somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শামীম ভাইকে চিঠি (২)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শামীম ভাই, এভাবে আপনার চলে যাবার কথা ছিলো না। আমি যখন পড়াশোনার জন্য দেশে বাইরে আসি, আপনার সঙ্গে দেখা হয় নি। কথা হয়েছে। আধুনিকতার এই সুবিধাটুতুর কারণে অন্তত স্মৃতিতে রাখবার মতো এটুকুই সম্পদ। মাঝে মধ্যে ভুল করে আপনার নাম্বারে ডায়াল করি... অপর প্রান্ত থেকে যখন... তখন মনে হয় আপনি নেই। অনেকটা নিরাশ হয়ে রেখে দিই।
আপনিতো আমার গল্পের শ্রোতা ছিলেন। মনোযোগী শ্রোতা, এখন তো কেউ রইল না গল্প শুনার মতো। খুব যখন কষ্ট হতো, দুঃখ দুঃখ লাগত, আপনার কাছে ছুটে যেতাম। আপনি দেখেই বলতেন
: এই বস আসছে,..। তিনি আমাকে তাই বলে ডাকতেন।
তাপরপর একটা হাসি। উজাড় করা হাসি। আমরা কী এই হাসিটা হাসতে পারি? এ হাসিতে কোনো জগত সংসারের ক্ষ্রদতা ছিলো না। স্বার্থপরতা, কপটতা সবকিছু মাড়িয়ে নির্মল এই হাসি আর কি কখনো শুনতে পাব?
হয়তো না।
আসছে সেপ্টেম্বর আমাদের দাজিলিং বেড়াতে যাবার কথা ছিলো। তিনি ভ্রমণে খুব আনন্দ পান। গত শীতে গযা সমুদ্রসৈকত, কন্যাকুমরাী আরো কতো জায়গা গুরে এসেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে। আমি সেবার একটু অভিমান করেছিলাম। তিনি হেসে বললেন,
: ঠিক আছে, আপনি ইউরোপ থেকে ঘুরে আসেন, আমরা দাজিলিং বেড়াতে যাব।
তিনি বেড়াতে গিয়েছেন, সেখান থেকে আর ফিরে আসবেন না। ফিরে না আসতে আসতে এক সময় তার ফেরার কথা আমরা কেউ ভাবব না। দার্জিলিং এর পাহাড় থেকে নীচের ভূমি থাকার স্বপ্ন জাগবে না। দিগন্ত ছোঁয়া পাহাড়ের আকাশ থেকে সুবর্ণরেখা, সেখানে কোথায় কী তাকে দেখা যাবে না? হয়তো বা না।
বিবর্ণ আকাশ, যণ্ত্রণা মাখা নীলাভ দিগন্ত, অথবা আরো দূরের পথে, সঙ্গীহীন জীবনে ফিরে আসার কথা আর ভাবাই হবে না।
দার্জিলিং কিংবা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত, সুবলং পাহাড় কোনোকিছুই তাকে নিয়ে আর দেখা হবে না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×