somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের নেপথ্যে কে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব পুরনো গল্প। সবারই জানা। কিন্তু গল্পটির আবেদন এখনো হারিয়ে যায় নি বলেই মনে হয়। চিরচেনা, চিরন্তন এ গল্প। মূল গল্পটি এ রকম:- একদিন এক ঝর্ণায় গিয়ে একটি খরগোশ পানি খাচ্ছিল। উপর থেকে এক সিংহ নেমে এল। তার অভিপ্রায় খরগোশকে সে খাবে। কিন্তু এর জন্য কোন একটা ছুতা দরকার। শত হলেও একেবারে কোন ছুতা ছাড়া তো আর খাওয়া যায় না। সিংহ খরগোসের কাছে এসে বললো, এই তুই আমার পানি ঘোলা করেছিস কেন? আমি তোকে খাব। খরগোশ বললো, আমি তো ঝর্ণার নিচের দিকে ছিলাম। আপনিই তো উপরে ছিলেন। আমি ঘোলা করলে তো আপনার ওদিকে ঘোলা হওয়ার কথা নয়। যুক্তিতে সিংহ হেরে গেল। কিন্তু হেরে গেলে তো আর খাওয়া চলবে না। এবার সিংহ বললো, ওহ, ঠিক আছে। তুই করিস নি, কিন্তু তোর বাপ করেছে। অতপর: খরগোসের বাঁচার আর কোন উপায় রইল না। গল্পটি পশু এবং জঙ্গলের সঙ্গে মানানসই হলেও বর্তমানে মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে পড়েছে। সিরিয়ার একনায়ক বাশার আল আসাদকে আমেরিকার পছন্দ নয়।


সুতরাং তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। আরব বসন্তের নামে শুরু হোল বাশার বিরোধী আন্দোলন। ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মী’ নামে একটি বিদ্রোহী গ্রুপ সরকারের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের সূচনা করলো। পশ্চিমা শাসকগণ তাদের সমর্থন, অর্থ ও সামরিক সাহায্য দিয়ে তাদের উৎসাহ জোগালো। দীর্ঘ দুই বছরের গৃহযুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ নিহত হলো আর ১৫ লাখ মানুষ উদ্ধাস্তু হয়ে পাশ্ববর্তী দেশুগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিল। সর্বশেষ বাশার বাহিনী ব্যাপক অভিযানের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের হাত থেকে পূর্বে অধিকৃত এলাকা পুণরুদ্ধার করে। কোনঠাসা হয়ে পড়ে বিদ্রোহী বাহিনী। মান-সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় বিশ্ব মোড়লদের। তাদের ইগো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সিরিয়াকে ধ্বংস করতে হবে। সিংহের খরগোশ ভক্ষণ করতে যেমন ছুতা দরকার তেমনি একটি ছুতাও আবিষ্কার করলো তারা। ছুতাটি হচ্ছে বিদ্রোহ দমনে সিরিয়ার পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার। সংবাদে প্রকাশ এই রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় প্রায় ১৩শ মানুষ নিহত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে বিদ্রোহ প্রায় নির্মূল করার সময়ে হঠাৎ বাশার বাহিনী কেনই বা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে যাবে? তা যদি প্রয়োগ করতেই হোত তবে আরো অনেক আগে করতে পারত। বিশেষ করে যখন সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী বাহিনীর ক্রমাগত হামলার মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ছিল সেই সময়টাই ছিল তা ব্যবহারের উত্তম সময়। বিরোধীপক্ষ এই সময়ে এসে হঠাৎ যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই রাসায়নিক হামলা নিজেরাই করে নি কি? নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করানোর এই নীতিটি তো একমাত্র মানুষই জানে। সামান্য এই ক্ষতির বিনিময়ে যদি যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া যায় তাতে দোষের কী?


