আমার প্রিয় ছবি : দ্য সাউন্ড অব মিউজিক
মুক্তি : ১৯৬৫
দৈর্ঘ : ১৬৭ মিনিট
রঙ : সাদাকালে
দেশ : আমেরিকা
ভাষা : ইংরেজি
প্রযোজনা ও পরিচালনা : রবার্ট ওয়াইজ
চিত্রনাট্য : আর্নেস্ট লেহম্যান, লিবরেত্তো, হাওয়ার্ড লিন্ডসে, মারিয়া ভন ট্রাপ [আত্মজীবনী]
অভিনয় : জুলি এন্ড্রূস, ক্রিস্টোফার প্লামার, এলেনর পার্কার, রিচার্ড হাইডেন, পিগি উড, চার্মিয়ান কার
সঙ্গীত : ইরউইন কস্টাল [সুর], রিচার্ড রজার্স [গীত ও সুর], অস্কার হামের্স্টেইন [গীত]
চিত্রগ্রহণ : টেড ম্যাকর্ড
সম্পাদনা : উইলিয়াম এইচ রেইনল্ডস
কাহিনী সংক্ষেপ : মারিয়া উচ্ছল স্বাধীনচেতা নান। ক্যাপ্টেন ভন ট্রাপ মাতৃহারা তার সাত ছেলে মেয়ের দেখাশোনার জন্য গভর্নেস হিসাবে মারিয়াকে নেন। ভন ট্রাপ নিজে অত্যন্ত কড়া ধাচের মানুষ এবং তার দুষ্ট ছেলেমেয়েদের উপর আর্মির কড়া নিয়ম ফলান। স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি বিষন্ন, এ বাড়িতে কোন আনন্দ, গান নেই। মারিয়া প্রথমেই ক্যাপ্টেনের আর্মি নিয়মের বিরোধিতা করে এবং খুব দ্রুত এই দুষ্ট ছেলেমেয়েদের বন্ধু হয়ে যায়, শুধু তাই নয় সে তাদেরকে সঙ্গীতে অনুরক্ত করে ফেলে। কিছুদিনের জন্যে বাড়ির বাইরে থাকা ভন ট্রপ ফিরে এসে দেখে তার সন্তান গাছে উঠছে, ক্রুদ্ধ হয়ে তখনই তিনি মারিয়াকে চার্চে ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু যেই ছেলে মেয়েরা সাউন্ড অব মিউজিক [ছবির থিম গান] গায়, ভন ট্রপ মুগ্ধ হয়ে যায় এবং মারিয়াকে থাকতে বলেন। এদিকে ভন ট্রাপ তার সঙ্গে করে বেরোনেস শ্রেইডারকে এনেছেন যাকে তিনি বিয়ে করতে চান। শ্রেইডার প্রথম থেকে মারিয়াকে ঈর্ষা করতে থাকে এবং নানা ছল চাতুরী করে মারিয়াকে আবার গীর্জায় ফেরত পাঠায়। কিন্তু এদিকে ভন ট্রাপের ছেলেমেয়েরা সালজবার্গ সঙ্গীত প্রতিযোগতিায় অংশগ্রহন করবে। তারা মারিয়াকে ফেরত নিতে আসে। ভন ট্রাপও বুঝতে পারে, মারিয়াকে সে পছন্দ করে ফেলেছে। শ্রেইডারকে বিয়ের অপারগতা জানিয়ে দিয়ে মারিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। তারা হানিমুন করছে আর শিশু গানের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এর মধ্যে অস্ট্রিয়ার ক্ষমতা হিটলারের হাতে চলে যায়। নাৎসী পার্টিকে সহায়তা করতে নৌবাহিনীর অফিসার ভন ট্রাপকে যুদ্ধে যেতে হবে। এর থেকে বাঁচার জন্য ভন ট্রাপ নিজেকে ট্রাপ পরিবারের গায়ক হিসাবে ঘোষনা দেয় এবং প্রতিযোগিতায় তাকেও অংশগ্রহণ করতে হবে বলে জানায়। প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম হয়। কিন্তু নাৎসীবাহিনী ভন ট্রাপের পেছনে লাগে। দূর্গম আলপ পর্বতের মাঝ দিয়ে পায়ে হেঁটে তারা সুইজারল্যান্ডের দিকে রওনা হয়।
