১। জীবনের ৪৫ বছর ছুঁই ছুঁই। কখন জন্ম হয়েছিল, সন-তারিখ নিয়ে আমার বিভ্রান্তির শেষ নাই। আমি নিশ্চিত ফাগুন মাসের কোনো এক ভোরে আমি মাতৃদুনিয়া থেকে এইখানে এসেছি। এই দুনিয়া আমার কাছে খুব অচেনা ছিল না, তবে অজানা। আমাদের বাড়ীতে প্রায় সব ক'টি ঘরই মাটির ঘর। এরকম এক মাটির ঘরের যে অংশে পোয়াতি মা আমাকে শেষ বিদায় জানিয়েছিলেন, সে-ই ঘর আমার চোখে ভাসে। মনে হয় যেন আমি আমার জন্মক্ষণ নিজেই প্রত্যক্ষ করছি। প্রাণের জন্মক্ষণ দেখবার তৌফিক খোদা আমাদেরকে দিয়েছেন। প্রাণ বড়োই আনন্দময় গো।
২। প্রকৃতি আপন মহিমায় প্রাণ কল্লোলময়। আমার প্রাণ ও অন্যান্য প্রাণসকলের মধ্যে দুধমা ও দাইমাসুলভ সম্পর্ক থেকেই আমরা নিজের দর্শন নির্মাণ করা যেতে পারে। প্রাণের ব্যকরণ প্রাণেই নিহিত কি?
৩। আমরা সাধারণত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে উদাসীন। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে জীবনের মাজেজা ও প্রাণধর্মের সার কথা বুঝতে পারি। প্রাণ ও প্রয়াণের সম্পর্ক থেকেই আমরা জীবনের মর্ম উপলব্দি করতে পারি। অতএব আসুন প্রাণ রক্ষার সংকল্পে সিদ্ধ হয়ে জগত রক্ষা করি। নিম্নে কিছু সংকল্পের প্রসতাবনা পেশ করছি:
৩।১
সবকিছুকে সমূলে বিনাশ করা থেকে বিরত থাকি ।
অন্য প্রস্তাবনাগুলো অন্য সময় পেশ করবো ..।