যাই হোক, যুদ্ধে এটা ঘটতেই পারে। যুদ্ধের আরেক নাম কৌশল। কিন্তু প্রশ্ন হোল এই যুদ্ধের নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছে? ইসরাইল, আমেরিকা, ব্রিটেন তো অনেক আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যেই সিরিয়ায় বাশার সরকার পতনে নেমেছে। কিন্তু শেষ সময়ে সৌদি আরবের লাফালাফি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। এটা ঠিক যে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বে সৌদি আরব বাশার সরকারের উচ্ছেদ করা চাইতেই পারে। অপরদিকে ইরান শিয়া প্রধান হওয়ায় বাশার সরকারের প্রতি সৌহার্দ দেখাতেই পারে। তবে যেহেতু ইরান এবং সৌদি আরবের সাথে আদর্শগত দ্বন্দ্ব বিদ্যমান সেহেতু পুরনো বিরোধ এখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উভয় পক্ষই এখন মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। খবরে প্রকাশ সিরিয়ার মিত্র রাশিয়াকে সিরিয়ার সঙ্গ ছাড়তে সৌদি সরকার তেল বাণিজ্যে বড় ধরনের সুবিধা দেওয়ার নামে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল। ইতোমধ্যে সৌদি সরকার প্রায় ৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বিদেশী শক্তিগুলোকে উস্কানী দিয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। সর্বশেষ তারা আরেকটি যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে শুরু করেছে।


অন্যদিকে অপর বাহু মিশরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং ইখওয়ানীদের উপর সামরিক অভিযানে প্রায় সহ¯্রাধিক যা ইখওয়ানের মতে ২ হাজার ২শতেরও অধিক মানুষ হত্যা করা হয়। এর পেছনেও উস্কানী ও ইন্ধনদাতা হিসেবে কাজ করেছে সৌদি আরব। এ জন্য তারা শত কোটি ডলার ঘুষ দিয়েছে মিশরের সেনাবাহিনীকে। অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার সাথে সাথেই সৌদি সরকার মিশরের নব্য সামরিক সরকারকে শুভেচ্ছা জানায়। আর ঘুষ দেওয়া অর্থের ঐ অংশটি ছিল প্রাথমিক অংশমাত্র। এর পরে মুরসি সমর্থকরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এলে তাদের উপর সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হলেও সৌদি সরকার বিভিন্নভাবে সামরিক সরকারকে সমর্থন জানিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখে। অন্যদিকে এ হত্যাকা-ে আন্তর্জাতিকমহল বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে এবং সামরিক সরকারকে চাপ প্রয়োগের প্রস্তাব করলে তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে সৌদি সরকার। ইরান শিয়া অধ্যুসিত হওয়ায় অনেক আগে থেকে শিয়া-সুন্নী নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। কোন আগ্রাসী শক্তি যদি ইরানকে আক্রমন করে তাহলে সৌদি আরব যে খুশি হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এমন কি এখনো যে তারা পাশ্চাত্যকে এ কাজে উৎসাহিত করছে না তাও জোর দিয়ে বলা যাবে না। অভিযোগ রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেওয়া বিষফোঁড়া ইসরাইলের সাথে সৌদি রাজ পরিবারের রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। ফিলিস্তিনি ভূ-খ- দখলকারী এই দেশটি আরবদের এই অনৈক্য ও বিভেদের সুযোগে নব বধুর কপালের টিপের আকৃতি থেকে বর্তমানে সারা মধ্য প্রাচ্যেকে গিলে খাবার উপক্রম সৃষ্টি করেছে। যা তাদের সকলের জন্যই এক বিপদ মহা বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।


