somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মৃত্যুর পরে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যুর পরে কি পরিণতি হয় তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব আছে৷ মৃত্যুর পরে, একজন মানুষ বাস করে একটি “অস্থায়ী” স্বর্গ বা নরকে৷ মৃত্যুর পরবর্তী জীবন সম্পর্কিত প্রশ্নটা নিছক খেয়ালী দার্শনিক প্রশ্ন নয় ; বরং বাস্তব জীবনেরই প্রশ্ন। যারা যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে, বাইবেলে বলা আছে যে মৃত্যুর পরে বিশ্বাসীদের আত্মা স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়, কারন তারা প্রভূ যীশুকে নিজেদের মুক্তিদাতা হিসেবে স্বীকার করেছে বলে তাদের পাপ ক্ষমা করা হয় ।মানুষ মারা গেলে তার যতগুলো দরজা পৃথিবীতে জীবিত থাকা অবস্থায় খোলা ছিল, তার প্রতিটি দরজাই বন্ধ হয়ে যায়।

বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে কোনো একটা জিনিস সন্বন্ধে অবগত হওয়ার যাবতীয় উপকরণ হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত ‘না’ অথবা ‘হাঁ’ সূচক কোনো সিদ্ধান্ত থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু কোনো জিনিসের সাথে যখন আমাদের কার্যপদ্ধতি স্থির করা ছাড়া কোনোই উপায় থাকে না, তখন তা অবশ্যই করতে হয়। ডাকাতি করা ভাল না মন্দ কাজ? ভারসাম্যপূর্ণ সাধারন একজন মানুষও বলবেন, এটা জঘন্য কাজ্‌ পরকালের ভালো-মন্দ যে বিশ্বাস করে না সে কেমন করে একজন শক্তিশালী ও প্রভাবশালী অপরাধীকে বোঝাবে যে, ডাকাতি একটি জঘন্য অপরাধ?

"আজিকে হয়েছে শান্তি, জীবনের ভুলভ্রান্তি সব গেছে চুকে।
রাত্রিদিন ধুক্‌ধুক্‌ তরঙ্গিত দুঃখসুখ থামিয়াছে বুকে।
যত কিছু ভালোমন্দ যত কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব কিছু আর নাই।
বলো শান্তি, বলো শান্তি, দেহসাথে সব ক্লান্তি হয়ে যাক ছাই।"
( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জোড়াসাঁকো, ৫ বৈশাখ, ১৩০১ )

মানুষ যখন মারা যায়, তখন সংসারে একজন লোকের অনুপস্থিতি নিশ্চয়ই শুধুমাত্র শুন্যতারই সৃষ্টি করেনা, বরং পুরো সংসারে একটা শোকের ছায়া ফেলে দেয়।মৃত্য এমন একটি অবধারিত সত্য যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া কোন প্রাণীর পক্ষেই সম্ভব নয়।আল্লাহ তাআলা বলেন: “প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে।” (সূরা আলে ইমরান: ১৮৫) মৃত্যু বরণের পর শুরু হবে আরেক জীবন। যে জীবনের কোন শেষ নেই।মানুষের জীবনে ইহকালে সব চেয়ে বড় সম্পদ হল তার সময় ।

ইমাম মুসলিম (রহঃ)-এর উস্তাদ রিবয়ী ইবনে হিরাশ (রহঃ) একদিন প্রতিজ্ঞা করে বললেন, “যতক্ষন পর্যন্ত আমি বেহেশতের সুসংবাদ পাব না, ততক্ষন পর্যন্ত হাসব না”। তারপর থেকে তিনি জীবনে কখনও হাসেন নি।
যখন তিনি মৃত্যূবরণ করেন, মৃত্যূর পর হাসতে লাগলেন। উপস্থিত লোকজন তার হাসি দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তাঁরা বলাবলি শুরু করলেন, জীবনে যিনি কখনও হাসেননি, মৃত্যূর পর তিনি হাসছেন! তার কারণ কি? তাঁরা রিবয়ী ইবনে হিরাশ (রহঃ)-এর স্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তার স্ত্রী বললেন, আমার স্বামী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যতক্ষন পর্যন্ত তিনি বেহেশতের সুসংবাদ পাবেন না, ততক্ষন পর্যন্ত হাসবেন না। মৃত্যূর পর নিশ্চয়ই তিনি সেই সুসংবাদ পেয়েছেন। তাই আজ তার মুখে এ হাসি দেখা যাচ্ছে।তাই আসুন, আমরাও হযরত রিবয়ী ইবিনে হিরাশ (রহ;)-এর মতো মৃত্যূর পরে হাসার প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×