১.
দেহের মালিক বাড়ী ভাড়া বাড়িয়েছেন।আমাদের কল্পনারা রোজ তক্তপোষের গরাদে উলঙ্গ হয়ে পড়ে।নীল ছবির বুনিয়াদ ভেঙে সবুজ রঙ তুলে আনি পারদবিহীন দরজার আয়নায়।প্রথা ভেঙে পড়েছে শকুন্তলার বুকের ভেতরের উষ্ণতায়।কামার্ত চোখ মেলে বলি,আর মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড থাকো।জোস্নাবিহারিরা পথে ঘাটে বমি করে দিচ্ছে প্রবল ঘৃণায়।সভ্যকুকুরের স্বভাব বদলায় নি এখনো পলেস্তারা মেখে পান করে ঘৃণার বমি।আমরা দিন কে দিন বাউন্ডুলে হয়ে উঠছি।
২.
কবিতা,তোমার জন্য।মুশরাই।তোর কবিতা গুলো এত কষ্ট পায় কেন?বারবনিতারা যুদ্ধে যাবেই!আমরা যদি পাল হারিয়ে ফেলি চৌরাস্তার মোড়ে,নতুন স্বপ্ন কে দেখবে বল!
তুই কি চাঁদের কান্না শুনিস নি?এখানে এখনো তেপান্তর হারায় ফেনিল সমুদ্রে।বৃষ্টিবিলাস শেষে ঘরে ফিরলে চলবে কেন!মনে আছে তোর?এককালে খুব আসিফ শুনতাম!"রাত্রি এলে মনে পড়ে......"
এখনো কি মন খারাপ হয় তোর?আজাদের বই টা শেষ করিস।
৩.
আমাদের বিকেল গুলো মুগ্ধ হয়ে উঠতো সেলুনের পেছনে।মাহমুদ,স্বপন কি এখনো চা বিক্রি করে?তার সেই ছোট্ট কেবিন?অনেক বিকেলের অনেক কবিতা যে জমা হয়ে আছে সেই ইটের দেয়ালে!!নাকি ঢাকা পড়ে গেছে সিমেন্টের আস্তরণে?
তুই কি এখনো কষ্টের কবিতা লিখিস?মেয়েটার তো শুনলাম বিয়ে হয়ে গেছে। তোকে বোঝানোর সাধ্য আমার কখনোই ছিলো না।তবুও বলি,মৌমিতা টা একটু আলাদা।আগলে রাখতে জানে।ভেবে দেখিস।
৪.
তোর বাবার কবরে দেখলাম কদম গাছ লাগানো হয়েছে।পরের বর্ষায় ঝুলবে থোকা থোকা কদম ফুল।ওয়াজেদ,আমার সমস্ত অবিশ্বাস দুরে ঠেলে প্রার্থনা করি,তোর বাবার যেন বেহেসত নসীব হয়,তুই বিশ্বাস করিস বলে। শোন,বিশ্বাস অন্তর্গত।মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে,বিশ্বাস করি তোর সব বিশ্বাস।আমি যাকে বিশ্বাস করতাম,তার চেয়ে বোধহয় আল্লাহ অনেক বিশ্বাসযোগ্য হবেন!
৫.
প্রিয়ামনি।চন্দনার সাথে দেখা হলো সেদিন।এখনো অনেক পাগল।বাজারে সেদিন চিৎকার করে ঢেকে উঠলো।তাকিয়ে দেখি,রিকশায় হাস্যমুখে পাশাপাশি ও আর ওর অর্ধাঙ্গ।নিগার টা ইডেনে পড়ে শুনেছি।আমার সাথে কথা হয় না।আকাশীর কথা মনে আছে তোর?দুটো বাচচা নিয়ে পুরোদস্তুর গৃহিণী!!
বাচ্চার নাম কি রেখেছিস?কেমন দেখতে?তোর মত?তোর কি মনে আছে,আমি একবার তোর প্রেমে পড়েছিলাম!!হা হা হা।
প্রিয়ামনি।আমি ভালো আছি।তার খবর জানা নেই।
৬.
আমার চোখ খুবলে নিয়েছে অচেনা শকুন।আমি নির্বাক বলি,ভালো থেকো।আমরা তো আর হিরোশিমা নই।
ফটো: দীপ।নবিস ফটোগ্রাফার।