খেয়াল করলে দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় প্রতিটি অস্থিরতার পেছনে হাত রয়েছে সৌদি আরবের রাজ পরিবারের। তাই সারা মধ্য প্রাচ্যের রাজনীতির আকাশে সৌদি আরব উদিত হয়েছে খলনায়কের ভূমিকায়। অথচ পুরো মধ্যপ্রাচ্য এলাকাটাই মুসলিম অধ্যুসিত অঞ্চল। খুব কম সংখ্যক ভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে এখানে। ইসলামের প্রবর্তক রসুলাল্লাহর জন্ম এই মাটিতেই। তাঁরই অনুসারীরা আজ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লেও এ দেশের মাটিকে অনেক পবিত্র জ্ঞান করে। এখানে রয়েছে বায়তুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর ঘর, পবিত্র ক্বাবা ঘরের উপস্থিতি। ক্বাবা হচ্ছে মোমেন মোসলেমদের ঐক্যের প্রতীক। মোসলেম উম্মাহ তার সমস্যা, পরামর্শ ইত্যাদির জন্য বৎসরে একবার এখানে উপস্থিত হন আরাফার ময়দানে। পরিচালনার দায়িত্বে থাকে সৌদি সরকার। অথচ সেই মাটিতে বসবাসকারী আরবগণ আজ শিয়া-সুন্নী দ্বন্দ্বে নিজেরা নিজেদের শক্তি ক্ষয় করছে। তারা প্রতি বছর হজ্ব করতে যায় ঠিকই, কিন্তু তাদের ব্যবধান ঘোঁচে না। ঘরে ফিরেই একে অপরের বিরুদ্ধে লাগে। তবে শুধু যে ঘরে ফিরেই বিরুদ্ধে লাগে তাই নয়। পবিত্র ক্বাবার প্রাঙ্গণেও এরা ঝগড়া করে, মারামারি করে। এই সুযোগকে ধুর্ত মোড়লরা কাজে লাগাবেই না কেন? ঘরের সমস্যায় যখন পরকে ডেকে আনা হয় তখন পর একটু সুবিধা গ্রহণ করবেই।


সব শেষে আরেকটি গল্প দিয়ে বিষয়টির ইতি টানি। যদিও গল্পটি থিসিস লেখার প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মনে হয় এর ব্যবহার আলোচ্য প্রবন্ধে বেমানান হবে না।


এক খরগোশ একটি গুহার বাইরে বসে লেপটপে কাজ করছে, এমন সময় একটি শেয়াল এসে জিজ্ঞেস করছে, “কিরে, কি করিস?” খরগোশ জানালো, “থিসিস লিখি।” শেয়াল পাল্টা প্রশ্ন করলো, “ কি নিয়ে থিসিস?” জবাব এলো, “শেয়াল খাওয়ার সহজ উপায়।” শেয়াল খুব অবাক হোল। প্রশ্ন করলো, “কি, খরগোশ কখনো শেয়াল খায়?” খরগোশ বললো, “বিশ্বাস হোল না, আমার সাথে এসো।” খরগোশটি শেয়ালটিকে নিয়ে গুহার ভিতর গেলো, কিছুক্ষন পর একা ফিরে এলো এবং আবার লেপটপে কাজ করতে শুরু করলো। একটু পর এক নেকড়ে আসলো ...।


নেকড়ে একই রকম প্রশ্ন কোরল। নেকড়ে খাওয়ার থিসিসের কথা শুনে সেও আগের শেয়ালের মত অবাক হোল। চালাক খরগোশ নতুন নেকড়েকেও গুহায় নিয়ে গেল এবং একা বের হয়ে এল। সর্বশেষ এলো একটি বেবুন। বেবুনেরও একই প্রশ্ন এবং পরিণতিও একই।
সারা দিন কাজ করে সন্ধায় খরগোশটি লেপটপ বন্ধ করে গুহার ভিতরে গিয়ে দেখলো, গুহার একপাশে শেয়ালের হাড়, আরেক পাশে নেকড়ের হাড়, আরেক দিকে বেবুনের অর্দ্ধাংশ পড়ে আছে, আর একপাশে একটি সিংহ ঘুমিয়ে আছে।


গল্পটি এখানেই শেষ হলেও যদি দেখা যায় কোন দিন সিংহের জন্য খাবার সংগ্রহের কাজ ফুরিয়ে গেলে কিংবা কোনদিন আহার পর্যাপ্ত না মিলে, তাহলে একদিন বেলা শেষে সিংহ খরগোশকেই যদি খেয়ে ফেলে তবে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে কি?
অনুরূপ বিশ্ব মোড়লরা যখন দেখবে তাদের সামনে ধ্বংস করার মত আর কোন দেশ নেই, তখন সৌদি আরব কি তাদের থাবা থেকে বাদ যাবে?
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×