আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো লবন দেন তাহলে তো গ্লাসের পানি পরে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না ।
মানুষের জিভের স্বাদের প্রাথমিক অংশই লবনের। লবন ছাড়া তরকারী! কল্পনাই করা যায়না! দেহের জন্য লবণ খুবই আবশ্যক। আপনি যদি খুব বেশি পানি পান করেন তাহলে তা সেই লবণ ধূয়ে দিয়ে প্রাণঘাতী নাতিউষ্ণতা সৃষ্টি করতে পারে।মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া প্রাণঘাতী প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি পাঁচ গ্রাম (এক চা-চামচ) বা তারও কম লবণ গ্রহণ করতে পারেন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এ পরিমাণ অবশ্যই আরও কম হতে হবে। হতে পারে।
দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের হিসাবে ১ গ্রাম করে লবণ খেলে মৃত্যু অনিবার্য। একসময় এভাবে লবণ খেয়ে চীনে আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল।অধিক লবণ গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ক্ষতির কারন। এর ফলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কেক রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ১শ মাইল দক্ষিণে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম লবন খনিটি। এখানে বছরে আড়াই লাখেরও বেশি পর্যাটক ভ্রমণ করে থাকে।খ্রীস্টপূর্ব ৩২০ সালে মহান যোদ্ধা আলেকজান্ডারের সৈন্যরা খাওয়ারা খনিটি আবিষ্কার করেন। তবে ষোড়শ শতকে মুঘল শাসনামলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। বৃটিশ শাসনামলে খনি প্রকৌশলী ডা. ওয়ার্ট ১৮৭২ সালে খনির মূল সুরঙ্গটি তৈরি করেন।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর হৃদরোগে মারা যায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি।
আসুন, সবাই ‘লবণ কম খাব, সুস্থ থাকব’−এই শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হই।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন