একদা তিনি আমার ছিলেন বুকের খুব ভেতরে হৃদপিণ্ডের প্রতিটি স্পন্দনে
তিনি আমার সামনে এবং পিছনে ছিলেন- যেমন দিন থাকে রাতের গভীরে
রক্তাক্ত আঙুলে ব্যান্ডেজ হয়ে একদা তিনি ক্ষত নিরাপদ করেছিলেন ডেটলে
তিনি আমার পথে ছিলেন- ভোরের শিশিরে স্নাত হয়ে কপালের শ্রমিকঘামে।
একদা তিনি আমার ঠোঁট ছুঁয়ে ছিলেন ঘুমের ভেতরে অবাক ভীষণ নিস্তব্ধতায়
সৈকতের সূর্যাস্তে বালিয়াড়ির বুকে তিনি নাম লিখেছিলেন তর্জনীর আঁচড়ে
একদা তিনি সোনালী ধানের দোলে দুলেছিলেন হেমন্ত পেরিয়ে শীত অবধি
তিনি ছিলেন দোয়েলের শিসে কাকাতুয়ার লাল টুকটুক মরিচ খোঁটা ঠোঁটে।
সুসজ্জিত টবে পাতাবাহারের পাহারা হয়ে তিনি সতর্ক ছিলেন সদর দরজায়
তিনি ছিলেন জানালার পাশে দেবদারু শাখায় প্রথম সূর্যের আলোআঁধারিতে
তিনি তখন ভেসেছিলেন কষ্টে আনন্দে স্বপ্নে- আপেল কামড়ানো আহত ঠোঁটে
ঝর্ণার স্রোতে সন্ধ্যার পাহাড়ে পা ঝুলিয়ে তিনি বসে ছিলেন সবুজ কফিনে।
ওয়ানস আপন অ্যা টাইম আমিও তার মতো দাঁড়াতে চাই
আরও এক আপেল কিম্বা অজস্র কমলার কোয়ার সম্ভবনায়।