লাউডগা সাপের দেহ মসৃণ, লম্বাটে ও নলাকার এবং নাক লম্বা ও সুচালো। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ সেমি (চারফুট থেকে সাড়ে ছয় ফুট পর্যন্ত হতে পারে।) , লেজের দৈর্ঘ্য দেহের মোট দৈর্ঘ্যের ৩৪%। ৫সেমি হতে পারে। দেহের পৃষ্ঠীয় ভাগ উজ্জ্বল সবুজ রঙের; কখনও কখনও বাদামি-ধূসর রঙের হতে পারে। অঙ্কীয়ভাগ উজ্জ্বল এবং হলুদ বা সাদা রেখার মাধ্যমে দেহের পৃষ্ঠীয়ভাগ থেকে পৃথক থাকে। দেহের পিছনের অংশে কালো ও সাদা আন্তঃত্বকীয় রেখা থাকে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, লাওস, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন এবং পূর্ব এশিয়ার চীনে এ প্রজাতিটি দেখা যায়।
এই সাপ কাঠবিড়ালী, ব্যাঙ ও অন্যান্য ছোট সাপ খেয়ে থাকে।
লাউডগা সাপের চোখ দেখে মনে হয় বাইরে বেরিয়ে আসছে। এদের দৃষ্টিশক্তি বেশী। চলাচলের সময় তাকালে মনে হয় যেন সম্মোহিত করছে। এইকারণে এই সাপের সম্মোহনী ক্ষমতা নিয়ে নানারকম গল্প প্রচলিত আছে।
লাউডগা মূলত দিনেই চলাচল করে। এরা সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকে। বেশ ক্ষিপ্র। উপর থেকে শরীর ঝুলিয়ে কপালের রগে কিংবা চোখে কামড় দ্যায়, এরকম লোকধারনার আসলে কোন বাস্তব ধারণা নেই। আর দশটা সাধারন সাপের মতো ভয় পেলে যেকোন জায়গায় কামড়ে দিতে পারে।
লাউডগা ডিম পাড়ে না, বাচ্চা দেয়। লাউডগার সঙ্গমসময় গীষ্ম থেকে শুরু করে বর্ষার মাঝামাঝি পর্যন্ত। মেয়ে লাউডগা একসাথে ২০টির মতো বাচ্চা দিয়ে থাকে। স্বাভাবিক হাঁটাচলার মাঝখানে লাউডগা গাছের শাখা প্রশাখায় নামিয়ে দিয়ে যায়।
আরো নামঃ শুয়াপঙ্খি, লতা সাপ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