বিশেষত্ব : অস্ট্রিয়ার আলপস পর্বতমালার উদার প্রাকৃতিক পরিবেশে এ ছবি চিত্রায়িত। প্রথম দৃশ্যেই দেখা যায় আলপস পাহাড়, তারপর ক্যামেরা সবুজ প্রান্ত আর সাদা বরফের উজ্জ্বল্য পেরুতে থাকে। একসময় আমরা আবিষ্কার করি, এটি পর্বত চূড়ার মধ্যবর্তী খোলা প্রান্তর। আর এই খোলা প্রান্তরেই গান গাইছে মারিয়া। আন্দোচ্ছ্বল এই প্রথম দৃশ্য থেকে ছবির শেষ দৃশ্য পর্যন্ত পুরোটাই আনন্দ আর সুরের মূর্চ্ছনায় ভরপুর। মিউজিকাল ছবির ঘরানার সাউন্ড অব মিউজিক অবিস্মরণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। ১৯৬৫ সালের ২ মার্চ লস এঞ্জেলেসে এবং ১০ মার্চ নিউইয়র্কে মুক্তি পাওয়ার পর এ ছবি ৪৩ সপ্তাহের মধ্যে ৩০ সপ্তাহ জুড়েই এক নম্বর অবস্থানে থাকে। এই কয়েক সপ্তাহেই সে সময় এ ছবি অর্ধ বিলিয়ন আয় করে, শুধু তাই না, এবিসি টিভি মাত্র একবার প্রচারের জন্য এ ছবিকে ১৫ লাখ ডলার দেয়। দশটি অস্কার নমিনেশন এবং সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা আবহ, সেরা সঙ্গীত এবং সেরা সম্পাদনার পুরস্কার পায়। এর এ্যালবাম গ্র্যামি এওয়ার্ডে বছরের সেরা এ্যালবামের নমিনেশন পায়। গোল্ডেন গ্লোবে এটি সেরা মিউজিক্যালের পুরস্কার পায়। লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে এ ছবি সংরক্ষণের সম্মান পেয়েছে। গন উইথ দ্য উইন্ড এবং স্টার ওয়ার্সের পর এটিই সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিট্যুটের বিবেচনায় একাধিকবার এটি বিশ্বের সেরা একশ ছবির তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।
বিশেষ তথ্য : ১. ভন ট্রাপের পারিবারিক গানের দল ও নাৎষীদের হাত থেকে পলায়নের সত্য ঘটনা অবলম্বনে রিচার্ড রজার্স ও অস্কার হার্মেস্টাইন ব্রডওয়ের জন্যে এ নাটকটি লেখেন। ব্রডওয়ের হিট প্রযোজনােেকই রবার্ট ওয়াইজ চলচ্চিত্রে আনেন।
২. এ ছবির কেন্দ্রীয় অভিনেত্রী জুলি এন্ড্রূসের কোন ছবি তখনও মুক্তি পায়নি। প্রযোজক ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওতে গিয়ে জুলির মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি মেরি পপিন দেখার সাথে সাথেই তাকে নির্বাচিত করেন।
৩. ভন ট্রাপ ভিলা, বলরুম সব স্টুডিওতেই তৈরি হয়েছিলো। বলরুমটি চলচ্চিত্র শিল্প নির্দেশনার এতো সুন্দর হয়েছিল যে এই পুরো সেটটি হলিউড মিউজিয়ামে দান করা হয়েছে।
৪. এ ছবির সাফল্য অনেক সমালোচকের ভাল লাগেনি। ম্যাক কল ম্যাগাজিনের বিখ্যাত চিত্র সমালোচক পলিন কেল এ ছবিকে, ‘চিনি-মেশানো মিথ্যা যা লোকে খেতে পছন্দ করে’ বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবেগ আপ্লুত হয়ে গেছি এবং নন্দনতাত্তিক্ব ভাবে নির্বোধ হয়ে গেছি এই ছবির লক্ষ¥ী-লক্ষ¥ী গান শুনতে শুনতে।’ উল্লেখ ‘বেশি ভাল ভাল না’ টাইপের এই সমালোচনা জন্য তিনি চাকরী হারান।
৫. রিচার্ড বার্টন, শন কনারি এবং ইউল ব্রায়ানের কথা ভাবা হয়েছিলো ভন ট্রাপের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা
আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো
চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?
চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন