান আলী ও হারুনের নেতৃত্বে হাকার্স লীগের সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে। চাক্তাই ব্রিজের একটু দক্ষিণ-পূর্বে গড়ে তোলা হয়েছে শত শত বাড়ি ঘর, ছোট ছোট গুদাম ও কারখানা। প্রায় আধা কিলোমিটার নদীর পাড় ভূমিদস্যুদের দখলে চলে গেছে। বাসা-বাড়িগুলো ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে ভূমিদস্যুরা।
এলাকাবাসীরা জানান, আটটি সিন্ডিকেট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কর্ণফুলী নদী দখল করছে। এদের মধ্যে সরকার দলীয় নেতাকমীরাও জড়িত রয়েছে। তারা ১০/১২ জনের গ্রুপ করে দিনদিন কর্ণফুলী নদীর দু'পার গিলে খাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা, কদমতলী, শিলক, কোদলা, সরফভাটা, মরিয়ম নগর, পারুয়া, বোয়ালখালীর কালুরঘাট, চরণদ্বীপ, খরনদ্বীপ, কধুরখীল, পশ্চিম গোমদন্ডী, আমুচিয়া, পশ্চিম পটিয়ার শিকলবাহ, কালারপুল, ডাঙ্গারচর, খোয়াজনগর, চরপাথরঘাটা, ইছানগর, নগরীর মোহরা, কালুরঘাট পশ্চিম, বাংলাবাজার, জলিলগঞ্জ, ফিরিঙ্গিবাজার ও ব্রীজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী দখল হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নদীর দু'তীর ভরাট করে স্থানীয় সন্ত্রাসী, সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও ভূমিদস্যু এ দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। দখলকৃত জায়গায় গড়ে তুলছে তারা কারখানা, মিল, দোকানপাট, বালু-পাথর-বাঁশও কাঠের আড়তসহ অবৈধসব প্রতিষ্ঠান। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মতে কর্ণফুলীর দু'তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারের চেয়ে বেশি। ফলে কর্ণফুলীর বুকে নতুন নতুন চর জেগে উঠছে।
পরিবেশবিদরা জানান, দখলের কারণে কর্ণফুলী নদী ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়েছে। প্রতিদিন ৭৩০টি করখারখানা, ১৫০টি বড় আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠান, ১৯টি ট্যানারি, ২৬টি টেক্সটাইল মিল, ২টি রাসায়নিক শিল্পকারখানা, পাঁচটি মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ৫টি সাবান কারখানা, ২টি তেল শোধনাগার, সিইউএফএল, কাপকো ও চন্দ্রঘোনা পেপার মিলের ৭৬০ মেট্রিক টন বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলীতে পড়ছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে চলাচলরত ১২০০ ছোট জাহাজ, ৬০-৭০টি তেলের ট্যাংকার, সাড়ে ৩ হাজার ইঞ্জিল চালিত নৌকার বর্জ্যতো প্রতিদিন কর্ণফুলীতে নিঃসরণ হচ্ছে। ফলে কর্ণফুলীর ২০ প্রজাতির মাছ ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে জানালেন পরিবেশবাদীরা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×