আগে ছোট থাকতে প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারির আগের রাত কাটতো নির্ঘুম
ফুল যোগাড় করা তারপর তোড়া বানানো এইসব করতে করতেই সময় চলে যেত।
আর সকালে তো কথাই নাই কখন যাব স্কুলে । খালি পায়ে যেতাম গিয়ে বন্ধুদেরকে নিজের বানানো তোড়া টা দেখাতাম ।
পরে সবার সাথে গান গেতে গেতে যেতাম শহীদ মিনারে।
ফুলদিয়ে আবার স্কুলে ওইখানেই নাস্তা করাত স্যারেরা
এখন খুব মিস করি ওই দিন গুলা
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো তাঁদের প্রতি, যাদের জন্যই হয়তো কিছু অনুভূতি আজ প্রাণের ভাষায়, বাংলা বর্ণমালায় সাজিয়ে নিয়ে লিখতে পারছি, বলতে পারছি; একজন বাঙ্গালী বলে নিজেকে গর্বিত বলতে পারছি। সত্যিই তোমরা বীর, তোমরা শহীদ। তোমাদের ভুলবো না।”
আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।
জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।
সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।